টেকনাফে পৃথক অভিযানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১ হাজার ৭৭৫ ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়েছে। টেকনাফে চালান খালাসকারী ও সিন্ডিকেট চক্র এখনো সক্রিয় রয়েছে বলে জানা যায়। ঘোর মাদক বিরোধী অভিযানের মধ্যেও বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে চালান খালাসকারী ও সিন্ডিকেট তৎপর থাকায় জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে।
টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, আজ মঙ্গলবার ভোরে সাবরাং ইউপিস্থ ঝিনাাখাল এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টহলদল ওই এলাকায় যায়। কিছুক্ষণ পরে কয়েকজন লোককে ঝিনাাখাল হতে আসতে দেখে অপেক্ষারত থাকে। এসময় বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করে আগত ব্যাক্তিরা পাশ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তবে টহলদল তল্লাশি করে পলিথিন মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩০ হাজার ইয়াবা ও ১ হাজার ২৭৫ ক্যান বিদেশী আন্দামান গোল্ড বিয়ার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও বিয়ারের মূল্য ৯৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ টাকা। উদ্ধারকৃত বিয়ার ও ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টেকনাফে ঘোর মাদক বিরোধী অভিযানের মধ্যেও থেমে নেই মাদক পাচার। সাবরাং নয়াপাড়া মগপুরা এলাকার বশির আহমদ, তার সহোদর আব্দুস শুক্কুর, নয়াপাড়া এলাকার ক্রসফায়ারে নিহত শামসুল আলম মার্কিনের ভাই তৈয়ব, তার সহোদর আব্দুল গফুর, ঝিনা পাড়া এলাকার কামালসহ সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা কয়েকটি পয়েন্টে এখনো মাদকের চালান বহনকারী ও চিহ্নিত মাদক কারবারী সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকায় এই সর্বনাশা মাদকের চালান বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই তদন্ত স্বাপেক্ষে উক্ত এলাকার মাদক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এছাড়া একইদিনে হ্নীলা বিওপির নায়েক মো. ছাবির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টহলদল হ্নীলা ইউপিস্থ ওয়াব্রাং এলাকায় বিশেষ টহলে গমন করে। ভোর ৫ টার দিকে ওয়াব্রাং মৌলভীবাজার লবন গুদামের পাশ দিয়ে দুই জন ব্যক্তিকে একটি ব্যাগ হাতে করে আসতে দেখে টহলদল অপেক্ষারত থাকে। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্র উক্ত ব্যক্তিরা দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহলদল তাদের পিছু ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীর হাতে থাকা ব্যাগটি ফেলে দিয়ে অন্ধকারের সুযোগে পাশ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়। পরে পাচারকারী ফেলে যাওয়া ব্যাগটি খুলে গণনা করে ৬০ লাখ টাকার মূল্যমানের ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার