উত্তর কোরিয়ায় পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সীমিত করতে চায় চীন। দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের চাপের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্টের একজন বিশেষ দূত সংলাপের লক্ষ্যে পিয়ংইয়ংয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। আগামী শুক্রবার পিয়ংইয়ং পৌঁছাবেন চীনের ওই দূত।
আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে , উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীনসহ এশিয়া সফর করে যাওয়ার পর বেইজিংয়ের এই কূটনৈতিক তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে বেইজিংয়ের এই দূত পাঠানোতে পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ক উত্তেজনা থামবে কি-না, তা নিয়ে সন্দিহান পর্যবেক্ষকরা। বরং তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে চাপ দিতে গেলে বেইজিংয়ের ওপর নাখোশ হতে পারে পিয়ংইয়ং।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এশিয়া সফরকালে টুইট করে বিরোধীদের সমালোচনা করে জানান, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন-কে 'বেঁটে বা মোটা' বলতে চান না তিনি। কিম তাকে 'বুড়ো' বলে অপমান করলেও ট্রাম্প তাকে কখনোই 'বেঁটে বা মোটা' বলবেন না। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এভাবেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে অপমানমূলক প্রত্যুত্তর দিলেন কিমকে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন প্রত্যুত্তরে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। ট্রাম্প 'কাপুরুষ', তিনি আন্তঃকোরীয় সীমান্ত সফর বাতিল করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার