আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির নেতারা প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য রাখেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। তাদের এই ভালো নেই ভালো নেই বলার মধ্যেই জাতিসংঘ রিপোর্ট দিল, বাংলাদেশের মানুষ সুখী ইনডেক্সে সাত ধাপ এগিয়েছে। এটি তাদের বক্তব্যের প্রতি জাতিসংঘের কঠিন চপেটাঘাত বলে আমি মনে করি।’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খোকার সঞ্চালনায় আলোচনায় প্রধান আলোচক ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
এতে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার রায়, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম রনি, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মানিক লাল ঘোষ, রোকনউদ্দিন পাঠান, সাংবাদিক আনিসুর রহমান, শেখ শাহ আলম, মাহবুব হোসেন প্রমুখ।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্যের তীব্র সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আরেকটা গ্রুপ আছে, তারা নিজেদের জ্ঞানী প্রমাণ করার জন্য শুধু ভুল ধরে। এই করোনাকালে এবং কোনো সংকটেই আমারা তাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে দেখি নাই। তবে হঠাৎ হঠাৎ তারা কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করে। তবে সুখী ইন্ডেক্সে যে বাংলাদেশ সাত ধাপ এগোল, তা নিয়ে তাদের কোনো রিপোর্ট নেই।’
‘রাজনীতি পেশা হওয়া সমীচীন নয়’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ওপর আলোচনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিল্লুর রহমান এমন একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। রাজনীতি প্রকৃতপক্ষে একটি ব্রত। পেশা বা উন্নতির সোপান রাজনীতি হওয়া সমীচীন নয়। রাজনীতি দেশসেবার জন্য, সমাজ পরিবর্তনের জন্য কিংবা যে আদর্শে বিশ্বাস করে রাজনীতি করেন, সেই আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। দেশের কল্যাণের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য একটি ব্রত।’
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ সেটি মনে রাখেন না এবং সেটি মনে করেন না। জিল্লুর রহমান রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। তার জীবন যদি আমরা পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাই, তিনি একেবারে তরুণ বয়স থেকে রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন।’
‘আমাদের দলের সংকটকালে জিল্লুর রহমানের যে ভূমিকা, সেটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে লেখা থাকবে। একজন আপাদমস্তক ভদ্র মানুষ, ভালো মানুষ ছিলেন জিল্লুর রহমান। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কোনো সময় রাগতেন না তিনি। অনেক মানুষ রাগান্বিত হয়, কিন্তু জিল্লুর রহমানকে আমি কখনো রাগান্বিত হতে দেখিনি।’
‘আজ যে আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। ২০০৭-২০০৮ সালে নেত্রীর প্রতি অবিচল থেকে দলকে যদি রক্ষা করা না হতো তাহলে আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করতে পারতাম না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা ধস নামানো বিজয় পেতাম না। আজ যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি, ২০০৮ সালে নির্বাচনে নির্বাচিত হতে না পারতাম তাহলে এটি কখনোই সম্ভব হতো না। এটির ভীত রচনা করার জন্য জিল্লুর রহমানের ভূমিকা ছিল’,- বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ