সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত বহুমাত্রিক সম্পর্কে সাংস্কৃতিক বিনিময় সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে। বাস্তবতার নিরিখেই তা অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার ভারতের আগরতলার হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত '৪০তম আগরতলা বইমেলা ২০২২' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
বইমেলা -২০২২ উদ্বোধন করেন ভারতের ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ (স্পিকার) শ্রী রতন চক্রবর্তী।
প্রতিমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে বেগবান করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গত মাসে ২য় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগরতলাতে সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিন আগে আমি ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেছি যেখানে থিম কান্ট্রি ছিল বাংলাদেশ।
কে এম খালিদ জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর উপর ভিত্তি করে ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগোলের নির্দেশনায় নির্মিত হচ্ছে বায়োপিক যা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পাবে। তাছাড়া এই দু’দেশের যৌথ প্রযোজনা ও নির্দেশনায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি তথ্যচিত্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ সকল কার্যক্রম প্রমাণ করে উভয় দেশ সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুফল ভোগ করছে।
আগরতলা-আখাউড়া রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। নদীপথেও ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির চেষ্টা চলমান রয়েছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরা ও উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে। এসব প্রকল্প চালু হলে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে। এর মধ্যে ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে স্থলবন্দর সহ রাস্তা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।-বাসস
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত