ঢাকার আশুলিয়া থানায় গত বছরের করা প্যান্ট চুরির মামলায় জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদা। রবিবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম কুদ্দুস জামান জামিনে মুক্তির এ আদেশ দেন। এর ফলে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কারগার থেকে তিনি রবিবার বিকেলে মুক্তি পেয়েছেন।
নাজমুলের আইনজীবী তুহিন হাওলাদার জানান, সর্বশেষ প্যান্ট চুরির মামলায় রবিবার নাজমুলকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে ঢাকার আশুলিয়া থানা পুলিশের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলাসহ মোট ৬টি মামলায় জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক নাজমুল। আসলে এ সকল মামলায় যে অভিযোগ রয়েছে, তার বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা যে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করেছে, সেই সংবাদের কারণে শ্রমিক আন্দোলনে উসকানি দেওয়া হয়নি। যা ঘটনা শুধু সেটুকুই প্রচার করা হয়েছে। সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী ওই সংবাদে পুলিশ, বিজিএমইএ নোতাসহ নানা তরফের বক্তব্য যুক্ত রয়েছে। আসলে অসাধু ব্যক্তিদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য শ্রমিক উস্কানির অছিলা দিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এ সকল মামলায় আসামি বানিয়েছে পুলিশ।
আদালত সূত্র জানান, ঢাকার আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সাম্প্রতিক আন্দোলন নিয়ে প্রতিবেদন (রিপোর্ট) করায় বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদাকে তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনসহ ৬টি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের নিষেধ অমান্য করে সংবাদ প্রচার করায় আক্রোশের শিকার হয়েছেন নাজমুল। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আশুলিয়ার শিল্প এলাকা। এ কারনে পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে সাংবাদিক নাজমুল হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনে এ ঘটনার সংবাদ পাঠান। ওই সংবাদে আশুলিয়ার শ্রমিক অসন্তোষ, গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ, পুলিশের মারমুখী ভূমিকা ও গণহারে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে আশুলিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে প্রথমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করে। এর কিছুক্ষণ পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গত বছরের করা ঢাকার আশুলিয়া থানার প্যান্ট চুরির মামলাসহ আরও ৫টি পৃথক পুরানো মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।
বিডি-প্রতিদিন/১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব