ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা বাজেট পেশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে গবেষণা ঘাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৬ শতাংশ। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এদিকে, বাজেটের একটি বড় অংশ ব্যয় হবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ। যা মোট বাজেটের ৭২ শতাংশ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘গবেষণা খাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সকল উপাচার্যেরই দাবি এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য। আমারও দাবি।’
অনুমোদিত বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯-২০ নতুন অর্থবছরের জন্য ২৪৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বাজেট চাহিদা পাঠানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে। এর মধ্যে থেকে ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা অনুমোদিত হয়। তবে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সংশোধীত বাজেট ১৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর এক কোটি টাকা কম বরাদ্দ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বাজেটে প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ৯৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ। অন্যান্য অনুদান খাতের আওতায় তাদের পেনশন ও অবসরকালীন ভাতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে আরও ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থাৎ ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার মোট বাজেটের মধ্যে শিক্ষকসহ অন্যান্যদের বেতন-ভাতা-পেনশন বাবদ খরচ হবে প্রায় ১০৮ কোটি টাকা। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ৭৮.৭৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় এর আওতায় গবেষণা ঘাতে বরাদ্দ দিয়েছে ৮০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৬ শতাংশ। তবে এ
খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দ চাহিদা ছিল ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
গবেষণায় বরাদ্দ কম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলতি পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক শেখ আব্দুর রউফ বলেন, ‘রিচার্স ফান্ড একেবারে নেই বললেই চলে। আবার প্রয়েজনানুযায়ী নেই আধুনিক ল্যাবও। যাদের ভালো গবেষণার আগ্রহ আছে তারাও পর্যাপ্ত সুবিধা পাচ্ছে না।’
এছাড়াও পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় ২৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ। বিশেষ মূলধন অনুদান ও অন্যান্য অনুদান বাবদ ১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, ঘোষিত বাজেটে ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ১২৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ১৩ কোটি টাকা। ১৯৯৫-১৯৯৬ অর্থবছর থেকে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ২৩টি অর্থবছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘাটতি ৭০ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
বাজেটের বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা বলেন, ‘আমাদের চাহিদার তুলনায় কম বাজেট বরাদ্দ পেয়েছি। যার প্রভাব পড়েছে প্রতিটি খাতে।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম