বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অধিক লবণাক্ততা সহিষ্ণু গম ও ডাল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মধ্যবর্তী গবেষণা পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার উপর তিন দিনব্যাপী এক কর্মশালা রবিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) সেমিনার কক্ষে শুরু হয়েছে।
বারি’র ডাল গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে এবং এসিআইএআর, অষ্ট্রেলিয়া ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে "Incorporating salt-tolerant wheat and pulses into smallholder farming systems in southern Bangladesh" প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ। বারি’র পরিচালক (ডাল গবেষণা কেন্দ্র) রইছ উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন, গেষ্ট অব ওনার অষ্ট্রেলিয়া এসিআইএআর রিসার্চ প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. এরিক হাটনার, প্রকল্প প্রধান ইউনির্ভাসিটি অব ওয়েস্টার্ন অষ্ট্রেলিয়ার প্রফেসর উইলিয়াম আরর্সকিন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ডাল ফসল ও গমের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে লবণ ও জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু জাত ও প্রযুক্তির উপর আমাদের গুরুত্বারোপ করতে হবে। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দক্ষিণাঞ্চলের ডাল এবং গমের চাষ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা প্রদান করেন এবং আশাবাদ করেন যে, এ প্রকল্প যথাযথ বাস্তবায়নে লবণ সহিষ্ণু ডাল ও গম ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে ডাল ফসল ও গমের উৎপাদন ব্যাপক হারে প্রসার লাভ করবে।
কারিগরি সেশনে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিজ্ঞানীগণ তাদের গবেষণা প্রতিবেদন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় এসিআইএআর, ইউনির্ভাসিটি অব ওয়েস্টার্ন অষ্ট্রেলিয়া, সিএসআইআরও, কেজিএফ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বারি’র বিজ্ঞানীসহ দেশী-বিদেশী প্রায় পঁচাত্তর জন বিজ্ঞানী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার