সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এএসআই ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩ মে এরকম অভিযোগ এনে ফরিদুলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সিলেট রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে আবেদন করেছেন মিনারা বেগম চৌধুরী নামের এক ভুক্তভোগী নারী। তিনি উপজেলার মুন্সিরগাঁও গ্রামের আজিজুর রহমানের স্ত্রী। এছাড়া, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী ফরিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
মিনারা বেগম চৌধুরী নামের ভুক্তভোগী নারী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাদের এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ফরিদ বেআইনিভাবে জায়গা দখল করতে গিয়ে তার স্বামী ও ভাসুরের উপর হামলা করলে তিনি বিশ্বনাথ থানায় এজাহার দায়ের করেন। এএসআই ফরিদুল সে খবর অভিযুক্ত ফরিদকে জানিয়ে তার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা (ঘুষ) নেন। যে কারণে ফরিদ চরম ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১০ মে এএসআই ফরিদুলের সহযোগিতায় তাকে (মিনারা) প্রাণে মারারও চেষ্টা করে।
এদিকে, নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক উপজেলার দশঘর এলাকার এক ভুক্তভোগী এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, একটি ঘটনার জেরে চারটি অভিযোগের ভয় দেখিয়ে নিষ্পত্তির নামে এএসআই ফরিদুল ৩০ হাজার টাকা নেন। পরে তারা খোঁজ নিলে তিনি কোনো অভিযোগনামা তাদেরকে দেখাতে পারেননি।
এএসআই ফরিদুল ইসলাম বলেন, মিনারা বেগম যে জমি দখল ও হামলার ঘটনার উল্লেখ করেছেন তদন্তে গিয়ে তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমার বিরুদ্ধে তার আনীত অভিযোগটি সত্য নয়। এছাড়া, অভিযোগের ভয় দেখিয়ে নিষ্পত্তির নামে টাকা নেয়ার অভিযোগটিও সত্য নয়। মূলত গণমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আমার কাছে এসেছিলেন। আমার সামনে অভিযোগকারীকে ওই টাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তির পিতা। আমি টাকাগুলো শুধু গুণে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, মিনারা বেগমের অভিযোগটি তদন্তের জন্য ডিআইজি অফিস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) মহোদয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফরিদুলের বিরুদ্ধে দশঘর এলাকার ভুক্তভোগীর অভিযোগটিও খতিয়ে দেখতে শিগগিরই উভয়পক্ষকে নিয়ে বসব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের স্বপক্ষে সাক্ষী-প্রমাণসহ হাজির হওয়ার জন্য মিনারা বেগমকে বলা হয়েছে। ফরিদুল বর্তমানে ট্রেনিংয়ে আছে। সে আসলে তার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলব।
বিডি-প্রতিদিন/২২ মে, ২০১৮/মাহবুব