সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল নামকাওয়াস্তে পালিত হচ্ছে। কিছু কিছু দূরপাল্লার বাস সকালে রাজধানী না ছাড়লেও ঢাকায় গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে। বেলা ১১ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজধানীতে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। চোখে পড়েনি হরতাল সমর্থক কাউকে। তবে এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।
জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির প্রতিবাদে আজ সোমবার হরতাল আহ্বান করে সংগঠনটি।
জামায়াতের ডাকা হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় গত রাত থেকেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সকালে হরতাল শুরুর পর রাজধানীর মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়া পাড়া, কালশী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পুরানা পল্টন, মতিঝিল, মালিবাগ, রামপুরা, উত্তরা, রাজলহ্মী, জসীম উদ্দীন, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, বিশ্বরোড, রেডিসন, গুলশান, বনানী এলাকা ঘুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান চোখে পড়েছে। এ সময় রাস্তাগুলোতে যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক দেখা যায়।
এসময় পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। যে কোন ধরণের নাশকতামূলক পরিকল্পনা ভন্ডুল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।
এয়ারপোর্ট চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী নাসির বলেন, সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আমরা সবোর্চ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।
এদিকে নাশকতার আশঙ্কায় রাজধানী থেকে সকালে অধিকাংশ দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি। তবে দুপুরের পরে বাস ছাড়া যাবে বলে মনে করছেন কাউন্টারগুলোয় দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
দেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। গতকাল ২২ নভেম্বর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) একই দিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখলে হরতালের ডাক দিয়েছিল জামায়াত। সেদিন সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সারাদেশে কোথাও কোনো নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি। ২১ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২ টা ৫৫ মিনিটে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ