পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পাটকলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে পাট শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা এখন রিকশা চালায়। এসব শ্রমিকদের আবার ফিরিয়ে এনে সরকার বন্ধ পাটকলগুলো চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। বন্ধ পাটকলগুলো সচল করতে কাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পণ্য পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আবারও সোনালী আঁশের দেশ হিসেবে পরিচিত করতে কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে । এজন্য পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা হবে ।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হেলাল উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, বিজেএমসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হুমায়ুন খালেদ, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন এবং এর বহুমুখী ব্যবহারকে উৎসাহিত ও জনপ্রিয় করতে ৬টি পণ্যের পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশবিরোধী প্লাস্টিক-পলিথিন ব্যবহার বন্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ এ আইন সফল করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের অব্যাহত সহযোগিতা দরকার।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম পাটের অতীত গৌরবের বিবরণ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহেই আবার আমরা সোনালি আঁশের সুদিন এবং এর বহুমুখী ব্যবহার এমনভাবেই ফিরিয়ে আনবো, যাতে জনগণ পাট উৎপাদনে আগ্রহী হয়।
আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে আইনটি বাস্তবায়নে মনিটরিং করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা এ আইন মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটি বাস্তবায়নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অভিযান শুরু করে বন্ধ করে দিলে হবে না। সর্বত্র সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে পণ্যে পাটজাত মোড়ক বাধ্যতামূলক করতে হবে। পরে প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী রেশম উন্নয়ন বোর্ড ও রাজশাহী পাটকল পরিদর্শন করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা