শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান

তোফায়েল আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান

বীর বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বলতম দিন ২৪ জানুয়ারি। ১৯৬৯-এর এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান। সেদিন উত্তাল সংগ্রামের যে দাবানল জ্বলে উঠেছিল তা কখনো মন থেকে মোছা যায় না। ক্ষমতার মদমত্তে অহংকারের পাহাড়ে বসে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান মনে করেছিলেন জনগণ বোবা দর্শক, আর তার মসনদ চিরস্থায়ী। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির মুক্তিসনদ ছয়দফা দেওয়ার কারণে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন বিক্ষুব্ধ বাংলার মানুষ দ্রোহের আগুনে জ্বলে উঠে ব্যাপক গণঅভ্যুত্থান-গণবিস্ফোরণের মুখে আইয়ুব খানকে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিদায় জানায় এবং দীর্ঘ ৩৩ মাস কারাগারে আটক প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্ত করে আনে। আমাদের ইতিহাসের ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে রক্তে লেখা আত্মদান আর বিজয়ের গৌরবগাথা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের জেল-জুলুম আর নির্যাতন ভোগের ক্ষতচিহ্ন। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের আনন্দ-বেদনার স্মৃতিতে মোড়ানো জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস। একদিনে আমরা কোনো কিছুই অর্জন করিনি। রাতারাতি আকস্মিক ঘটনার মধ্যে আমাদের কোনো অর্জনও নেই। দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নির্যাতিত জনসাধারণের শক্তিতেই আমাদের সব অর্জন। এ অর্জনের ইতিহাস দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস। রাজনৈতিক নেতৃত্বের জীবন ও যৌবনের ওপর নেমে আসা নির্যাতনের ইতিহাস। কত স্বজন, কত প্রিয় সহকর্মীর মুখ হারিয়েছি এ অর্জনের ইতিহাস নির্মাণে। কত মায়ের বুক খালি হয়েছে। ভাই হারানোর বেদনায় কত বোনের কান্না, সন্তান হারানোর বেদনায় কত মায়ের আর্তনাদ আর লাখ লাখ মানুষের রক্তের সিঁড়িপথেই আমরা অতিক্রম করেছি জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের গৌরবময় অধ্যায়গুলো।

ঊনসত্তরের ২৪ জানুয়ারির ঝলমলে শীতের সকালটি আমাদের জীবনে অবিচল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল। সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসার আগেই ক্ষুব্ধ জনতার উত্তাল সংগ্রামের মুখে গণঅভ্যুত্থান ঘটে। সেদিনের ঢাকার সংগ্রামের দৃশ্য ভাবতে কতই না ভালো লাগে। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান যে বীরত্বের ইতিহাস রচনা করেছিল, সে ইতিহাসের কঠিন শিক্ষাই হলো, জনগণের সংগ্রাম দাবানলের মতো জ্বলে উঠতে সময় লাগে না। জনতার ঐক্য যখন এক সুতায় গাঁথা হয় তখন কোনো অপশক্তির ষড়যন্ত্র, অসত্য ও অসুন্দরের কালো পাহাড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। একজন স্বৈরশাসকের পতনের ইতিহাস যেমন করুণ তেমনি জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামই সত্য, চিরসুন্দর। আর তাই সত্যের জয় অনিবার্য। ১৭ জানুয়ারি দিনটি দুটি কারণে আমার জীবনে স্মরণীয়। ১৯৬৮ সালের এই দিনে আমি ডাকসু ভিপি নির্বাচিত হই। আর সে দিনই জেলখানা থেকে বঙ্গবন্ধু আমাকে আশীর্বাদ করে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়ে প্রত্যাশা করেছিলেন ডাকসু নেতৃত্বের সংগ্রামী ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধুর আশীর্বাদপুষ্ট হয়েই সেবারের ডাকসু ঐতিহাসিক ও সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছিল। ডাকসুসহ চারটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ঐতিহাসিক ১১ দফার ভিত্তিতে ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। '৬৯-এর ১৭ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুজিবের মুক্তি পর্যন্ত সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছিল বাংলার ছাত্রসমাজ। আইয়ুবের লৌহ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়ে '৬৯-এর ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল। সেই সংগ্রামের সাহসী সন্তানদের, আমার সহকর্মী-সহযোদ্ধাদের আজ তাই খুব বেশি মনে পড়ে। আমরা একসঙ্গে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের সংগ্রামে সফল হয়েছিলাম। আমরা বাংলার ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়েছিলাম।

আজ এই পরিণত বয়সে '৬৯-এর সেই অগ্নিঝরা প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা কিংবা ইতিহাসের উত্তাল পল্টনের দিকে যখন ফিরে তাকাই তখন রীতিমতো অবাক হই। ১৭ জানুয়ারি পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রী নিয়ে বটতলা থেকে যে আন্দোলন শুরু করেছিলাম, ১৮ জানুয়ারি সে সংগ্রামের স্রোতে সহস্রকণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল- 'শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, আইয়ুব খানের পতন চাই।' ১৯ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। সেদিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হয়। ২০ জানুয়ারি বটতলায় ছাত্র সমাবেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা। গাড়িবারান্দায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতে হয় আমাদের। ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া হাজার হাজার ছাত্রের মিছিলে গুলিবর্ষিত হলে আসাদ নিহত হয়। শহীদ আসাদের রক্তাক্ত শার্ট দিয়ে তৈরি হয় পতাকা। এখনো বনানীর বাড়ির ড্রইংরুমে প্রবেশ করে সেই শার্ট দিয়ে তৈরি পতাকার ছবিতে যখন চোখ আটকে যায়, যেন নতুন সংগ্রামের উদ্দীপনা পাই। আন্দোলন-সংগ্রাম-ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। ২১ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে আসাদের জানাজায় শোকে-ক্ষোভে উত্তাল জনসমুদ্র যেন এক শহীদের রক্ত ছাত্র-জনতার চেতনায় আগুন ছড়িয়েছে। প্রতিবাদ-প্রতিরোধে আপসহীন সংগ্রামের শপথ নিতে এসেছে সবাই। মওলানা ভাসানীসহ সব জাতীয় নেতাও এসেছেন জানাজায়। ডাকসু ভিপি ও সংগ্রাম পরিষদের মুখপাত্র হিসেবে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করি। ২২ জানুয়ারি কালোব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন। ২৩ তারিখ মশাল মিছিল আর ২৪ তারিখ ২টা পর্যন্ত হরতাল। ২২ তারিখ ঢাকায় সব বাড়ি আর গাড়িতে কালো পতাকা উড়ল। সে এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য। শোক নয়, যেন প্রতিবাদে জেগে উঠল নগরী। একটি মানুষও ঢাকায় দেখা গেল না যার বুকে শোকের চিহ্ন কালোব্যাজ নেই। ২৩ তারিখ ঢাকা নগরী মশাল মিছিলের নগরীতে পরিণত হলো, যেন প্রতিবাদের আগুনে জ্বলে উঠল ঢাকা। ২৪ তারিখ হরতালে, সকাল থেকে ছাত্র-জনতা নেমে এলো ঢাকায়। বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ। সচিবালয়ের পাশে আবদুল গণি রোডে মন্ত্রীর বাড়িতে আক্রমণ, পুলিশের গুলিতে নবকুমার ইনস্টিটিউটের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মতিউরের সঙ্গে মকবুল, রুস্তম মিলে চারজন নিহত হয়। লাশ নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পল্টনে যাই। সর্বত্র এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে ঢাকার সব মানুষ যেন বিক্ষোভে নেমে আসে রাজপথে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বললো ঢাকায়। দৈনিক পাকিস্তান, মর্নিং নিউজ অফিসে আগুন জ্বালানো হলো। এমএনএ এনএ লস্করের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সাক্ষীদের বাড়ি খুঁজতে থাকল জনতা। বিচারপতি এস এ রহমানের বাড়িতে আক্রমণ হলে তিনি লুঙ্গি পরে পালালেন। পল্টনে তিল ধারণের জায়গা নেই। মানুষ, মানুষ আর মানুষ। তারা গভর্নর হাউস আক্রমণ করতে চায়। বিনা মাইকে সে দিন পিনপতন নীরবতায় আমাকে বক্তৃতা করতে হয়। লাশসহ সবাইকে নিয়ে মিছিল করে আমরা ইকবাল হলের মাঠে চলে আসি। বিকাল ৩টার পর সান্ধ্য আইন জারি করা হয়। মানুষ তা অমান্য করে বানের স্রোতের মতো নেমে আসে রাজপথে।

এদিকে ২০ তারিখ আসাদের মৃত্যুর পর সংগ্রামে আসা ছাত্ররা পকেটে ঠিকানা লিখে নিয়ে আসত। এখনো ওই সংগ্রামের সাফল্য যেমন আনন্দ দেয়, মাথা উঁচু করে পথ চলতে প্রেরণা জোগায়, তেমনি মতিউরের পকেটে পাওয়া চিরকুটের কথা মনে পড়লে বুক ভারী হয়ে আসে। মতিউরের বুকপকেটে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল- 'মা, আমি মিছিলে যাচ্ছি। যদি ফিরে না আসি, তুমি মনে করো তোমার ছেলে বাংলার মানুষের জন্য জীবন দিয়ে গেছে। ইতি- মতিয়ুর রহমান, ১০ম শ্রেণি, পিতা আজহার উদ্দিন মল্লিক, নবকুমার ইনস্টিটিউট। ন্যাশনাল ব্যাংক কলোনি, মতিঝিল।' সান্ধ্য আইনের মধ্যে মতিয়ুরের লাশ তার মায়ের কাছে নিয়ে গেলে যে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় তা হৃদয় দিয়ে শুধু অনুভব করা যায়, ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। মতিয়ুরের মা বলেছিলেন, 'আমার সন্তানের রক্ত যেন বৃথা না যায়।' ২০ জানুয়ারি শহীদ মিনারে আসাদের রক্ত ছুঁয়ে আমরা যে শপথ নিয়েছিলাম, ২৪ জানুয়ারি মতিয়ুরের রক্তে সেই সংগ্রাম বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে। এদিকে ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান ঘটলে ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সান্ধ্য আইন বহাল থাকে। সান্ধ্য আইন প্রত্যাহারের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি পল্টন ময়দানে জনসভা। আমার জীবনে সেটিই পল্টনের প্রথম জনসভা। জনসভা নয়, যেন জনসমুদ্র। আমরা ১০ ছাত্রনেতা বক্তৃতা করি। সেদিনের শপথ দিবসের সভায় একটানা ৪৫ মিনিট বক্তৃতা করে যখন ইতি টানি তখন স্লোগানে স্লোগানে জনসমুদ্রে ঢেউ উঠেছে 'শপথ নিলাম, শপথ নিলাম, মুজিব তোমায় মুক্ত করব- শপথ নিলাম, শপথ নিলাম মাগো তোমায় মুক্ত করব।' মণি সিংহ, তাজউদ্দীন আহমদ, শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক, মতিয়া চৌধুরী, রাশেদ খান মেননসহ অনেকেই তখন কারাগারে। ছাত্র-জনতার বুকের আগুনে ১১ দফার আন্দোলন আর শেখ মুজিবের মুক্তির দাবি এক হয়ে গেল। ছাত্র-জনতা মুজিবকে না নিয়ে ঘরে ফিরবে না। সভা শেষে সংগ্রামী জনতার ঢল ছুটল কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে। আজও সেসব স্মৃতি আমার মানসপটে ভেসে ওঠে। প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক বিক্ষুব্ধ মানুষের মিছিলকে সেদিন কারাগারের সামনে থেকে আমরা ফিরিয়ে এনেছিলাম।

এদিকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পল্টনে 'ডাক'-এর আহ্বানে জনসভা। সেদিনই বঙ্গবন্ধু আমায় দেখতে চেয়ে কারাগারে ডাকেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টের কারাগারে আমাকে দেখা করাতে নিয়ে যান। মাজদা গাড়ি ড্রাইভ করেছিলেন শেখ কামাল। সেখানেই বঙ্গবন্ধু আমাকে বুকে জড়িয়ে আদর করেছিলেন। সেসব ভাবলে এখনো বুক ভরে যায়, দুচোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে। কী উষ্ণ ভালোবাসাই না ছিল বঙ্গবন্ধুর হৃদয়পটজুড়ে। বিকালে ডাকের জনসভায় গেলে সভাপতি পদে নূরুল আমিনের নাম প্রস্তাব হলে জনতা প্রত্যাখ্যান করে। তখন আমাকে মঞ্চে নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর ছবি বুকে লাগিয়ে বক্তৃতায় জনতার সমর্থন আদায় করে বলি, শেখ মুজিবের মুক্তি ছাড়া গোলটেবিল নয়। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের নেতা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। নেতা ফিরে আসবেন, তাকে মুক্ত না করে আমরা ঘরে ফিরব না। ওই রাতেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হক, ফজলুল হককে কারাগারে গুলি করা হয়। সার্জেন্ট জহুরুল হক নিহত হন। প্রতিবাদে জনতা নেমে আসে রাজপথে। ১৫ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি আবার সান্ধ্য আইন জারি হয়। ১৮ তারিখ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. শামসুজ্জোহা গুলিতে মারা যান। ২০ তারিখ সান্ধ্য আইনের মধ্যে ঢাকা মশাল মিছিলের নগরী হয়ে উঠলে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার করা হয়। ২১ তারিখ শহীদ দিবসে পল্টনের মহাসমুদ্র থেকে ঘোষণা করি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শেখ মুজিবসহ রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। ভাবতে দারুণ ভালো লাগে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষে আমাদের আল্টিমেটামের পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামিসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি দিতে সরকার বাধ্য হয়। লাখ লাখ মানুষ তখন ছুটে গেল পল্টনে তাদের প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে দেখতে। কিন্তু শিক্ষা ভবনের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে আমরা ফিরিয়ে নিয়ে গেলাম ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটিতে। পল্টনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ জনতাকে বললাম, ২৩ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতার সংবর্ধনা। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেন জনতার বাঁধভাঙা জোয়ার। সভাপতিত্ব করলেও রীতিভঙ্গ করে নেতার আগেই বক্তৃতায় হৃদয়ের গভীর থেকে উচ্চারিত হয় সত্যবচন- যে নেতা তার জীবনের যৌবন কাটিয়েছেন পাকিস্তানের কারাগারে। ফাঁসির মঞ্চে বাঙালির মুক্তির কথা বলেছেন, সে নেতাকে কৃতজ্ঞচিত্তে জাতির পক্ষ থেকে একটি উপাধি দিতে চাই। ১০ লাখ লোক ২০ লাখ হাত উঁচিয়ে সম্মতি জানিয়েছিল। কৃতজ্ঞচিত্তে শেখ মুজিবকে জাতির পক্ষ থেকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করা হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনজোয়ারই শুধু নয়, সমগ্র জাতি তখন আনন্দ আর কৃতজ্ঞতায় আবেগাপ্লুত হয়েছিল। পল্টনে শপথ গ্রহণের ১৪ দিনের মাথায় বঙ্গবন্ধু মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বন্দী এবং অপরাপর রাজনৈতিক নেতাদের আমরা মুক্ত করেছিলাম। দুই বছরের মাথায় প্রিয় নেতার নেতৃত্বে আমরা দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পেরিয়ে '৭০-এর নির্বাচনের ঐতিহাসিক গণরায় নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিলাম। 'বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর', 'জাগো জাগো, বাঙালি জাগো', 'তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা'- হৃদয় উজাড় করা স্লোগানে বাঙালি জাতি নেতার নির্দেশে এক স্রোতে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৭১-এ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা ধর্মীয় উন্মাদনার তথা সাম্প্রদায়িকতার কবর রচনা করেছিলাম।

আজ যখন স্মৃতিকথা লিখতে বসেছি তখন বারবার মনে পড়ছে '৬৯-এর ১১ দফা আন্দোলনের অন্যতম প্রণেতা আবদুর রউফ, সাইফুদ্দীন মানিক, ইব্রাহিম খলিলের কথা। মনে পড়ছে, মণি ভাই, রাজ্জাক ভাইসহ অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর কথা। সিরাজ ভাই আজও বেঁচে আছেন। শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমি তার কাছে খুব ঋণী। কারণ '৬৯-এ যখন মণি ভাই, রাজ্জাক ভাইসহ অন্য নেতারা কারাগারে ছিলেন তখন ছায়ার মতো কাছে রেখে সিরাজুল আলম খান আমাকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন। প্রতিটি কর্মসূচিতে তার অবদান ছিল। আমি সবসময় তার কথা মনে করি। আজকে লিখতে বসে রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে আমার স্মৃতিময় বহু ঘটনাই মনে পড়ে যাচ্ছে। রাজ্জাক ভাই আমাকে সঙ্গে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে ঘুরে কত শ্রম দিয়ে ছাত্রলীগকে গড়ে তুলেছেন। আমি একটি মোটরসাইকেল চালাতাম। আমার বাইকের পেছনে বসে তিনি কত জায়গায় যেতেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি পরিশ্রম করেছেন ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য। পরবর্তীকালে জাতীয় রাজনীতিতে তিনি অবদান রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অপরিসীম। সবার ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার ছিলেন বলে মৃত্যুর পর জাতি তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় সম্মানিত করে সমাহিত করেছে। গণমানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা আমরা পেয়েছি। যখন ডাকসুর ভিপি ছিলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম, গণআন্দোলন সংগঠিত করতে আমরা যখন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যেতাম কী আদর-ভালোবাসা যে পেতাম মানুষের কাছ থেকে তা আমি আজ লিখে-বলে বোঝাতে পারব না। হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ আমাদের একনজর দেখতে, একটিবার বুকে টেনে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত। যখন কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যেতাম সেখানে মানুষ ভিড় করত। আমরা যখন লঞ্চে বাড়ি যেতাম, তখন যাত্রীরা আকুল আগ্রহে বলত, আমাদের জন্য কিছু কথা বলেন, আমরা আপনার কথা শুনব। রাজনৈতিক জীবনে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। কিন্তু রাজনীতির সূচনায় ছাত্রজীবনে আন্দোলন-সংগ্রাম সংগঠিত করতে গণমানুষের কাছ থেকে আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি সেটি আমার জীবনের স্বর্ণযুগ। এ যুগ আর কোনোদিন ফিরে পাব না।

আসাদ-মতিয়ুর-মকবুল-রুস্তম-সার্জেন্ট জহুরুল হক-ড. শামসুজ্জোহার রক্তে রঞ্জিত সেই '৬৯-এর ১১ দফা আন্দোলন। আজ যখন এই লেখা লিখছি তখন অতীতের অনেক স্মৃতি আমার মানসপটে ভেসে উঠছে। আমি কোথায় ছিলাম কোথায় এলাম। এক অখ্যাত পাড়াগাঁয়ে আমার জন্ম। যে পাড়াগাঁয়ে পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হতো। রাস্তা-পুল-কালভার্ট-বিদ্যুৎ কিছুই ছিল না। আজ সেই পাড়াগাঁ শহরে রূপান্তরিত হয়েছে। সেই অখ্যাত পাড়াগাঁয়ের একটি ছেলে আজ আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করে আমার দফতরে বসে এই লেখা লিখছি। সেদিন যারা আন্দোলন করতে গিয়ে হারিয়ে গেছে আজ তারা বেঁচে থাকলে হয়তো আমার চেয়ে বড় নেতা হতে পারতেন। আমি সত্যিই খুব ভাগ্যবান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্নেহে ও আদর্শে আমি বড় হয়েছি। ছাত্র জীবন শেষে বঙ্গবন্ধু আমাকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে রাখতেন। স্বাধীনতার পর মাত্র ২৯ বছর বয়সে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় আমাকে তার রাজনৈতিক সচিব করেছিলেন। ২৭ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য করেছেন। কত ঋণী আমি বঙ্গবন্ধুর কাছে। বিশ্বের যেখানেই গেছেন আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থেকে রাজনীতি করে আজ বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার শেখ হাসিনার সঙ্গে থেকে রাজনীতি করে চলেছি। তিনি জাতির জনকের স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে চান। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি তাহলে আমরা এই বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে পারব।

ঊনসত্তরের মহান গণঅভ্যুত্থান শিখিয়েছে কীভাবে ভোটাধিকার আদায় ও সংরক্ষণ করতে হয় এবং যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয় বরং জনকল্যাণের জন্যই আমাদের রাজনীতি নিবেদিত। যারা তথাকথিত আন্দোলন-অবরোধের নামে প্রিয় দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করতে মা-বোনের বুক খালি করছে, নিষ্পাপ শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করছে। আমি মনে করি, বাংলার মানুষ উপলব্ধি করেছে তারা আর যাই হোক রাজনীতিবিদ নয়। রাজনীতিবিদ কখনোই চলন্ত গাড়ির মধ্যে পেট্রলবোমা মারে না। রাজনীতি কখনোই এভাবে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করে না। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি মানুষের অধিকার আদায়ের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সংস্কৃতি। আমি বিশ্বাস করি বাংলার জাগ্রত মানুষ যেভাবে '৭১-এ হাতিয়ার তুলে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে একদিন বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে, সেই বাংলার মানুষ সব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে সক্ষম হবে।

লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা, মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ঋণ পুনঃ তফসিল
ঋণ পুনঃ তফসিল
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী
একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী
ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন
ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

নগর জীবন

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দেশগ্রাম

কিশোর গ্যাংয়ের স্পিডবোট মহড়া
কিশোর গ্যাংয়ের স্পিডবোট মহড়া

দেশগ্রাম

দুর্ভোগ
দুর্ভোগ

নগর জীবন

সোশ্যাল মিডিয়া-ইউটিউবে সরব তারকারা
সোশ্যাল মিডিয়া-ইউটিউবে সরব তারকারা

শোবিজ

ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন
ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন

সম্পাদকীয়

একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী
একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী

সম্পাদকীয়