শিরোনাম
শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ইহরামের নিয়তের মাধ্যমে শুরু হয় হজের কার্যক্রম

মাওলানা মুহম্মাদ আশরাফ আলী

হজ ও ওমরাহ কিংবা এই উভয় ইবাদতের নিয়তের পর তালাবিয়া পাঠ করতে হয়। যাকে ইহরাম বলে। ইহরামের নিয়ত করার মাধ্যমে হজ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয়। হজের উদ্দেশ্যে যারা বাংলাদেশ থেকে প্রথমে মক্কা যাওয়ার নিয়ত করেন তাদের জন্য শরিয়ত নির্ধারিত স্থান অর্থাৎ মিকাতে ইহরাম বেঁধে নেওয়া জরুরি। বাংলাদেশি বা এ অঞ্চলের হাজীদের জন্য শরিয়ত নির্ধারিত মিকাতের স্থান হলো ইয়ালামলাম। বিমানে এ জায়গা কখন অতিক্রম করা হয় তা সঠিকভাবে অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি মনে রেখে যারা বিমানে করে হজ করার জন্য সফর করেন তাদের বিমানে ওঠার আগে ইহরাম বেঁধে নেওয়া উচিত। তবে যারা আগে মদিনা পৌঁছার ইচ্ছা করেন, তাদের ইহরাম না বেঁধেই রওয়ানা হতে হবে। জেদ্দা পৌঁছে সরাসরি মদিনা শরিফ চলে যেতে হবে। মদিনা থেকে প্রত্যাবর্তনের পথে যুলহোলায়ফা যা বর্তমানে ‘বীরে আলী’ নামে পরিচিত সেখানে ইহরাম বেঁধে মক্কা পৌঁছাতে হবে।

ইহরাম বাঁধার পর থেকে ইহরাম খোলা পর্যন্ত নিম্নের কাজগুলো নিষিদ্ধ। ১. ক্ষৌরকার্য থেকে বিরত থাকতে হবে। ২. নখ কাটা বা ছিঁড়ে ফেলা যাবে না। ৩. মাথায় ও দাড়িতে এমনভাবে হাত বুলানো যাবে না— যাতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বিষয়ে অজু গোসলের সময়ও সাবধান থাকতে হবে। ৪. স্ত্রী সঙ্গে থাকলে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক বা এ সম্পর্কীয় কোনো আলোচনা না করা। ৫. গোসল বা কাপড় কাচার সুগন্ধিযুক্ত সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। ৬. স্থলজ প্রাণী নিজে শিকার করা অথবা অন্যের শিকারে কোনোরূপ সাহায্য সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ৭. ঝগড়া-বিবাদ থেকে মুমিনদের দূরে থাকা উচিত। এটি ইহরামের অবস্থায় আরও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ইহরাম বাঁধা অবস্থায় সেলাইযুক্ত কাপড় : যা শরীরের পরিমাপে বানানো হয়েছে; কোর্তা, পায়জামা, টুপি, গেঞ্জি, আচকান, দস্তানা, মোজা ইত্যাদি পরা নিষেধ। সব ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। সুগন্ধিযুক্ত জর্দা এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকাও বাঞ্ছনীয়।  ইহরাম বাধা অবস্থায় জেগে থাকা কিংবা ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত হোক মাথা কিংবা চেহারা ঢাকা নিষিদ্ধ। এমনকি এ সময় এমন কোনো জুতা বা স্যান্ডেল পরা যাবে না যা পরলে পায়ের মধ্যবর্তী উঁচু হাড় ঢাকা পড়ে যায়।

     লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর