বৈদেশিক আক্রমণ ও অভ্যন্তরীণ নৈরাজ্য যখন পারস্যকে গ্রাস করেছিল তখন আমির মুরশিদ কুলির সহযোগিতায় ১৬ বছর বয়সী যুবরাজ আব্বাস পিতার স্থলাভিষিক্ত হন। ১৫৮৭ খ্রিস্টাব্দে শাহ আব্বাস সাফাভি সিংহাসনে পিতা শাহ মুহাম্মদ খুদাবান্দার রাজত্বে খোরাসানের শাসনকর্তা ছিলেন। শাহ আব্বাস বলিষ্ঠতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা, চক্রান্ত ও অরাজকতা দূরীভূত করার জন্য শাহ আব্বাস কঠোর নীতি অবলম্বন করেন। উচ্চাভিলাষী ও চক্রান্তকারী উপজাতীয় গোত্রদের তিনি কঠোর হস্তে দমন করেন। তিনি সর্বপ্রথম কিজিলবাস গোত্রের বিরোধিতা মোকাবিলা করেন। অবশ্য এ কথা সত্য, তিনি এই গোত্রের সহায়তায় বিশেষ করে মুরশিদ কুলির সাহায্যে ক্ষমতা লাভ করেন। মুরশিদ কুলি তরুণ শাহের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইলেন এবং কিজিলবাস উপজাতির বিভিন্ন গোত্র ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়িত হয়ে পড়লে শাহ আব্বাস এই দ্বন্দ্ব ও নৈরাজ্য নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর হলেন। মুরশিদ কুলি গুপ্ত ঘাতকের হাতে প্রাণ হারান এবং বিদ্রোহী গোত্রগুলো শাহের আনুগত্য ও বশ্যতা স্বীকার করে। হজাফর খান