বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা সমস্যা

আঞ্চলিক শান্তির জন্য বিষফোঁড়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আইওআরএ সম্মেলনের সাইড লাইনে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বান তাত্পর্যের দাবিদার। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ, রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের মতোই ইন্দোনেশীয়দের সহজাত সহানুভূতি থাকাই স্বাভাবিক। ইন্দোনেশিয়া আসিয়ানভুক্ত বৃহত্তম দেশ এবং মিয়ানমারও এ অর্থনৈতিক জোটের সদস্য। বলা যায় যে সব দেশ রোহিঙ্গা সমস্যার ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর সবচেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে ইন্দোনেশিয়া তার মধ্যে সামনের কাতারে। এ মানবিক সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়া ইতিমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে এবং সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে শরণার্থীদের দুঃখ দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেছেন। ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতার বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যে সম্মেলন হচ্ছে তার থিম হলো শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা। রোহিঙ্গা সমস্যা সহযোগিতার পরিবেশকে অনেকাংশে বিঘ্নিত করছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যা। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্কের টানাপড়েন সৃষ্টির ক্ষেত্রে এ সমস্যার যোগসূত্র রয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সরকারের চণ্ডাল নীতির অবসান ঘটাতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিঃসন্দেহে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এতে বাংলাদেশের মাথা ঘামানোর কিছু নেই। বাংলাদেশ শুধু চায় সে দেশ থেকে বাংলাদেশে শরণার্থী আসার ঘটনা আর না ঘটুক। যে পাঁচ লাখ শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তারা স্বদেশে ফিরে যাক। মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য এবং শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে আঞ্চলিক শান্তির জন্য বিষফোঁড়া হিসেবে বিরাজমান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে তারা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেবে এমনটি কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর