বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইতিহাস

বাবর-ইবরাহিম লোদির যুদ্ধ

ইবরাহিম লোদি প্রায় ১ লাখ সৈন্য ও ১০০ হাতি নিয়ে বাবরের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। তখন বাবরের সৈন্যসংখ্যা লোদির চেয়ে অনেক কম ছিল, সাকল্যে ২৫ হাজারের মতো। ১৫২৬ সালের ২১ এপ্রিল সংঘটিত এই যুদ্ধটি পানিপথের প্রথম যুদ্ধ নামে খ্যাত এবং বাবর ও লোদির মধ্যে প্রধান সংঘাত। যুদ্ধে ইবরাহিম লোদি নিহত হন এবং তার বাহিনীকে পরাজিত করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বাবর দ্রুত দিল্লি ও আগ্রা উভয়ের দখল নেন। ওইদিনই বাবর হুয়ায়ুনকে আগ্রা যাওয়ার আদেশ দেন জাতীয় ধনসম্পদ লুটপাটের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। হুমায়ুন সেখানে রাজা গোয়ালিয়রের পরিবারকে পান। রাজা যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা লাভের আশায় হুমায়ুনকে একটি বড় হীরা দেন। এ হীরাটিকে বলা হতো ‘কোহিনুর’ বা আলোর পর্বত। ধারণা করা হয়, এটি তারা তাদের রাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য হুমায়ুনকে উপহার দেন। বাবর বিজয়ের তৃতীয় দিন দিল্লি পৌঁছেন। তিনি তার উপস্থিতি উদ্্যাপন করেন যমুনা নদীর তীরে এবং সেখানে শুক্রবার পর্যন্ত উৎসব স্থায়ী করা হয়। পরে মুসলমানরা শোকরানা নামাজ আদায় করে এবং জামে মসজিদে বাবর নিজের নামে খুতবা শোনেন। পরে তিনি আগ্রার দিকে অগ্রসর হন ছেলের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। বাবরকে সেই হীরাটি দিয়ে গ্রহণ করে নেওয়া হয়। বাবর বলেছিলেন, আমি তাকে এটি ফিরিয়ে দিলাম এবং একজন বিশেষজ্ঞ অলঙ্কারবিদ বললেন, এর মূল্য দিয়ে পৃথিবীর সব লোককে আড়াই দিন খাওয়ানো যাবে। পরবর্তী ২০০ বছর এটি ‘বাবর হীরা’ নামে পরিচিত ছিল।

দিল্লি ও আগ্রা দখলের পরও বাবর মেওয়ারের রাজপুতরাজ রানা সিংহের দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাতে লাগলেন। বাবরের অভিযানের আগে রাজপুতের জমিদাররা সালতানাতের কিছু এলাকা জয় করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তারা বাবরের নতুন রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি অঞ্চল সরাসরি শাসন করতেন যা রাজপুতানা নামে পরিচিত ছিল।

সর্বশেষ খবর