মশার উৎপাত থেকে কিছুতেই রক্ষা পাচ্ছে না রাজধানীর পৌনে দুই কোটি মানুষ। সন্দেহ নেই মশা শত বছর ধরেই রাজধানীবাসীর জন্য এক সাক্ষাৎ যন্ত্রণার নাম। মশার উৎপাত বন্ধে সাম্প্রতিককালে দুই সিটি করপোরেশনের তৎপরতা বাড়লেও সাফল্য সে অর্থে কম। বিশেষত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এ ক্ষুদ্র কীটের আগ্রাসন তুলনামূলকভাবে বেশি। চলতি বছর মশা নিধনে উত্তর ঢাকার বাজেট বরাদ্দ ২১ কোটি টাকা, দক্ষিণের ২৩ কোটি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মশার ওষুধ ছিটানোর মেশিন ৯৪০টি। এর মধ্যে আছে হস্তচালিত ¯েপ্রয়ার, ফগার ও হুইল ব্যারো মেশিন। তবে তাদের অর্ধেক মেশিনই প্রায় অচল। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মশা নিধনের মেশিন আছে ৬৫৩টি। সেখানেও নষ্ট প্রায় অর্ধেক। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য পাঁচ-ছয়জন করে কর্মী নিযুক্ত আছে। তাদের দিনে দুবার ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও নগরবাসী মশা নিধন কর্মীদের দেখতে পায় কালেভদ্রে। সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের দাবি, বাসাবাড়ির আঙিনা, ফুলের টব, ছাদের বাগান, ভবনের চৌবাচ্চা, এসি-ফ্রিজ থেকে জমা পানিতে মশার বংশবিস্তার ঘটছে বেশি। ওইসব স্থানে মশককর্মীরা যেতে পারে না। কর্মীরা সঠিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণের কাজ করলেও নাগরিক সচেতনতার অভাবে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। নগরবাসী সচেতন হলে মশা নিধনে আরও বেশি সাফল্য অর্জিত হবে। দায় এড়ানোর ছলাকলার পাশাপাশি মশা নিধনের ওষুধের মান নিয়েও প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মানহীন ওষুধ সরবরাহের অভিযোগে একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মশা নিধনে সবচেয়ে আগে দরকার মশা উৎপাদনকারী ডোবা ও নালাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতা থাকায় প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের পরও সুফল নিশ্চিত হচ্ছে না। নাগরিক সচেতনতার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে রাজধানী ও আশপাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন ডোবানালাগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত হলে মশার প্রজনন প্রক্রিয়ায় আঘাত হানা সম্ভব হবে। মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে হলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে