সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

রমজানের প্রাপ্তি ও শিক্ষা

শাহ মাহমুদ হাসান

রমজানের প্রাপ্তি ও শিক্ষা

রমজান মাস হচ্ছে মোমিনের জীবনের বড় নেয়ামতের নাম। এই মাসের মাঝেই রয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও মুক্তির নিশ্চয়তা। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহে রমজানকে রহমত, মাগফিরাত ও মুক্তির মাস বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটি এমন একটি মাস, যার প্রথম ভাগে আল্লাহর রহমত, মধ্যভাগে মাগফিরাত এবং শেষ ভাগে রয়েছে দোজখের আগুন থেকে মুক্তিলাভের আয়োজন’ (বায়হাকি, হা/৩৬০৮)।

মঙ্গল ও কল্যাণের মাস : সচেতন ও বিবেকবানদের জন্য এ মাসে রয়েছে অফুরান কল্যাণ ও মঙ্গলের নিশ্চয়তা। আল্লাহতায়ালার ইরশাদ, ‘আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্য বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। সূরা বাকারা-১৮৩। এ মাসে একজন আহ্বানকারী আহ্বান করতে থাকেন, হে কল্যাণের অন্বেষণকারী! সম্মুখে অগ্রসর হও। আর হে অকল্যাণের অন্বেষণকারী! থেমে যাও। এ মাসে আল্লাহতায়ালা জাহান্নামিদের দোজখের আগুন থেকে মুক্তি দেন। আর এটা প্রতি রাতেই সংঘটিত হয়ে থাকে’ (তিরমিজি, হা/৬৮২)।

ক্ষমা ও মুক্তির মাস : রোজার মাধ্যমে বান্দার জীবনের অপরাধ ক্ষমার ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির আশ্বাস রয়েছে। রসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইমান সহকারে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজানের রোজা রাখে তার আগের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে’ (বোখারি-৩৮)। তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা রমজান মাসের প্রত্যেক দিন ও রাতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন এবং প্রত্যেক মোমিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করতে থাকেন (মুসনাদে আহমাদ-৭৪৫০)।

রমজানের শিক্ষা : রমজান এমন একটি কর্মশালা যেখানে রোজাদারকে সুনাগরিক বানানোর জন্য দেওয়া হয় বহুবিধ প্রশিক্ষণ। বাস্তব জীবনে কীভাবে নিজেকে সংশোধন করবে, কীভাবে আল্লাহর হুকুমের প্রতি আস্থাশীল হবে, কীভাবে হারাম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে ইত্যাদি প্রশিক্ষণ এ মাসে পাওয়া যায়। সামাজিক জীবনে চলমান অশান্তি এবং অস্থিরতা দূর করতে হলে পরিবর্তন আনতে হবে মানুষের মানসিকতায়। আর রমজানের শিক্ষাই পারে মানুষের অন্তর জগতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাতে। মানুষের চরিত্র ও মানসিকতায় পরিচ্ছন্নতা ও দৃঢ়তা সৃষ্টিতে রমজানের শিক্ষার বিকল্প নেই।  

লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর