মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আমরা কোথায় চলেছি

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

আমরা কোথায় চলেছি

আজ মহাবিজয়া। হিন্দু সমাজের সবচাইতে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। যদিও বেদ-বেদান্তে দুর্গাপূজার শিকড় পাওয়া যাবে না। দেড়-দুই শ বছর আগে দুর্গাপূজার শুরু হয়েছিল রাজশাহীর নাটোরে। এখন দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দু সমাজের সবচাইতে বড় পূজা। মহালয়ার দিন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত হিন্দু সমাজ উদ্বেল উতলা হয়ে থাকে। তাদের পূজা ভালোয় ভালোয় কাটায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং দেশবাসীর পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানাচ্ছি। আমরা যাতে সাম্প্রদায়িক প্রীতির মেলবন্ধনে আনন্দময় আগামী দিন কাটাতে পারি সেই কামনাই করি।

সপ্তাহজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ছিল যুবলীগ নেতা সম্রাটকে নিয়ে। অবাক লাগছে আমাদের এত দক্ষ-যোগ্য প্রশাসন, তার চেয়ে চৌকস গোয়েন্দা। ক্যাসিনোর পান্ডাদের গ্রেফতারের অভিযান শুরু হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর। ক্যাসিনো সম্রাট তার অফিসে লোকজন নিয়ে সেদিন অবস্থানে ছিলেন। তার কর্মীরা নেতার প্রতি প্রশাসনিক কোনো পদক্ষেপ নিলে তা প্রতিহত করতে প্রস্তুতি নিয়েছিল। সেই তখন থেকেই রাষ্ট্রের নজরে সম্রাট। সেই নজর এড়িয়ে দুই দিন পরই নাকি সম্রাট আর আরমান চৌদ্দগ্রাম গিয়েছিল। কারও চোখে পড়েনি। আমি দিল্লিতে ডান চোখে ছানি কেটেছিলাম ২০-২২ বছর আগে। আর এ বছর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর ড. জাফর খালিদের হাতে বাঁ চোখের ছানি কেটেছি। যদিও চশমা ছাড়া পড়তে লিখতে পারি না। কিন্তু দূরে সব দেখি ঝকঝকে তকতকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ছানি কেটেছেন লন্ডনে। তাঁর সফল অস্ত্রোপচারের পর রাষ্ট্রীয় কোনো সংস্থার চোখে ছানি থাকার কথা নয়। তাই কী করে সম্রাট ঢাকা থেকে চৌদ্দগ্রাম গেল- এটা কোনো পাইক-বরকন্দাজ পুলিশের চোখে ধুলা দিয়ে পালিয়ে গেলে ভাবার কথা ছিল না। কিন্তু স্বয়ং সম্রাট যদি এভাবে পালিয়ে যায় তাহলে দুশ্চিন্তা না করে পারা যায় না, থাকাও যায় না। এমন হলে আমাদের ভরসা কোথায়? শুনলাম, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সম্রাটকে গ্রেফতারের গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিলেন। তার পরও দীর্ঘদিন ধরা হয়নিÑ এ কীসের আলামত? এটা তো কোনো ভালো কথা নয়। আমরা কিছু মানুষ স্বাধীনতার পরপরই শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে যুবলীগ করেছিলাম। সেই ফজলুল হক মণি ভাইয়ের ছেলে তাপসের মারাত্মক হুঁশিয়ারিতে শেষ পর্যন্ত রবিবার চৌদ্দগ্রামের কাছে আরমান আর সম্রাট ধরা পড়ে। এরা কোনো মানুষের মধ্যে পড়ে কিনা জানি না, পালানোর পথে ধরা পড়ার সময়ও নাকি ইয়াবার নেশায় বুঁদ ছিল। চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম রাস্তার ২০০-৩০০ গজের মধ্যে ভারত সীমান্ত। এত বড় বাঘা মস্তান এত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখে ধুলা দিয়ে ঢাকা থেকে চৌদ্দগ্রাম যেতে পারল কিন্তু সীমান্ত পার হয়ে মামাবাড়ি যেতে পারল না-  ভাবতেও অবাক লাগে। এরা বঙ্গবন্ধুর না হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দলটাকে মানুষের কাছ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার পর পর শেখ ফজলুল হক মণির সঙ্গে যে যুবলীগের জন্ম দিয়েছিলাম, সেই যুবলীগের সিটি পর্যায়ের একজন নেতার বিলাসবহুল বাগানবাড়ি, কাকরাইলে বিশাল অফিস- এসব ভাবতেই যেন কেমন লাগে, আমরা আছি কোথায়? এখনো বউ টাকা চাইলে ৫-১০ হাজারের বেশি দিতে পারি না, একমাত্র ছেলেকে ১০ হাজার দিলে মাঝেমধ্যে নেয়, আবার কখনোসখনো ফেলে দেয়, ছোট মেয়ে কুশি মাঝেমধ্যে ডিমান্ড নোট দেয়-  Dear Father, I need some rupies five thousand only. Thank You, Your daughter Kushi Siddique.  হাতের লেখা চমৎকার। আমাদের পরিবারে অনেকের থেকে ভালো এমনকি ব্যারিস্টার কুঁড়ির চাইতেও ভালো। আমি ছাড়া আমার পরিবারের সবার হাতের লেখা ভালো। তার মধ্যে লতিফ ভাইয়ের লেখা হিংসা করার মতো। এখন হাত কাঁপে, কেমন লেখা হয় জানি না। বছরখানেক তাকে লিখতে দেখিনি। জেলখানায় তার হাত খুবই কাঁপতে দেখেছি। তাই এখন যে কার লেখা সব থেকে ভালো দিব্যি করে বলতে পারব না। কিন্তু আমার মনে হয় কুশির লেখা বড় ভাইয়ের পরই ভালো বা সুন্দর। ছেলেমেয়েকে ৫-১০ হাজার টাকা দিতেও মাঝেমধ্যে কষ্ট হয়। বউ মাসে ৫০-৬০ হাজার খরচ করে। বাজারে গেলেই তো ১-২ হাজার। সেদিন আলমগীরকে বাজারে পাঠিয়েছিলাম। সামান্য মাছ এনেছিল, দাম হাজার-বারো শ। সংসার চালাতে সত্যিই কষ্ট। কিন্তু এদের কোটি কোটি। এদের টাকার কাছে আমরা কী? খুবই কষ্ট হয়।

রবিবার টিভিতে প্রায় সারা দিন সম্রাট সম্রাট আর সম্রাট। যাক, তবু রাস্তাঘাটে যে লোকজন বলাবলি করছিল- ভদ্রলোক নেই। তাকে মেরে ফেলেছে। তা যে হয়নি সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ। অনেক নাম জানাজানি হবে। কোথায় কার সঙ্গে যোগাযোগ আমাদের জানানো হোক আর না হোক, জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গোপন কথা বেরিয়ে আসবে যা ভাবীকালে কোনো না কোনো দিন কিছু না কিছু কাজে লাগবে। তবে শুধু ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগকে শুদ্ধ করে শুদ্ধি অভিযান সফল হবে না। দেশে সত্যিই সংস্কৃতি নেই, খেলাধুলা নেই, লাইব্রেরি নেই, বিশুদ্ধ ক্লাব নেই। ছেলেবেলায় আমরা স্কুলে খেলতাম। প্রায় দেড়-দুই-তিন মাস স্কুল ফুটবল, কলেজ ফুটবল, থানা ফুটবল হতো। থানায় থানায় ফুটবল জেলায় আসত, জেলায় লীগ খেলা হতো। খেলা আর খেলা। স্কুল-কলেজে খেলা, পাড়ায় পাড়ায় খেলা, নাটক। একটা নাটকের জন্য পাড়ার ছেলেমেয়েরা ২০-৫০ জন দু-তিন মাস রিহার্সেল দিত, তারপর নাটক মঞ্চস্থ হতো। যারা অংশ নিত তাদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা, যারা এক-দুই দিন দেখত তারাও অভিভূত হতো। আজ সেসব কোথায় মিলিয়ে গেছে কেউ জানে না। যে কারণে ক্যাসিনো-ইয়াবা-ফেনসিডিল-হেরোইন। জীবনে একটি বিড়ি-সিগারেট ধরিনি তাই ওসবের নামও মনে রাখতে পারি না। তবু দেখা যাক, দেশে যদি চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-হাটবাজারবাজি বন্ধ হয়, আমরা স্বস্তি পাই সে-ই ভালো।

এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আড়াই বছর পর ভারত সফরে গিয়েছিলেন। মনে হয় প্রাপ্তি খুব বেশি নেই। যা দিয়েছেন পেয়েছেন তার চাইতে অনেক কম। ভারতের সঙ্গে আমরা বন্ধুত্ব চাই সেটা শুধু সরকারের সঙ্গে সরকারের নয়, ভারতের জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের অবাধ সন্দেহমুক্ত একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠুক এবং যে বন্ধুত্বে কোনো খাদ থাকবে না। যেটা হবে একেবারে নিখাদ পবিত্র বন্ধুত্ব। কারণ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমরা লাখো প্রাণ বিসর্জন দিয়েছি। ভারতের কয়েক হাজার সেনাও প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেÑ এই অকাট্য সত্যকে কেন আমরা পূর্ণ মর্যাদা দিতে পারব না। শুনেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ১৪-১৫টা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতটি হয়েছে, দু-তিনটি কার্যক্রম যৌথভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। খুবই ভালো কথা। তিস্তায় আমরা এক ফোঁটা পানিও পাইনি বরং তাদের দরকার তাই মানবিক কারণে ফেনী নদী থেকে বেশ কিছুটা পানি তাদের দিয়েছি।

চাইলে আমরা আরও দেব, কিন্তু আমরা যে মরুভূমি হয়ে যাচ্ছি, তিস্তা থেকে প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছি না- এ কেমন কথা? কৃষিকাজের জন্য পানি ব্যবহার- সে নিয়ে কোনো কথা ছিল না। কিন্তু তিস্তার পানি তো অন্য নদীতে ফেলে দিক বদল করা হচ্ছে সেটা যে আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে কী বলবেন। তিনি পিয়াজের কথা বলেছেন, জিনিসটা এভাবে হালকা করে দেখার কী আছে? ৫-৭-১০ হাজার মাসে যাদের উপার্জন, একজন রিকশাওয়ালা সারা দিন প্যাডেল মেরে যে ৪০০-৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরে সে যদি পিয়াজ কিনতে সব ফুরিয়ে ফেলে তাহলে বউ-পোলাপানকে খাওয়াবে কী? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবিনয় নিবেদন, জিনিসটা হাসি-তামাশার নয়। কিছু ধান্দাবাজ এই কদিনে কত শত হাজার কোটি শুধু পিয়াজ নিয়ে পিয়াজি করে কামিয়ে নিয়েছে- এসবের জবাব কী? এদেরও তো আমার জি কে শামীম, খালেদ ভূঁইয়া, সেলিম, লোকমান, আরমান, সম্রাট ছাড়া কিছু মনে করতে পারি না। এদের বিচার কে করবে, কীভাবে করবে? ভাবছি আর ভাবছি। বড় কষ্ট হয়, যাওয়ারকালে যদি দেশে স্বস্তি ও শান্তি দেখে যেতে পারতাম তাহলে মনে করতাম সন্তানগুলোকে অগ্নিকুন্ডে নয়, এক অনাবিল নিরাপদ সমাজে রেখে গেলাম- যে প্রত্যাশা ছিল চিরকাল। আমরা বঞ্চিত হয়েছি, লাঞ্ছিত হয়েছি, কষ্ট করেছি, মর্যাদাহীন নিরাপত্তাহীন থেকেছি। কিন্তু নিরাপদে সন্তানরা যাতে বাঁচতে পারে সেই আকাক্সক্ষা ছিল সারা জীবন। কিন্তু যে সমাজ ছেড়ে যাচ্ছি কোনো স্বস্তি পাই না, বুকের ভিতর একটা অসহনীয় জ্বালা অনুভব করি। মাঝেমধ্যে ভাবী, সত্যিই কি আমরা এমন অকর্মণ্য ছিলাম? ২২ পরিবারের শোষণের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে গিয়ে কাদের হাতে তুলে দিলাম? পাকিস্তান আমলেও যাদের কিছু টাকা-কড়ি ছিল তারা কোথায়? অথচ যারা সেদিন ভাঙা কাপে চা খেতে পারত না তারা আজ সর্বেসর্বা। জাতীয় পার্টির সময় জাতীয় পার্টি, বিএনপির সময় বিএনপি, এখন তো কথাই নেই- এর জন্যই কি মুক্তিযুদ্ধ, এর জন্যই কি জীবন দেওয়া, হাজারো মা তার সন্তানকে স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন? কোনো জবাব পাই না, বড় কষ্ট হয়। আরও কষ্ট হয় যখন প্রতিকারের কোনো পথ খুঁজে পাই না। কী জবাব দেব স্রষ্টার কাছে হাশরের ময়দানে? তিনি তো একসময় কম ক্ষমতা কম শক্তি দেননি। এসব প্রশ্নের উত্তরে খুব একটা স্বস্তি পাই না। তবু জীবন বয়ে বেড়াতে হয় বয়ে বেড়াই। মানুষ মরণশীল, আমরা সবাই মরব। কেন যে এ কথা অনেকেই মনে রাখে না বা মনে রাখতে চায় নাÑ বড় বেশি অবাক লাগে।

টিভি চ্যানেলের টকশো এখন একটা বিরাট ব্যাপার। একটি চ্যানেলে টকশো বহুদিনের। ৫-৬ হাজার বার অনুষ্ঠান হওয়ার কারণে অনেক সময় ভালো অতিথি পায় না। তাই একজনকেই দু-চার বার আনে। আমিও একবার গিয়েছিলাম সেই ১৮-১৯ বছর আগে। কথা রাখেনি, সঠিকভাবে প্রচার করেনি তাই আর যাই না। কিন্তু তাই বলে অনুষ্ঠান ঠেকে থাকে না। মানের দিক থেকে কোথায় আছে সেটা তারাই জানে। কিন্তু অনুষ্ঠান চলছে প্রতিদিন। যেদিন সম্রাট এবং আরমান চৌদ্দগ্রামে ধরা পড়ে সেদিন খুব সম্ভবত নূরে আলম সিদ্দিকী ছিলেন। পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ছাত্র আন্দোলনে নূরে আলম সিদ্দিকীর এক ব্যাপক ভূমিকা আছে। একই বক্তৃতা নাটকের নায়কের মতো বার বার একইভাবে বলতে পারতেন। যে গুণ অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানেরও ছিল। আমরা নাদানেরা এক বক্তৃতা কখনো দুবার করতে পারি না। সেই নূরে আলম সিদ্দিকীকে দেখলাম একই টিভিতে। বিরাট ছাত্রনেতা ছিলেন। ’৬৯-এ আইয়ুব খানকে সরিয়ে ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় এলে প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ করলেও ঘরোয়া রাজনীতি খোলা ছিল। আমরা টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের শহর কমিটি টাঙ্গাইল পুরনো আদালত লাইব্রেরিতে একটা আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলাম। ১০০ টাকা দেবেন বলে জামালপুরের অ্যাডভোকেট আবদুল হাকিম ভাইকে প্রধান অতিথি করেছিলাম। ৫০ টাকা নগদ দিয়েছিলেন, বাকি ৫০ টাকা সভা শেষে দেবেন। কিন্তু পরে তা আর দেননি। সেই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী। যা তিনি করতেন টাঙ্গাইলেও সফলভাবে তা-ই করেছিলেন। মাথায় বুকে থোড়ায় তরাস তরাস থাপড় মেরে কান্নাকাটি করে সত্যিই শ্রোতা-দর্শককে অভিভূত করেছিলেন।

আমরা হয়েছিলাম দারুণ উদ্বেলিত। তিনি এখন হাজার কোটি টাকার মালিক আর আমি ২০ কোটিরও না। তিনি নিজেও বলেছেন, একসময় তিনিও খেতে পারতেন না, ভালোভাবে তার খাবার জুটত না, মতিঝিলের কার অফিসে পড়ে থাকতেন ডলার বেচাকেনার চেষ্টা করতেন। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, কেন যেন আমি কিছুতেই ভুলতে পারি না নূরে আলম সিদ্দিকী সংসদে কী মারাত্মক বক্তৃতা করেছিলেন। তার বক্তৃতায় এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি অনাস্থায় খুনিদের একটুও কি সাহস বাড়েনি? বেঁচে আছি তাই অন্তর্জ্বালা ভুলতে পারি না। তাই যত কঠিনই হোক সত্য উচ্চারণ থেকে বিরত থাকতে পারি না, থাকিও না। কেন যেন আজকাল বিরাট বড় বড় মানুষদের সম্পর্কেও মনে প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশ না হয়ে পাকিস্তান থাকলে তারা কোথায় থাকতেন, তারা কী হতেন বা কী করতেন?

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর