শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৫ মার্চ, ২০২০

আফ্রিকায় খাদ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের মহাসুযোগ

মেজর নাসির উদ্দিন আহম্মদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
আফ্রিকায় খাদ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের মহাসুযোগ

বিগত কয়েকদিনে বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদমতে, অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে লাখো কোটি টাকা পাচার সহজ হলেও বৈধ পথে সম্ভাবনাময় খাতে বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ন্যূনতম পুঁজি প্রেরণ একটি দুরূহ বা প্রায় অসাধ্য বিষয়। ফলে ২০১১ সাল থেকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে প্রচুর কৃষিজমি প্রাপ্তির এবং লাখ লাখ গরিব বাংলাদেশির কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের নিশ্চয়তা থাকলেও একমাত্র ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বা চলতি মূলধন বাবদ বৈধভাবে টাকা নেওয়ার ব্যবস্থা বা অনুমতি না থাকায় এ মহামূল্যবান সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশের সঙ্গে আফ্রিকার সম্পর্কের ইতিহাস অতি পুরনো। সেই ১৪ শতাব্দীতে ইবনে বতুতা তৎকালীন বাংলাদেশের ভূখন্ড ভ্রমণের সময় এখানে ‘মাগরিব’ অর্থাৎ পশ্চিমের আরব ও আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের সাক্ষাৎ পান বলে তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন। স্বাধীনতার পরপরই আফ্রিকার দেশসমূহ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এ ক্ষেত্রে সেনেগাল ও মরক্কোর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখনই আফ্রিকার সঙ্গে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করার প্রচেষ্টা চালিয়াছিলেন। কিন্তু তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুর কারণে তা বাধাগ্রস্ত হলে আজ পর্যন্ত আর শুরু করা হয়নি। বর্তমানে আলজেরিয়া, মিসর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, লিবিয়া, মরিশাস, মরক্কো, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যে প্রকাশ। তবে বিগত তিন দশকে আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ ও গৃহযুদ্ধকবলিত বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষী হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার সুবাদে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, পুলিশ ও এনজিও তথা বাংলাদেশের সঙ্গে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা আফ্রিকার কঙ্গো, সুদানের দুটি অংশ, পশ্চিম সাহারা ও মালিতে জীবন বাজি রেখে কর্তব্যরত রয়েছেন। ইতিপূর্বে বাংলাদেশের বীর সেনারা আফ্রিকার নামিবিয়া, মোজাম্বিক, সোমালিয়া, লাইবেরিয়া, রুয়ান্ডা, সিয়েরালিয়ন, বেনিন, আইভরি কোস্টসহ আরও কিছু দেশে সাফল্যের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করেছেন। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত এসব দেশ তাদের নিজ নিজ দেশের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করে। এ ক্ষেত্রে বেশকিছু দেশ তাদের বিশাল, অব্যবহৃত ও কৃষিকাজের উপযোগী উর্বর জমিতে কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আর সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পাশের ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ৯৯ বছরের ইজারা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে। কিন্তু সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিরাট সুনাম, বাস্তব অভিজ্ঞতা, ঘনিষ্ঠ পরিচিতি ইত্যাদি কাজে লাগানোর বিশাল সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এ বিষয়ে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো ফলপ্রসূ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা নেই। শান্তিরক্ষীদের মাধ্যমে সিয়েরালিয়নের সাবেক কৃষিমন্ত্রী সুফিয়ান কার্গবো ‘দি বাংলা সালোন জয়েন্ট ভেঞ্চার অ্যাগ্রিমেন্ট প্রজেক্ট’ নামে যৌথ উদ্যোগে কৃষি খামার স্থাপনের একটি প্রস্তাব স্থানীয় একটি ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু বৈধ পথে টাকা (চলতি মূলধন) পাঠানোর সুযোগ না থাকায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, শান্তিরক্ষীদের সুনাম কাজে লাগানোর বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক অব জাম্বিয়া গ্রুপের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে। বাংলাদেশকে সহজ শর্তে জমি প্রদানের প্রস্তাব করেছে জাম্বিয়া, তানজানিয়া, সুদান ও সিয়েরালিয়নের মতো উর্বর মাটিবিশিষ্ট বিশাল দেশসমূহ। এ আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ২০১১ সাল থেকেই বাংলাদেশের স্থানীয় ও প্রবাসী একদল উদ্যোক্তা ইসলামী ব্যাংক অব জাম্বিয়া নামক ব্যাংক স্থাপনে সফল হয়। বেসরকারি আরও কিছু প্রতিষ্ঠান সেখানে বিনিয়োগে সচেষ্ট রয়েছে। আফ্রিকায় কৃষি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য বহুবিধ অবদান রাখতে পারে; যা উভয় দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। বিশ্বব্যাপী ‘খাদ্য নিরাপত্তার’ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। অতিসম্প্র্রতি শুধু পিয়াজের জোগান দিতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে বাংলাদেশের বর্তমান জনপ্রিয় সরকার। অথচ খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মনে রেখে দেশে বা বিদেশে পিয়াজ উৎপাদনের পরিকল্পনা থাকলে এমনটি হতো না। ২০১৫ সালে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল ডালের সংকট। সে সময় ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন গুদামে হানা দিয়ে ৮০ হাজার টন ডাল উদ্ধার করে। খাদ্য সংকটের কারণে ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক অঙ্গন ও প্রশাসনে ব্যাপক উত্থান-পতন হয়েছে বিগত দশকে। এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে আজ খাদ্য নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। এ ক্ষেত্রে আফ্রিকার জমিতে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে চাষাবাদ এবং তা দেশের বাজারে জোগান দেওয়া একটি বড় সমাধান হতে পারে। বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে বিদেশি আদা, রসুন, পিয়াজ, ডাল, ছোলা, সুগন্ধি চাল, গম, তেলবীজ ও হরেকরকম মসলার ব্যাপক আমদানি লক্ষ্য করা যায়।

এসব পণ্য বিদেশের মাটিতে উৎপাদনের ফলে বিদেশি কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সরাসরি লাভবান হয়। অথচ একই ফসল যদি বাংলাদেশের বিনিয়োগকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সংস্থা দীর্ঘমেয়াদে লিজ নেওয়া বিদেশের জমিতে বাংলাদেশের কৃষকের দ্বারা উৎপাদন করে, তবে খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি কৃষকের ব্যাপক কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগকারীদের লাভের সুযোগ থাকে। বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় কৃষিজমির স্বল্পতা রয়েছে। বিরাজমান জমিতে লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতাসহ নানা কারণে ফসল উৎপাদন অনেক ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্ত হয়। আবার শিল্পায়ন, নগরায়ণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের স্বার্থে ক্রমবর্ধমান হারে কৃষি বা আবাদি জমির পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। চাষের জমি বাড়াতে গিয়ে কমছে বনাঞ্চল। এ ছাড়া জনবায়ু পরিবর্তনের কারণে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমেই হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এমনি এক প্রেক্ষাপটে আফ্রিকায় চাষাবাদের বিষয়টি বিবেচনার দাবি রাখে।

বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ জাম্বিয়া, তানজানিয়া, উগান্ডা ও সিয়েরালিয়ন বাংলাদেশের বিভিন্ন বিনিয়োগকারীকে বিশাল এলাকা ৯৯ বছরের জন্য লিজ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। এসব প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ২০১১ সালে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘আফ্রিকায় কৃষি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার, সে পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ সফর, তৎকালীন কৃষি সচিবের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ে এক সভায় আফ্রিকার বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহায়তায় সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদানের সিদ্ধান্ত ইত্যাদি বিবেচনায় মুদ্রানীতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০১১ সালে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করেনি। ফলে বাংলাদেশের নিটল-নিলয় গ্রুপ এবং প্রস্তাবিত ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অব বাংলা-জাম্বিয়া লি. ২০১১ সাল থেকে এ বিষয়ে বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগসংক্রান্ত সুষ্ঠু নীতিমালার অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত ব্যাংকের উদ্যোক্তা নওয়াব আলী ভূইয়াকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ-সংক্রান্ত অনুমোদন ২০১১ সালে চাওয়া হলেও আজ পর্যন্ত এ-সংক্রান্ত নীতিমালা পাওয়া যায়নি। সেজন্য বিশেষ বিবেচনায় জাতীয় স্বার্থে অনুমোদন চেয়েও বারবার ব্যর্থ হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। ফলে বিদেশে জমি পাওয়া সত্ত্বেও তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। পক্ষান্তরে আফ্রিকায় কৃষিজমি প্রাপ্তির এ সুযোগ লুফে নিচ্ছে চীন, ভারত, আমেরিকাসহ বহু দেশ। চীনের বহু কৃষক পরিবার ইতিমধ্যে জাম্বিয়ায় বসতি গড়েছে এবং ক্রমেই তা বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ব্যাংকটিও এমন প্রস্তাব পেয়েছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে কয়েক লাখ কৃষককে সপরিবারে জাম্বিয়ায় পুনর্বাসন ও উৎপাদনমুখী করে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের তুলনায় জাম্বিয়া প্রায় ৫ গুণ বড় (প্রায় ৭ লাখ ৫২ হাজার বর্গকিলোমিটার)। অথচ বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের তুলনায় জাম্বিয়ায় জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মাত্র। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনামূলক চিত্র কমবেশি এমনই। অর্থাৎ জায়গা অনুপাতে লোকসংখ্যা এত কম যে আফ্রিকার কয়েকটি দেশে কোটি কোটি লোক সহজেই পুনর্বাসন করা যাবে। সেসব দেশের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে বারবার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। যার ফলে এ সুযোগ কোনোক্রমেই হাতছাড়া করছে না বুদ্ধিমান দেশগুলো। আফ্রিকার কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে দেখা যায়, মিসর প্রায় ৬০০ হেক্টর উর্বর জমির ওপর গ্রিন হাউস নির্মাণ করছে জাম্বিয়ার মাটিতে। ইউরোপের বিভিন্ন পরিবার বোস্টয়ানাভিত্তিক ইমারা হোল্ডিংস১য়ায় ৫০০ হেক্টর জমির ওপর সুস্বাদু ও দামি ফল বেরি উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে, যা হবে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বেরিবাগান। চীন জাম্বিয়ায় উৎপাদিত খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে তা চীন বা অন্যত্র রপ্তানির জন্য জাম্বিয়ায় নয়টি বৃহৎ খাদ্য সংরক্ষণাগার বা সায়লো নির্মাণ করছে এবং সেচের জন্য ১ হাজার গভীর নলকূপ স্থাপন করছে। চীনের ২০টি কোম্পানি জাম্বিয়ার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে মাশরুম চাষ করছে। ২০১৭ সালেই চীন জাম্বিয়ায় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত অঞ্চল নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করেছে।

২০১৬ সালে ভারতের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিং জাম্বিয়ায় ডাল ও তেলবীজ উৎপাদন শুরুর কথা ঘোষণা দেন। তাতে ধরে নেওয়া যায় জাম্বিয়ায় ২০১১ সালে সহজে যা বাংলাদেশিরা করতে পারতেন, তা আজ করতে কঠিন হবে। কাজেই খাদ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে আফ্রিকায় কার্যক্রম শুরু করা আর দেরি করা মোটেই কাম্য নয়।

প্রস্তাবিত ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অব বাংলা-জাম্বিয়া লি.-এর উদ্যোক্তারা মাত্র ১০০ কোটি টাকা সরকারি অনুমোদনক্রমে বৈধ পথে জাম্বিয়ায় প্রেরণ এবং সে টাকায় কৃষকদের অনেকটা আয় থেকে দায় শোধের ভিত্তিতে পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের জন্য আবশ্যকীয় কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য সরকারের শুভদৃষ্টির প্রত্যাশায় দিন গুনছেন। অবৈধ পথে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের বিপরীতে বৈধ পথে এই ১০০ কোটি টাকা বিদেশে বিনিয়োগের প্রত্যাশা বিবেচনার দাবি রাখে। হাজার কোটি টাকাও সাবেক অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টিতে ছিল ‘পিনাটস’ (চীনাবাদাম) এবং ‘রাবিশ’। অথচ ১০০ কোটি টাকার জন্য একদল উদ্যোক্তা ১০ বছর অপেক্ষা করছেন। তাদের আবেদনে ‘না’ বললেও তারা হয়তো তাদের ভুল বুঝতে পারতেন বা সংশোধনের সুযোগ পেতেন। অথচ ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছুই না বলার সংস্কৃতি থেকে দেশ কবে মুক্তি পাবে, তার উত্তর মেলে না। তবে বর্তমান মানবিক সরকার এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা হারাতে চান না উদ্যোক্তারা। তারা সব গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ প্রত্যাশা করছেন। সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করলে অচিরেই হয়তো আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে পাঠানো খাদ্যশস্যে নিশ্চিত হবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা। চাল-ডাল-পিয়াজ-রসুনের জন্য দীর্ঘ লাইনে হয়তো আর দাঁড়াতে হবে না রাজধানীবাসী। বাংলাদেশের বেকারত্বের ভয়াবহ চিত্র অনেকভাবে প্রকাশ পেলেও বিশেষভাবে প্রকাশ পায় যখন ভূমধ্যসাগরে আর মালয়েশিয়ার জঙ্গলে বাংলাদেশিদের নির্মমভাবে লাশ হতে দেখা যায়। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের বেকারত্ব দূর করার বিষয়ে দেশের বাইরের বৈধ সুযোগকেও কাজে লাগাতে হবে। আন্তর্জাতিক ইসলামিক ব্যাংক অব জাম্বিয়ার মাধ্যমে সারা বিশ্বে এর শাখা স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেশ কয়েক হাজার শিক্ষিত লোকের যেমন চাকরি হবে, তদ্রুপ বৈধ পথে লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের কাজও এই ব্যাংকের মাধ্যমে করা সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শুধু আফ্রিকার ২৪-২৫টি দেশেই ১ কোটি কৃষক পরিবার এবং প্রতি পরিবারে চারজন হিসাবে মোট ৪ কোটি লোক পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করা সম্ভব। তাদের কৃষিকাজে সহযোগিতা করার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষি সহকারী এবং এসব পরিবারের শিক্ষার জন্য শিক্ষক, স্বাস্থ্যের জন্য ডাক্তার-নার্স, বাড়িঘর তৈরির জন্য ইঞ্জিনিয়ার, ধর্মীয় কাজের জন্য ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং ধোপা, নাপিত, দর্জি, রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রিসহ বিপুলসংখ্যক ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীর প্রয়োজন হবে। তাতে প্রায় কয়েক কোটি লোকের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২৫ ভাগও যদি বাস্তবায়ন হয় তবে অনায়াসে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন একমাত্র আফ্রিকা মহাদেশেই করা সম্ভব। তা ছাড়া উক্ত ব্যাংকের শাখা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে স্থাপন করা হলে জায়গাজমি বন্ধক দিয়ে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আফ্রিকায় যাওয়া যাবে এবং আফ্রিকায় ঠিকঠাকমতো জায়গাজমি বুঝে পেয়ে বাংলাদেশে ব্যাংকে বন্ধককৃত জমি বাড়িঘরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। এভাবে আফ্রিকায় সুন্দর ও উন্নত জীবনযাপন সম্ভব, যা ভারত, পাকিস্তান ও চীনারা শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বেকারত্বের কারণে অনেকেই অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এসব বেকারকে বৈধভাবে চাকরি ব্যবসা ও পেশার ব্যবস্থা করতে দিলে দেখা যাবে দেশে অপরাধপ্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আফ্রিকার কৃষি ক্ষেত্রে দেশের অবহেলিত ও দরিদ্র পরিবারগুলো পুনর্বাসনের মহাপরিকল্পনা কাজে লাগানোর জন্য দেশ-বিদেশে বিজ্ঞ, সচেতন ও সচ্ছল লোক এগিয়ে আসা একান্ত জরুরি এবং জুতসই সরকারি নীতিমালা অত্যাবশক।

                লেখক : সিয়েরালিয়নে নিযুক্ত সাবেক শান্তিরক্ষী এবং  নিরাপত্তা ও উন্নয়নবিষয়ক গবেষক।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
খৎনা অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে গান-বাজনার জেরে সংঘর্ষ, আহত ৩০
খৎনা অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে গান-বাজনার জেরে সংঘর্ষ, আহত ৩০

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

কেরানীগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন
কেরানীগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন

৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

টাঙ্গাইলে ৪৬ লাখ টাকার হেরোইনসহ কারবারি আটক
টাঙ্গাইলে ৪৬ লাখ টাকার হেরোইনসহ কারবারি আটক

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন ১৮ নভেম্বর
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন ১৮ নভেম্বর

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

যশোর বোর্ডে এইচএসসিতে নতুন করে ৭২ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫
যশোর বোর্ডে এইচএসসিতে নতুন করে ৭২ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫

৪৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে ফের জেলা সমাবেশ
নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে ফের জেলা সমাবেশ

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে চালু হলো অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড
বাংলাদেশে চালু হলো অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড

৫৬ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেলওয়ের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রেলওয়ের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০৩ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০৩ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে এইচএসসিতে পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৩৯৩ শিক্ষার্থী
চট্টগ্রামে এইচএসসিতে পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৩৯৩ শিক্ষার্থী

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হায়দ্রাবাদে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৭
হায়দ্রাবাদে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৭

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘরের মাঠে প্রথমবার ব্যর্থ জয়সওয়াল, দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বনিম্ন রান
ঘরের মাঠে প্রথমবার ব্যর্থ জয়সওয়াল, দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বনিম্ন রান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়ার টিলার উল্টে শ্রমিক নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়ার টিলার উল্টে শ্রমিক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি মুজিবুল হকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
সাবেক এমপি মুজিবুল হকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন: তারেক রহমান
মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন: তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝড়ের তাণ্ডবে পর্তুগালে ৩ মৃত্যু, ইংল্যান্ডে বন্যা
ঝড়ের তাণ্ডবে পর্তুগালে ৩ মৃত্যু, ইংল্যান্ডে বন্যা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল : রিজভী
বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল : রিজভী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত
‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, প্রবাসীসহ গ্রেপ্তার ৩
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, প্রবাসীসহ গ্রেপ্তার ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহরিয়ার আলমের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
শাহরিয়ার আলমের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা
পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার
তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা
তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামিন পেলেন হিরো আলম
জামিন পেলেন হিরো আলম

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!
দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি
আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা