শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০ আপডেট:

করোনার কারণে কার কী অবস্থান

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
করোনার কারণে কার কী অবস্থান

করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত সারা পৃথিবী। আক্রান্ত আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। আর এই অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধাস্ত্র-সচেতনতা, সতর্কতা এবং ঘরে থাকা, পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকার নির্দেশিত নিয়মগুলো যথাযথভাবে মেনে চলা। এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের চোখ, নাক, মুখ রক্ষা করতে হবে। কারণ এ পথেই এই অদৃশ্য ভাইরাসটি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই তো বারবার হাত ধোয়ার আহ্বান। যাতে হাতের মাধ্যমে ভাইরাসটি আমাদের শরীরে ঢুকতে না পারে।

আসলে এই আগ্রাসী ভাইরাসে থমকে গেছে সারা পৃথিবী। কোনো যুদ্ধ নয় অথচ দেশে দেশে জারি করা হয়েছে কারফিউ, জরুরি অবস্থা, লকডাউন। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সব বন্ধ। উঁচু-নিচু, ধনী-গরিব, অর্থের দাপট, অস্ত্রের শক্তি, ক্ষমতার দম্ভ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, পারমাণবিক শক্তি কিছুই কাজে লাগছে না এই অদৃশ্য আণুবীক্ষণিক ভাইরাস প্রতিরোধে। বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোও আজ অসহায়। দেশে দেশে বন্ধ অর্থনীতির চাকা, বিশ্বজুড়ে আমদানি-রপ্তানির চেইন ভেঙে পড়েছে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মন্দার মুখে পড়েছে বিশে^র অনেক দেশই। হাত পাতছে বিশ্বব্যাংকসহ বিশ্বের বড় বড় সাহায্য সংস্থার কাছে। সব মিলিয়ে আমরা একটা জটিল সময় পার করছি। সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। আর এই মুহূর্তে যদি আমরা করোনার বিরুদ্ধে আমাদের সচেতনতা ও সতর্কতার নিয়মগুলো যথাযথভাবে পালন না করি তাহলে সামনে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কবিগুরু বলেছেন, ‘ব্যাধির চেয়ে আধিই হলো বড়’। অর্থাৎ রোগের চেয়ে দুশ্চিন্তাটাই বড়। সুতরাং চিন্তিত কিংবা আতঙ্কিত না হয়ে নিয়মানুবর্তী হতে হবে। নিজের জীবনের জন্যই করোনা প্রতিরোধক নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।

তবে আজ আমার লেখার উদ্দেশ্য করোনা বা তার প্রতিরোধ নিয়ে নয়। কারণ এ বিষয়গুলো এখন অনেকেরই জানা। আমি আজ লিখতে চাইছি এই করোনার কারণে কার কী অবস্থান এবং করোনাকালের কিছু করুণ প্রতিভা নিয়ে। প্রথমেই আসি অবস্থান প্রসঙ্গে। ছোটবেলায় আমরা পড়েছি, ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বাল্যশিক্ষার এ আদর্শকে ধারণ করে মানুষের সেবা করছেন। যাদের জীবন সাধনার নামই হচ্ছে জনকল্যাণ। করোনা দুর্যোগের এই ক্রান্তিকালে আমরা তেমনই কিছু মানুষকে দেখতে পেয়েছি, যারা তাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়েও বিত্তহীন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যেমন-নাটোরের বাঘাতিপাড়া উপজেলার জিয়াউর রহমান ও শিরিন আক্তার দম্পতি। জটিল রোগে আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য জমানো ১ লাখ টাকা যারা অসহায় মানুষের জন্য দিয়েছেন। ডা. নুরুল হাসান রাজধানীর উত্তরায় যিনি নিজে গিয়ে রিকশাচালকদের চাল, ডাল, লবণ, আলু ও সাবান বিতরণ করেছেন। পটুয়াখালীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ইতালিপ্রবাসীর বাসায় পুলিশ বাজার করে দিয়েছে। করোনায় শ্রমিক সংকট, তাই ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক স্থানীয় ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিয়েছেন। এমনই অনেক আশা জাগানিয়া দৃষ্টান্ত আমরা দেখেছি। যা মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে, উদ্বুদ্ধ করেছে। সবচেয়ে মনে দাগ কেটেছে করোনাভাইরাসে অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা বৃদ্ধ ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিনের (৮০) সাহায্য দেওয়ার বিষয়টি শুনে। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বৃদ্ধ নাজিমুদ্দিন তার ঘর মেরামতের জন্য ভিক্ষা করে জমানো ১০ হাজার টাকা স্থানীয় ইউএনওর হাতে তুলে দিয়েছেন। নাজিমুদ্দিনকে সশ্রদ্ধ সালাম।

পাশাপাশি ঘৃণা ও ধিক্কার জানাচ্ছি সেসব মানুষকে, যারা অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী আত্মসাৎ করছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই চুরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত জনগণের সেবক নামধারী কিছু জনপ্রতিনিধিও। এসব দুর্নীতিবাজ ছাড়াও আর এক দল রয়েছে যারা ত্রাণ দেওয়ার চাইতে ত্রাণ প্রচার কার্যক্রমে ব্যস্ত বেশি। এরা ত্রাণ দেয় এক পোঁটলা কিন্তু ক্যামেরার সামনে সেই পোঁটলা নিয়ে পোজ দেয় ৮-১০ জন। ফলে ছবি না তোলা পর্যন্ত বেচারা দিনমজুরকে পোঁটলা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘক্ষণ, যা অমানবিক। শুধু তাই নয়, ছবি তোলার পর ত্রাণ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এদের ত্রাণদস্যুও বলা যায়।

তবে কিছু কিছু মানুষের ত্রাণ কার্যক্রমের প্রচারণার প্রয়োজনও রয়েছে। যেমন-শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও জনপ্রতিনিধি। তবে এ সময় এদের অনেকের অনুপস্থিতির কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এদের নিয়ে অনেক বিরূপ মন্তব্য করা হচ্ছে। করা হচ্ছে ট্রল। কদিন আগে একটি টিভি চ্যানেলের টকশোয় এক সাংবাদিক একজন শিল্পীকে প্রশ্নও করেছিলেন, ‘নির্বাচনে বিজয়ের পর সরকারের ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের চারপাশে যেভাবে শিল্পীদের দেখা গেছে, এই দুর্যোগে সেভাবে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে না কেন?’

আবার টিভিতে, পত্রিকায় অনেককেই ইদানীং বলতে শোনা যায়, আমি ব্যক্তিগতভাবে গোপনে ত্রাণ দিচ্ছি, প্রচার করতে চাই না। এ ধরনের কথা বলার পেছনেও অনেকের উদ্দেশ্য থাকে। এ কথা বলে অনেকে যেমন নীরবে ত্রাণ দিচ্ছেন, তেমনি আবার না দিয়েও অনেকে গোপনে দিয়েছি বলে পার পেতে চেষ্টা করছেন। আসলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য, পরিচিত ও জনপ্রিয় মানুষের ত্রাণ কার্যক্রম গোপনে নয়, প্রকাশ্যে করা উচিত। তাতে অন্যরা উদ্বুদ্ধ হয়। প্রসঙ্গক্রমে বলছি, আমরা নিজেরাও ইত্যাদি পরিবারের পক্ষ থেকে এই দুর্যোগে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এসব পদক্ষেপে অংশগ্রহণ করেছেন ইত্যাদিতে বিভিন্ন সময়ে প্রদর্শিত বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজধানীর ১৫টি পয়েন্টে ‘ইত্যাদি’ কর্মীদের মাধ্যমে ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা সদরের আলহাজ সিদ্দীক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে ফেসবুকে সেবাদানকারী মামুন বিশ্বাসের মাধ্যমে কয়েক শ অসহায় ও অসচ্ছল পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩১ মার্চ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পুরোটাই চলেছে দেশব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রম। ইত্যাদিতে প্রদর্শিত ছাদকৃষির প্রবর্তক গ্রিন সেভার্সের প্রধান আহসান রনির মাধ্যমে নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, পাবনা ও পটুয়াখালীর সাত উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নে, রাজশাহীর ‘ওরা ১১ জন’-এর মাধ্যমে চারঘাট ও বাঘা উপজেলায়, শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত হাজির হওয়া কতর্ব্যনিষ্ঠ শিক্ষক নূরুল ইসলামের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ আরও অনেক স্থানেই সচেতনতামূলক মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে ইত্যাদির উদ্যোগে ‘সিএসআর উইন্ডো’-এর কর্মীদের মাধ্যমে চলছে ‘পাশে আছি’ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমে যে কোনো পরিবার অসহায় মানুষকে খাবার দিতে চাইলে এসব কর্মী তাদের বাড়ি থেকে কমপক্ষে ১০ জনের জন্য রান্না করা খাবার সংগ্রহ করে ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। এ সময় আরও অনেক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানই প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছেন। কিছু প্রতিষ্ঠানকে দেখলাম রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে সবজি স্তূপ করে রেখেছে, সেখান থেকে যার যা প্রয়োজন নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ভাসমান মানুষের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী। এসব কার্যক্রম মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে। এসব সাহায্য, সহযোগিতা, সহমর্মিতার কথা যত বেশি প্রচার হবে, ততই আলোকিত হবে বিবেকের চোখ। মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবে মানুষ।

ত্রাণের পর এবার একটু সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে আসা যাক। করোনাকালের সংগীত ও কবিতা চর্চা। ফেসবুকের কল্যাণে ইতিমধ্যে কারও কারও সংগীত প্রতিভা দেখে কেউবা তৃপ্ত, কেউ ক্ষিপ্ত, কেউ ক্ষুব্ধ, কেউ হয়েছেন উদ্বুদ্ধ। এসব প্রতিক্রিয়ার কারণ করোনা দুর্যোগে ফেসবুকে প্রদর্শিত কিছু অদ্ভুত মোবাইল সংগীত। ভাগ্যিস এগুলোর লিরিক বা কথা পাশে লিখে দেওয়া হয়েছিল, নইলে এগুলোর মর্মকথা উদ্ধার করা কঠিনই ছিল। নববর্ষে হঠাৎ করে ইঙ্গ-বঙ্গ ভাষার মিশ্রণে শিল্পী, সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে এক উদ্ভট বৈশাখী সংগীত উদয় হলো ফেসবুকে। গানটিতে ইংরেজি শব্দদূষণে মনে হয়েছে নববর্ষে যেন বাংলা ভাষার আকাল পড়েছে। দেশের কজন বিখ্যাত শিল্পীও এসব গান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। স্বনামধন্য গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলা নববর্ষ নিয়ে গানে, বাংলা শব্দের আকাল দেখে বুঝলাম ইংরেজরা স্বভাবে যা ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে, ওটাতে এ জাতির তরুণ প্রজন্ম নতুন করে সুখ অনুভব করছে। বয়স্কদের কেউ কেউ সে সুখের জাবর কেটে কেটেও পুলক অনুভব করছেন।’ এ-জাতীয় গান সম্পর্কে ফেসবুকে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘এই গান যে শ্রেণির মানুষ শোনে তারা অনেক আগে থেকেই সতর্ক আছে। যাদের পকেটে টাকা নাই কিন্তু পেটে ক্ষুধা আছে তাদের ঘরবন্দী রাখতে কিছু করুন। এই গান শুনে তারা সচেতনও হবে না। আর পেটের ক্ষুধাও মিটবে না।’ শেষে তিনি লিখেছেন, ‘নিজেদের বিনোদিত করা আর টিকিয়ে রাখার এ ধরনের প্রবণতা নোংরা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।’

এবার কবিতা প্রসঙ্গ। একটি কবিতা হচ্ছে, ‘শঙ্খচিল’। কবিতাটি একটি জাতীয় দৈনিক চিত্রায়ণ করে অনলাইনে প্রচার করেছে। এ কবিতাটির লেখকের নাম দেওয়া হয়েছে কবি পার্থ মুখার্জি। ২৬ মার্চ ভারতের মঙ্গলকোট ডটকমে কবিতাটি প্রকাশিত হয় বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশ। কিন্তু ১৭ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সায়ন দাস ফেসবুক লাইভে এসে জানালেন কবিতাটি তারই লেখা। ২৩ মার্চ রাতে কবিতাটি তার ফেসবুকে প্রকাশ করেন বলে পত্রিকান্তরে জানা যায়। কবিতাটির মূল লেখক সম্পর্কে এই লেখা পর্যন্ত সঠিক কোনো তথ্য পাইনি। এ তো গেল এক কবিতা কাহিনি। আর দুটি কবিতা হচ্ছে ‘এ যাত্রায় বেঁচে গেলে’ এবং ‘এবার বেঁচে গেলে’। যার শিরোনাম ভিন্ন হলেও বিষয়বস্তু কাছাকাছি। কবিতা দুটি নিয়েও চলছে পারস্পরিক দোষারোপ এবং দাবি করা হচ্ছে লেখকস্বত্ব। এদিকে প্রবাসী শিল্পী টনি ডায়েস ২১ জন প্রবাসী শিল্পীকে নিয়ে চিত্রায়ণ করেছেন ‘এ যাত্রায় বেঁচে গেলে’ কবিতাটি। কবির নাম লিখেছেন, সহস্র সুমন। আবার এরই মধ্যে সাংবাদিক সোহেল সানি কবিতাটি তার লেখা বলে দাবি করে লেখক হিসেবে তার নাম উল্লেখ না করায় অভিনেতা টনি ডায়েসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন। তবে কবির নাম যা-ই হোক, ‘এবার বেঁচে গেলে’ কিংবা ‘এ যাত্রায় বেঁচে গেলে’ কবিতা দুটিতে যা যা করার কথা বলা হয়েছে, অনেকেই বলছেন তা তাদের আগেই করা উচিত ছিল। যেমন- ‘অন্যের হিসাব চুকিয়ে দেওয়া, নীড়ের ছানার খবর নেওয়া, ঋণী না হওয়া, অহংকারী না হওয়া, অসৎ পথে না চলা, গানের জন্য গলা সাধা’- এমনি আরও অনেক কথা রয়েছে যেগুলো সবার জীবনে করার সুযোগ ছিল কিন্তু কেন করেননি তা ভেবেও অনেকে কোনো জবাব খুঁজে পাচ্ছেন না। অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন কেউ যদি এত বছরেও এ কাজগুলো না করে থাকেন, তবে ভবিষ্যতেও যে করবেন তার কি নিশ্চয়তা আছে? আবার কেউ কেউ বলছেন, এখনো এসব কাজ না করার জন্য যদি আক্ষেপ থেকেই থাকে, এখনো তো সময় আছে, করে ফেললেই পারেন। এখন ভাইরাল হওয়া এই কবিতাটি যে আসলে কার লেখা, কিংবা কে কার থেকে ধারণা নিয়ে লিখেছেন সে বিষয়ে এই লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য আমার জানা নেই। ইদানীং মিডিয়ায় অনেকেরই সংগীত এবং এ-জাতীয় কবিতা প্রকাশের পর রাজনৈতিক নেতাদের মতো চামচা বাহিনী প্রশংসার ডালি নিয়ে বসে থাকে। চলে পারস্পরিক পিঠ চুলকানি। এ বলে তোমারটা ভালো, ও বলে তোমারটা। এই করোনাকালে ফেসবুক, ইউটিউবে এমনি অনেক মজার মজার জিনিস দেখা গেছে।

এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। এই করোনা দুর্যোগে অনেক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরাই তাদের ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না বলে শোনা যাচ্ছে; যা দুঃখজনক। তবে কষ্ট লাগে যখন দেখি দেশসেরা কোনো ক্রিকেটারের ফার্মের শ্রমিকরা চার মাস বেতন না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। অথচ সুদূর আমেরিকা থেকে সেই ক্রিকেটারই আমাদের নানান সচেতনতার কথা বলছেন। অথচ তারই ফার্মের শ্রমিকরা দীর্ঘ চার মাস বেতন না পেয়ে আছেন। সচেতন মানুষের এমন উদাসীনতা কাম্য নয়। শুনেছি বিষয়টি মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য বেতন পেয়েছেন।

এবার মানুষের কিছু অমানবিক আচরণ প্রসঙ্গে আসি। এই করোনা পরিস্থিতিতে কিছু কিছু স্থানে মানুষ তাদের কবরস্থানের সামনে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে লিখে রেখেছেন, ‘করোনায় মৃত কোনো ব্যক্তির লাশ এখানে কবর দেওয়া যাবে না।’ এলাকাবাসীর বাধার মুখে বাধাগ্রস্ত হয়েছে হাসপাতাল নির্মাণ। এলাকার হাসপাতালগুলোতেও যেন করোনা রোগীর চিকিৎসা না হয় সেজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত রোগীকে বাড়িছাড়া করেছে কেউ কেউ। করোনার কারণে টাঙ্গাইলে মাকে ফেলে রেখে গেছে সন্তানরা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই ঘটনা ঘটে সাভারে আরেক মায়ের সঙ্গে। আদরের সন্তানরা কীভাবে মাকে এভাবে ফেলে যায় তা দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের অনেক মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এসব দেখে মনে হয় মানুষের বিবেক, মনুষ্যত্ব, মূল্যবোধ দিন দিন লোপ পাচ্ছে। নিজের আত্মীয়স্বজনকে নিজেরাই কবর দিতে যাচ্ছে না ভয়ে। এসব ক্ষেত্রে যখন আমাদের মানবিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় দেখছি, তখন একদল স্বেচ্ছাসেবীকে দেখছি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন নিজেদের উদ্যোগে সেই লাশ দাফন করতে। তাদের জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

তবে একটি কথা- করোনা দুর্যোগে যত দুর্ভোগই হোক না কেন, এর কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। এই করোনায় মানুষ আতঙ্কিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু ঘরে আটকে থাকার কারণে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হয়েছে। পরিবারের সবাই একসঙ্গে গল্প করছে, একসঙ্গে খাচ্ছে। এই ঘরবন্দী জীবন সেই সুযোগ করে দিয়েছে। একজন আরেকজনের খোঁজখবর নিচ্ছে। কারও কিছু লাগবে কিনা, কোনো সাহায্যের প্রয়োজন আছে কিনা, মুঠোফোনে খুদে বার্তা আদান-প্রদান করছে। বলা যায় এই করোনা আমাদের ভালোবাসা, হৃদ্যতা, সহযোগিতা সর্বোপরি সামাজিক একাত্মতাকে বাড়িয়েও দিয়েছে।

এই সময়ে পরিবেশের দিক থেকেও কিছু ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গাড়ি-ঘোড়া, যান্ত্রিক জীবন, কোলাহল, শব্দদূষণ সবকিছু থমকে যাওয়ায় বায়ুমন্ডলে কমে গেছে বায়ুদূষণ, কমেছে শব্দদূষণ। এমনকি পরিবেশ দূষণ আর পর্যটকের ভিড় ও কোলাহল নেই বলে বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে খেলছে ডলফিন। এই দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য বাতাসটাও মনে হচ্ছে নির্মল, বিশুদ্ধ। ভবিষ্যতে আমরা যেন এই সময়টাকে ভুলে না যাই, এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎকে সাজাই। পরিশেষে কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই সেসব মানুষ, সেসব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদকর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য- যারা এই করোনার মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ধন্যবাদ জানাই সেসব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও মানুষকে যারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর মানুষের এই ইতিবাচক দিকগুলো আমাদের মানবিক মূল্যবোধকে আরও সমৃদ্ধ করবে। জাগ্রত হবে মনুষ্যত্ব।

পরিশেষে একটি কথা বলে শেষ করতে চাই। পত্রিকায় দেখলাম করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সহায়তায় ১০ হাজার টাকা দান করা সেই ভিক্ষুক বৃদ্ধ নাজিমুদ্দিনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিটেমাটি, পাকা বাড়ি ও একটি দোকান করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সহানুভূতি ও মহানুভবতায় কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা।

 

                লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর
একীভূত ব্যাংক
একীভূত ব্যাংক
নির্বাচনের ঢেউ
নির্বাচনের ঢেউ
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
সর্বশেষ খবর
এটাই আমার সেরা সময়: হলান্ড
এটাই আমার সেরা সময়: হলান্ড

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কুড়িগ্রামে পাঠাগার উদ্বোধন করলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক
কুড়িগ্রামে পাঠাগার উদ্বোধন করলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বকাপ জিতে পুলিশে চাকরিসহ একাধিক পুরস্কারে ভাসলেন রিচা
বিশ্বকাপ জিতে পুলিশে চাকরিসহ একাধিক পুরস্কারে ভাসলেন রিচা

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে দেওয়ানী আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ১০৫ শতাংশ
সিলেটে দেওয়ানী আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ১০৫ শতাংশ

৩৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শেষ মুহূর্তের গোলে টটেনহ্যামের মাঠে হার এড়াল ইউনাইটেড
শেষ মুহূর্তের গোলে টটেনহ্যামের মাঠে হার এড়াল ইউনাইটেড

৪৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগামী নির্বাচন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিস্ট নির্মূলের: মিনু
আগামী নির্বাচন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিস্ট নির্মূলের: মিনু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট
শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুরাদনগরে বিএনপির জনসভায় ঐক্যের আহ্বান
মুরাদনগরে বিএনপির জনসভায় ঐক্যের আহ্বান

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৫৮০ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৫৮০ মামলা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিএনপির সমাবেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিএনপির সমাবেশ

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শেরপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
শেরপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে মদসহ আটক ২
বান্দরবানে মদসহ আটক ২

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে ঝামেলা হতে পারে: সেলিমা রহমান
নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে ঝামেলা হতে পারে: সেলিমা রহমান

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক: ডা. পাভেল
শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক: ডা. পাভেল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল
ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অতিরিক্ত গাছপালা নয়, সীমিত সবুজ পরিবেশেই বেশি শান্তি : গবেষণা
অতিরিক্ত গাছপালা নয়, সীমিত সবুজ পরিবেশেই বেশি শান্তি : গবেষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল
গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিরকুট লিখে রেখে যাওয়া সেই নবজাতককে নিতে ২০০ আবেদন
চিরকুট লিখে রেখে যাওয়া সেই নবজাতককে নিতে ২০০ আবেদন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এখন দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার জরুরি: মিলন
এখন দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার জরুরি: মিলন

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি পেলেন মাসুমা খান
যুক্তরাষ্ট্রের ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি পেলেন মাসুমা খান

৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সর্বাধিক পঠিত
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা
যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি
এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!
ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি
রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন
যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন

১৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ
সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা
ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের সংকট চরমে
ফের সংকট চরমে

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ২০ বাধা
জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ২০ বাধা

পেছনের পৃষ্ঠা

র‌্যাব পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই
র‌্যাব পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

খবর

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

কাকরাইলে চার্চের ফটকে ককটেল নিক্ষেপ
কাকরাইলে চার্চের ফটকে ককটেল নিক্ষেপ

খবর

শ্রমিকদের মানববন্ধন প্রেস ক্লাবের সামনে
শ্রমিকদের মানববন্ধন প্রেস ক্লাবের সামনে

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট
১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়ানগালায় মেতেছেন শিল্পীরা
ওয়ানগালায় মেতেছেন শিল্পীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন ১৬টি নিয়ে দাবি আপত্তি চেয়েছে ইসি
নতুন ১৬টি নিয়ে দাবি আপত্তি চেয়েছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায় কয়েকটি দল
নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায় কয়েকটি দল

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা