শনিবার, ২২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

জাতীয় বাজেটে কৃষির এই দিকগুলোয় সরকারের দৃষ্টি আসুক

শাইখ সিরাজ

জাতীয় বাজেটে কৃষির এই দিকগুলোয় সরকারের দৃষ্টি আসুক

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পার করেছে বাংলাদেশ। এ সময়ে দেশের অর্জন অনেক। স্বাধীনতার স্বপ্নসাধের সঙ্গে আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আজ এক দারুণ উচ্চতা ছুঁয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আমাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রে প্রচলিত সব সূচকেই আমরা আজ অগ্রসর। উন্নয়নের সব হিসেবেই কৃষি সবচেয়ে এগিয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী আমরা সামগ্রিক উন্নয়নের হিসাব কষতে গেলে কৃষি ও এর উপখাতগুলোই আসে সবচেয়ে শীর্ষে।

করোনার এ কঠিন সময়ে পৃথিবী যখন অর্থনৈতিক শক্তি টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি খাদ্যচিন্তা নিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছে, বাংলাদেশ তখন বহু প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে খাদ্য নিরাপত্তার ধারাবাহিক অগ্রগতি টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে সরকারের তাৎক্ষণিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

করোনা পরিস্থিতির ভিতর এবার দ্বিতীয়বারের মতো ঘোষিত হতে যাচ্ছে জাতীয় বাজেট। করোনা সর্বতোভাবে মানুষকে বিপর্যস্ত করছে। উন্নত, উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত দেশের জন্যই এ পরিস্থিতি নতুন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সবার কৌশলই নতুন ও ভিন্ন। বিশ্বায়নের যুগ হলেও সবার অর্থনৈতিক, সামাজিক শক্তি, জনসংখ্যা, জনগণের সক্ষমতা, সরকারি নীতি এক নয়। এসব ক্ষেত্রে করোনা মহামারীর এ ভয়ংকর কঠিন সময়ও আমরা ভালোভাবেই টিকে আছি। এ ক্ষেত্রে করোনা মোকাবিলায় সরকারের কৌশল ও পদক্ষেপের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক নীতি-পরিকল্পনা যথেষ্টই বাস্তবসম্মত ছিল। এসব কারণেই বাংলাদেশ এখনো খাদ্য নিরাপত্তাসহ অর্থনৈতিক শক্তির জায়গায় ভালো আছে। তবে এ অনুকূল অবস্থাটি কত দিন ধরে রাখা যাবে তা বলা মুশকিল। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে স্বাস্থ্য খাতের পাশাপাশি কৃষি এখন সার্বিক বিচারেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে।

সুপারিশসমূহ : ১. কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষ ভর্তুকি বাড়ানো গেলে ভালো হয়। সারে ভর্তুকি অব্যাহত থাকার কারণেই কৃষক ধান আবাদ ধরে রেখেছে। মান রাখতে হবে, সারে ভর্তুকির পরও ধান আবাদ কৃষকের জন্য লাভজনক নয়। এটি কৃষকের পক্ষ থেকে একরকমের জাতীয় দায়িত্ব পালন। তারা ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর মুখে খাদ্য তুলে দেওয়ার জন্য এ দায়িত্ব পালন করে চলেছে। অনেক কৃষক বিকল্প ফসলে গিয়ে অনেক ভালো করছেন। তারা দেখছেন উচ্চমূল্যের ফল-ফসল আবাদ বিনিয়োগমুখী উদ্যোগ। এ ক্ষেত্রে লাভ নিশ্চিত। তবে এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে আগামীতে ধানের জমি কমে আসবে। এতে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার মূল জায়গায় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। কৃষককে ধান আবাদে ধরে রাখতে ভর্তুকি চালু রাখার পাশাপাশি আরও নানামুখী প্রণোদনা যুক্ত করতে হবে। যাতে উচ্চমূল্যের ফসলের বিপরীতে ধান আবাদে সে পুষিয়ে উঠতে পারে।

২. কৃষির উপখাতগুলোর দিকে অনেক বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন। আমরা যে সময়ে খাদ্য নিরাপত্তার কথা ভাবছি, সে সময়টি আসলে পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে তাকানোর। এ কথা বলতেই হবে, মাছ চাষ, গবাদি পশু পালন, হাঁস-মুরগি পালনের মতো খাতগুলো আমাদের জাতীয় অর্থনীতি ও পুষ্টির মানদন্ডে অপরিসীম অবদান রেখে আসছে। তৃণমূল খামারিরাই এ অবদানের পেছনে মূলশক্তি। আমাদের দেশের মতো এত সস্তায় পৃথিবীর কোথাও আমিষ পাওয়া যায় না। আমাদের মাছ উৎপাদনের সাফল্য আজ পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত। দুধ ও ডিম উৎপাদনেও রয়েছে একই সাফল্য। অথচ এসব খাত তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়নি। অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই খামারিরা আমাদের আমিষের চাহিদা পূরণে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। খামারিরা দীর্ঘদিন ধরে খামারে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হিসাবের পরিবর্তে কৃষির হিসাবে বিবেচনার জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন। এটি মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী অবগত রয়েছেন। এ বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রাখা উচিত। কৃষির উপখাতগুলোয় তেমন ঋণ সুবিধা নেই। প্রতিটি খাতকেই ঝুঁকিপূর্ণ গণ্য করে ঋণ দেওয়া হয় না। অথচ ঋণ সহায়তা দেওয়া হলে কৃষির উপখাতগুলোয় অনেক বেশি সাফল্য ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি আসতে পারে। ফসলি কৃষির পাশাপাশি কৃষির সব উপখাতে ভর্তুকি বরাদ্দের দাবি রয়েছে খামারিদের।

৩. কৃষি ও এর উপখাতগুলোর জন্য বীমাব্যবস্থা চালু করা সময়ের দাবি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ফসলহানির মতো কৃষির সব উপখাতও আক্রান্ত হচ্ছে নানাভাবে। এ ক্ষেত্রে বীমাব্যবস্থা কৃষক ও খামারিদের উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বীমার প্রিমিয়াম দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃষক ও খামারিদের অনাগ্রহ দেখা যায়। আমার প্রস্তাব হচ্ছে, প্রয়োজনে সরকারি ভর্তুকি দিয়ে বীমার প্রিমিয়াম দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে বীমাব্যবস্থা চালু করা সহজ হবে। কৃষককে একটি অনুশীলনের আওতায় নিয়ে আসতে পারলে এ ক্ষেত্রে কোনো অনিশ্চয়তাই থাকবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আপৎকালীন পুনর্বাসনের আওতা ও বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কিছু দুর্যোগ রয়েছে আমাদের চেনাজানা, কিছু প্রতি বছরই নতুন করে দেখা দেয়। নীতি-পরিকল্পনা ও বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। এবার হাওরাঞ্চলসহ দেশের ২৭ জেলায় গরমে বোরো ধান চিটা হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল। সরকারি হিসাবেই ১ লাখ টন ফলন বিপর্যয় হলো। প্রায় ৭০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইভাবে ব্লাস্টের আক্রমণও বোরোর ফলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাজেট প্রণয়নের সময় থেকেই সরকারি প্রস্তুতি ও নির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন।

৪. কৃষি গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা ইস্যু, মাটির স্বাস্থ্য, কৃষির বহুমুখী পরিবর্তন ও মানুষের জীবনধারাকে রেখেই কৃষি গবেষণা শুধু ফসলের জাত উদ্ভাবনে সীমাবদ্ধ রাখার সুযোগ নেই। এখন সামগ্রিক কৃষি গবেষণার দিকে নতুন করে নজর দেওয়ার সময় এসেছে। এ ক্ষেত্রে গবেষণার বরাদ্দে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

৫. শিক্ষিত তরুণদের কৃষিতে ধরে রাখার জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষিত তরুণদের জন্য বিশেষ কৃষি উদ্যোগ প্যাকেজ প্রণয়ন করা যেতে পারে। এখন স্টাটার্পের যুগ। পৃথিবীর সব দেশেই স্টাটার্পের মাধ্যমেই কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে। আমাদের দেশে প্রচলিত খাতগুলোর স্টাটার্পে উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই। কারণ একটি বাণিজ্যিক উদ্যোগ প্রস্তুত করার সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাজার নিশ্চয়তা দুটি বিষয় অপরিহার্য। এ দুটি কারণেই স্টাটার্প কাক্সিক্ষত সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে পারে না। এ ক্ষেত্রে কৃষি খাতের চিত্র ভিন্ন। আজকের বাংলাদেশে অগণিত শিক্ষিত কৃষি উদ্যোক্তা। তারা একেকজন বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করছেন। তাদের এ সাফল্য ধরে রাখতে তাদের জন্য একটি প্যাকেজ তৈরি করে বিনিয়োগ ও বাজার পর্যন্ত সেবার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। উন্মুক্ত অর্থনৈতিক প্যাকেজ থাকলে সব শর্ত পূরণ করেই শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা এদিকে ঝুঁকবেন।

৬. কৃষির যান্ত্রিকীকরণ হওয়া প্রয়োজন সব দিকে। সামগ্রিক যান্ত্রিকীকরণ ছাড়া কৃষি উৎপাদন, ফলন পার্থক্য ও ফসলের অপচয় রোধ করা সম্ভব নয়। শুধু জমি চাষের সাফল্যকে যান্ত্রিকীকরণের উৎকর্ষ ধরে তৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। ফসল বোনা, রোপণ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, ফসল পরিচর্যা, রোগ ও বালাই নির্ণয় ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্র এসেছে। এগুলো শুধু উন্নত বিশ্বই ব্যবহার করছে না, রীতিমতো দক্ষিণ এশিয়ায়ও বহুমুখী যান্ত্রিকীকরণের ব্যবহার চলছে। আমাদেরও সামগ্রিক যান্ত্রিকীকরণের পথে হাঁটতে হবে। স্মার্ট কৃষিতে যেতে হবে। কৃষির উপখাতগুলোয়ও স্মার্ট প্রযুক্তি যুক্ত করার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখতে হবে। কৃষিতে ইন্টারনেট অব থিংস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক টেকনোলজির সমন্বয় ঘটাতে হবে। এসব দিকে বিশেষ বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন।

৭. কৃষিঋণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ঋণ পাওয়ার দাবি রাখেন এমন গ্রহীতা সঠিকভাবে শনাক্ত করে তার কাছে ঋণ পৌঁছানোর বিষয়টি সহজলভ্য করতে হবে। ঋণের পাশাপাশি ঋণের অর্থ ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা নিশ্চিত করার নীতি প্রণয়নও করা প্রয়োজন।

বর্তমানে কৃষিঋণ বিতরণ করা হয় কমবেশি ২৬ হাজার কোটি টাকা। কৃষি খাতে বার্ষিক অবদান আর্থিক হিসেবে এর বহুগুণ বেশি। কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার ১৪ শতাংশ হিসাব করলেও আর্থিক যে অংশ দাঁড়ায় সে বিবেচনায় কৃষিঋণের আকার আরও বাড়ানোর যৌক্তিকতা থেকে যায়। কারণ কৃষি অর্থনীতির সব অর্জনের পেছনে ভূমিকা রেখে চলেছে কৃষক।

আরেকটি বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কৃষিঋণ বিতরণে কোনো বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওর দ্বারস্থ না হয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষকের ১০ টাকার অ্যাকাউন্ট, এজেন্ট ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। চলমান ডিজিটাল যুগে ঋণ বিতরণে সরকারি অবকাঠামো ব্যবহার করেই সঠিক জবাবদিহির আওতায় সুষ্ঠু নিয়মে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব।

৮. সবশেষে আসি ছাদকৃষি বা নগরকৃষির প্রসঙ্গে। পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। আমাদের এ অঞ্চল অনেক বেশি উত্তপ্ত। গ্রীষ্মের এই সময়ে গতবার যে তাপমাত্রা ছিল এবার তার চেয়ে বেশি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। পদ্মায় পানি না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প। বৃক্ষশূন্য প্রকৃতিতে মানুষের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। ঠিক এই সময়ে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ঢাকাসহ দেশের সব শহর নগর। গ্রামের চেয়ে নগরের পরিবেশ অনেক বেশি উষ্ণ। কলকারখানা, গাড়ির কালো ধোঁয়া, আর মানুষের চাপে এক অন্যরকম নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। এ পরিস্থিতিতে ছাদকৃষি বা নগরকৃষি আমাদের অক্সিজেন কারখানা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। সারা দেশে ছাদকৃষি উদ্যোগে আগ্রহী হয়ে উঠছে মানুষ। কিন্তু সেই বিবেচনায় তাদের সহায়তা নেই। সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় ছাদকৃষি -বিষয়ক একটি কর্মসূচি রয়েছে, যেটি একেবারেই সীমিত। বড় পরিসরে নগরকৃষি সম্প্রসারণে ওই কর্মসূচি তেমন ভূমিকা রাখতে সমর্থ নয়। এ সময়ে কয়েকটি দিকে সাফল্যের কথা চিন্তা করে ছাদকৃষি বিষয়ে একটি সমন্বিত ও বড় প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।

ক. নগরের পরিবেশ উন্নয়ন। সবুজের হার বাড়ানো। যার মাধ্যমে নগরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়বে। খ. ছাদ বিশুদ্ধ ফল-ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে নগরবাসী একাংশ তাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। ছাদকৃষিতে উৎপাদিত পণ্য বিশেষায়িত ও বিশুদ্ধ কৃষিপণ্য হিসেবে বাজারজাত করা সম্ভব, যেটি বাণিজ্যিক কৃষির এক নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে। আসন্ন জাতীয় বাজেট প্রণয়নে উপরোক্ত বিষয়গুলোয় দৃষ্টি দেওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 

লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।  

[email protected]

সর্বশেষ খবর