শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১ আপডেট:

মন্ত্রী যখন সরকারের বোঝা

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মন্ত্রী যখন সরকারের বোঝা

এ রকম চমৎকার অনুষ্ঠান আজকাল তেমন একটা হয় না। অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিউনিটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বললেন, অনুষ্ঠানে কিছু কথা বলতে হবে। বক্তৃৃতা করা আমার কাজ না। এ কাজে আমি খুবই অস্বস্তি বোধ করি। তারপরও মোদাচ্ছের স্যারের অনুরোধে অনুষ্ঠানে গেলাম। মাত্র কয়েকজন আলোচক।  আলোচনার বিষয়বস্তু ব্যতিক্রমী। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক : জাতির পিতার স্বপ্ন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সাফল্য’ শিরোনামে আলোচনা। চমৎকার মূল প্রবন্ধ পাঠ করলেন কবি শাহানা পারভীন। অনুষ্ঠানের আলোচক প্রায় সবাই স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং আরও দুই-চারজন। সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী নিজেই সভাপতি এবং সঞ্চালক। অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ত। সভাপতির প্রস্তাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক চেয়ার’ চালুর ঘোষণা দিলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী নেই। আয়োজকদের জিজ্ঞাসা করলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি? আয়োজকদের একজন বললেন, প্রথমে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল। তাঁকে আমন্ত্রণও জানানো হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। এ রকম একটি গোলটেবিলে প্রধান অতিথির প্রয়োজন নেই, তাই তাঁরা অনুষ্ঠান বিন্যাস পরিবর্তন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বাদ দেন। এর কারণ জানতে চাইলাম। একজন বললেন, মন্ত্রী এলেই করোনা, টিকা এসব নিয়ে কথা বলবেন। সাংবাদিকরা এসব বিষয় লুফে নেন। ফলে অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা আড়ালেই থেকে যাবে। আমরা অনুষ্ঠানটি বিতর্কহীন, একাডেমিক করতে চেয়েছিলাম। মানে কী? স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাহলে একটি ভালো অনুষ্ঠানের অন্তরায়? তিনি এখন জাতির দায়? আমার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হলো না। বার্ধক্যজনিত কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মা ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে শোক ও স্মরণসভা। সেই অনুষ্ঠানেও দেখি স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা এবং টিকা নিয়ে কথা বললেন। বললেন, ‘ক্যামেরা নিয়ে হাসপাতাল দেখালেই করোনা যাবে না।’ এটা দেখার পর কমিউনিটি ক্লিনিকের আয়োজকদের বিচক্ষণতায় আমি মুগ্ধ। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আমার এখন আর কিছু লিখতে ভালো লাগে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে পুরো জাতিই হাল ছেড়ে দিয়েছে। জাতীয় সংসদে তাঁকে তুলাধোনা করা হলো। তিনি নির্বিকার। গণমাধ্যমে প্রতিদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, অনিয়ম, অদক্ষতা নিয়ে লেখা হয়। মন্ত্রী ভ্রুক্ষেপহীন। টিআইবি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে গবেষণা করে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বানোয়াট। আজকাল চায়ের আড্ডায়, রাজনৈতিক দলের অফিসে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর খুঁটির জোর নিয়ে আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করতে করতে ক্লান্ত। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব পাত্তা দেন না। তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে। কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, করোনা মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়াতে হবে’। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক পরা নিয়ে সচেতন করতে হবে। এ নিয়ে প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রচার-প্রচারণার জন্য একটি বিশেষ বিভাগ আছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো নামে এই বিভাগটির কাজ হলো; স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা করা। এই খাতে বেশ টাকাও বরাদ্দ থাকে। বাংলাদেশে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো। এই প্রতিষ্ঠানে একজন লাইন ডিরেক্টর হয়েছেন মন্ত্রীর পছন্দে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা আছে। তিনি প্রচারণা না করেই টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করেছেন বলে গণমাধ্যমে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে সরকারের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সরকার, দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি স্বতন্ত্র, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গঠন করে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একক কর্তৃত্ব এখন খাদ্যের গুণগত মান তদারকি করা। এ সংক্রান্ত জনসচেতনতা তৈরি করা। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাদ্যের মান নিয়ে নানা প্রচার-প্রচারণা করে থাকে। এসব প্রচার-প্রচারণার মূল লক্ষ্য হলো, কোনো ভুল তথ্য যেন না যায়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নীতি অনুযায়ী খাবারের মান এবং ঝুঁকি নিয়ে বক্তব্য দেবেন কেবল চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ বা উপযুক্ত ব্যক্তি। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, স্বামী-স্ত্রী রিকশায় করে যাচ্ছেন। স্ত্রীর ফাস্টফুড খেতে ইচ্ছা হলো। স্বামী বলছেন এসব খাবার খেলে কলেরা, ক্যান্সার নানা রোগ হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, এই বিজ্ঞাপন অবৈজ্ঞানিক। নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে রুখবে কে? তাদের অযোগ্যতা, ব্যর্থতা নিয়ে কথা তো কম হলো না। অর্থমন্ত্রী বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলেন করোনা নিয়ে প্রচারণা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী করছেন ফাস্টফুডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। কী চমৎকার। দেখতে দেখতে গত আড়াই বছর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রণালয় জাতির জন্য এক বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এই বোঝা বইতে গিয়ে সরকারই যেন ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে। এ সরকারের এ রকম কয়েকজন মন্ত্রী আবিষ্কৃত হয়েছেন, যাদের একমাত্র কাজ সরকারকে বিব্রত করা। সরকারের ভালো কাজগুলো আড়াল করা। গত ১৭ মার্চ ছিল জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী অনলাইনে। এ দিনটি শিশু-কিশোর দিবস হিসেবে পালিত হয়। করোনা মহামারীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রায় দেড় বছর। তাই ওই অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শিশু-কিশোরকে আশ্বাস দিলেন, উজ্জীবিত করলেন। তাদের দুঃখ এবং উৎকণ্ঠার সঙ্গে একাত্ম হলেন। তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিলেন। মনে হলো মমতাময়ী মা সন্তানকে স্বাভাবিক রাখার এক অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রকাশ। আর সেদিন দেখলাম শিক্ষামন্ত্রীর কথার ঝঙ্কার। এক বছর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হলে নাকি তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। কী আশ্চর্য কথা! শিক্ষামন্ত্রী গত দেড় বছরে মূলধারার শিক্ষাজীবন চালু করতে কী করেছেন? সেদিন একজন শিক্ষক বলছিলেন, সপ্তাহে এক দিন একটি শ্রেণিকক্ষে ১০ জন করে শিক্ষার্থীকে এনে শিক্ষাদান করা যেতে পারে। এসব শিক্ষকের পরামর্শ শোনার মতো সময় আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর আছে কি? শিক্ষামন্ত্রী একাই দেশের শিক্ষার্থীকে এবং তাদের অভিভাবকদের সরকারের প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলছেন। গত সপ্তাহের লেখায় পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্বহীন মন্তব্য নিয়ে লিখেছিলাম। এই লেখার পর প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার এবং আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন নাসিম আমাকে একটি খুদে বার্তা পাঠান। আমার লেখার একটি ভুল তথ্য শুধরে দেওয়ার জন্যই এ খুদে বার্তা। পাঠকদের জন্য খুদে বার্তাটি তুলে ধরছি- “মান্নান সাহেব ১৯৭৩ সালের বিসিএসে যোগ দেননি। তিনি ছিলেন সিএসপি ১৯৭১ এর ব্যাচ। সারা দেশ যখন যুদ্ধে তখন এই সিএসপি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং পাস করেন। জয়েন করতে পারেননি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকার এই পরীক্ষাকে মেনে নেননি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর ১৯৭৭ সালে তাদের সিনিয়রিটি দিয়ে ক্যাডারে যোগদান করিয়েছিলেন। এ ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডার চারজন ছিলেন এম এ মান্নান, আহমেদ মাহমুদুর রাজা চৌধুরী, আনিসুল হক এবং শফিকুল ইসলাম। আর বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন পেয়েছিলেন সচিবালয় ক্যাডার। তিনিও ১৯৭৭ সালে একইভাবে জয়েন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পরীক্ষা দিয়েছিলেন বলে প্রশাসনে ওনাদের ‘রাজাকার ব্যাচ’ বা রাজাকার সিএসপি বলে কৌতুক করা হতো।” তাহলে, বর্তমান মন্ত্রিসভায় দুজন রাজাকার ব্যাচের মন্ত্রীও আছেন। এরা কাজ না করে সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলবেন- এটাই তো স্বাভাবিক। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে, মন্ত্রীদের কাজ কী? সংসদে দেখলাম কয়েকজন সংসদ সদস্য বলার চেষ্টা করছেন মন্ত্রীদের ক্ষমতা নেই, সব ক্ষমতা আমলাদের হাতে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বলে, ‘ক্ষমতা কেউ কাউকে দেয় না, ক্ষমতা অর্জন করতে হয়।’ মন্ত্রী যদি যোগ্য হন, তাহলে কখনো আমলারা ছড়ি ঘোরাতে পারে না। আর মন্ত্রী যদি তাঁর কাজটা না জানেন, তাঁর যদি অন্য কোনো মতলব থাকে, মন্ত্রীর গদিতে বসে আড়াই শ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ শোধ করার তাগিদ থাকে, তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। একজন মন্ত্রী যদি মনে করেন, মন্ত্রিত্বটা কেবল একটা চাকরি কিংবা পুরস্কার তাহলে তিনি কিছুই করতে পারবেন না। তিনি যদি মনে করেন, এটা দেশসেবার দায়িত্ব তাহলে তিনি অনেক কিছুই করতে পারেন। ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি একজন আদর্শ রাজনীতিবিদের উদাহরণ। আশির দশকে তাঁকে বলা হতো বিশে^র সেরা অর্থমন্ত্রী। অথচ তিনি অর্থশাস্ত্রে পড়াশোনাই করেননি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ইতিহাসে মাস্টার্স করেছিলেন। ১৯৮২ সালে প্রয়াত শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন, ভারতের অর্থনীতির নবযাত্রার সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। বাংলাদেশেও এ রকম অনেক উদাহরণ আছে। মন্ত্রী হয়ে যারা অনবদ্য অবদান রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা জীবনই রাজনীতির পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে। রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনীতিকে চালকের আসনে বসাতে তিনিই সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েই তিনি ‘রুলস অব বিজনেস’ পরিবর্তন করেন। সচিবদের বদলে মন্ত্রীদের দেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব। এই পরিবর্তনের ফলে, মন্ত্রীরা এখন মন্ত্রণালয়ের মূল ব্যক্তি। মূল ব্যক্তি হিসেবে অনেক মন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিতে গিয়ে তাঁদের মেধা ও মনন উজাড় করে দিয়েছেন। বেশি উদাহরণ দরকার নেই। এক সময় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব, কৃষিবিদ ড. আওলাদ হোসেনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল কদিন আগে। ড. আওলাদ বলছিলেন, মতিয়া আপা কৃষি মন্ত্রণালয়ে যে শৃঙ্খলা এবং উন্নতি করেছেন, তাতে ওই মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রীকে কিছুই করতে হবে না, শুধু রুটিনওয়ার্ক করলেই হবে।’ বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাটা ধারণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রতিপালন করেছেন, মন্ত্রণালয় দুর্নীতিমুক্ত রেখেছেন। নেতা হিসেবে একটা চমৎকার টিমওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ে। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। তোফায়েল আহমেদ দুই মেয়াদে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতিপক্ষ বানাননি, তাদের ধমক দিয়ে বলেননি, সিন্ডিকেট করা যাবে না, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানো যাবে না। তোফায়েল আহমেদ অভিভাবকের মতো দায়িত্ব পালন করেছেন। সব পক্ষকে আস্থায় নিয়েছেন। তাঁর দুই দফা মন্ত্রিত্বে চিনি কেলেঙ্কারি হয়নি। লবণ কেলেঙ্কারি হয়নি। পিঁয়াজের দাম লাগামহীন হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, রোজায় তিনি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সফল মন্ত্রী। এই মেয়াদেও আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী ভালো কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। বাংলাদেশ যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে, তার পেছনে কিছু মন্ত্রীরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। দুই-একটা উদাহরণ দিতে চাই। গত বছর যখন করোনা মহামারী শুরু হলো, তখন শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব ছিল অপ্রস্তুত। কী করতে হবে না হবে আমরা জানতাম না। নানা ভয়, কুসংস্কার, গুজব ছিল চারপাশে। এর মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ল, ডিম ও দুধ খেলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ব্যস, মানুষ ডিম-দুধ খাওয়া বন্ধ করে দিল। ভয়ংকর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল খামারিরা। খামারিরা রাস্তায় দুধ ঢেলে দিচ্ছেন এমন সংবাদও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এ সংকট উত্তরণে উদ্ভাবনী, দায়িত্বশীল এবং চমৎকার কয়েকটি পদক্ষেপ নিলেন। তখন কঠোর লকডাউন। এর মধ্যে ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ আর পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীকে দিয়ে ডিম, দুধের উপকারিতা এবং ডিম-দুধ খেলে করোনা হয় না এ রকম বার্তা রেকর্ড করালেন। বিভিন্ন টেলিভিশনে এবং পত্রিকায় এটা প্রচার করার ব্যবস্থা করলেন। মন্ত্রণালয় খামারিদের কাছ থেকে ডিম-দুধ কিনে ভ্রাম্যমাণ দোকানের মাধ্যমে তা বিক্রির উদ্যোগ নিল। খামারিদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা করল। করোনায়ও আমাদের যে পুষ্টি ও প্রাণিজ আমিষের অভাব হয়নি, (যেখানে ইউরোপ, আমেরিকায়ও প্রাণিজ আমিষের সংকট হয়েছিল) তা শ ম রেজাউল করিমের অবদান। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি বাস্তবায়নে তিনি আমলাদের ওপর নির্ভর করেননি, নিজ উদ্যোগে করেছেন।

ড. আবদুর রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী। করোনার প্রথম ধাক্কায় বোরো ধান কাটা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ল সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে ড. রাজ্জাক ধান কাটার জন্য জাতীয় উদ্যোগ নিলেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী- সবাইকে জাগ্রত করলেন। ধান কাটায় এক জাগরণ তৈরি হলো। যতদূর জানি, তৎকালীন সচিব এ রকম উদ্যোগে সায় দেননি। কিন্তু কৃষিমন্ত্রী তাঁর নেতৃত্বগুণে একটি অসাধারণ জাগরণের পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন দেশে। তরুণ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। করোনায় দেখিয়ে দিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবতা।

এক সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মানেই ছিল বিতর্ক। ‘আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে’। ‘উই আর লুকিং ফর শত্রুজ’। ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাগর-রুনির হত্যাকারী গ্রেফতার হবে’ কিংবা ‘বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা পিলার ধরে ধাক্কাধাক্কি করেছে এ জন্যই রানা প্লাজা ধসে গেছে’।- এমন সব চিরঞ্জীব কৌতুকময় উক্তি হলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এক্ষেত্রে আশ্চর্য ব্যতিক্রম বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন বিতর্কহীনভাবে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। এ করম অনেকেই আছেন, যারা প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছেন। এ জন্যই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করোনার মধ্যেও মাথা উঁচু করে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কিন্তু সব অর্জন ম্লান হয়ে যায় কিছু মন্ত্রীর দায়িত্বহীন মন্তব্য এবং কাজে। কেউ কেউ বলবেন, হাতের পাঁচ আঙুল তো সমান হয় না। মন্ত্রিসভা ভালো-মন্দ মিলিয়েই। সবাই তো আর সমান দক্ষ হয় না। কিন্তু এ রকম চিন্তার সঙ্গে আমি মোটেও একমত হতে পারি না। এক গ্লাস দুধ নষ্ট করতে এক ফোঁটা চুনই যথেষ্ট। একটি ঝকঝকে সফেদ শার্ট পরার অযোগ্য হয়ে পড়ে, একটি কালির দাগে। তেমনি, একজন বা গুটিকয় মন্ত্রী সরকারকে ডোবাতে পারেন। জনগণকে খেপিয়ে তুলতে একটি অপকর্মই যথেষ্ট। বিতর্কিত, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ একজন মন্ত্রীও রাষ্ট্র, দেশ এবং জনগণের জন্য বিপজ্জনক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মন্ত্রিত্ব দিচ্ছেন। একজন রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর জন্য মন্ত্রিত্ব একটা বিরাট সুযোগ। এই সুযোগ যারা কাজে লাগাতে পারেন না, এটা তাঁদের ব্যর্থতা। কিন্তু তাঁদের ব্যর্থতার মূল্য দিতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে, এ দেশের জনগণকে। মন্ত্রী যখন সরকারের বোঝা হন, আপদে পরিণত হন তখন সেই আপদ দ্রুত বিদায় করাই উত্তম। আমরা এমন মন্ত্রী চাই না, একটি সুন্দর অনুষ্ঠান সফল করতে যাকে প্রধান অতিথি করতে আয়োজকরা বিব্রত হন।  আমরা এমন মন্ত্রী চাই, যাকে প্রধান অতিথি না করলে অনুষ্ঠানই অপূর্ণ থেকে যায়।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
রাজশাহীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
রাজশাহীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

২৪ সেকেন্ড আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ঝড়ের শঙ্কায় চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
ঝড়ের শঙ্কায় চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত

১ মিনিট আগে | জাতীয়

'পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ হবে'
'পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ হবে'

২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ধর্মীয় মূল্যবোধ মানব চরিত্রকে উৎকর্ষের পূর্ণতায় অভিষিক্ত করে : ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্মীয় মূল্যবোধ মানব চরিত্রকে উৎকর্ষের পূর্ণতায় অভিষিক্ত করে : ধর্ম উপদেষ্টা

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

একক কনসার্ট নিয়ে আসছেন বাপ্পা মজুমদার
একক কনসার্ট নিয়ে আসছেন বাপ্পা মজুমদার

৭ মিনিট আগে | শোবিজ

সোনারগাঁয়ে পৌর বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও সদস্য ফরম বিতরণ
সোনারগাঁয়ে পৌর বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও সদস্য ফরম বিতরণ

৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপের ধাক্কায় নারী নিহত
পিকআপের ধাক্কায় নারী নিহত

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাংনী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ গ্রেপ্তার
গাংনী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ গ্রেপ্তার

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চবি শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য ছুটির দিনেও বোর্ড, বিক্ষোভ
চবি শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য ছুটির দিনেও বোর্ড, বিক্ষোভ

২০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মারা গেলেন হলিউড অভিনেতা মাইকেল ম্যাডসেন
মারা গেলেন হলিউড অভিনেতা মাইকেল ম্যাডসেন

২১ মিনিট আগে | শোবিজ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের ভগ্নিপতিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের ভগ্নিপতিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

পিরোজপুরে জামায়াতের মতবিনিময় সভা, জনসংযোগ
পিরোজপুরে জামায়াতের মতবিনিময় সভা, জনসংযোগ

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গুঞ্জনের ইতি টেনে পুরোনো ঠিকানায় নিকো
গুঞ্জনের ইতি টেনে পুরোনো ঠিকানায় নিকো

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধ নিহত
পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধ নিহত

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে কমিটি ঘোষণার পর এনসিপি থেকে নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ
গোপালগঞ্জে কমিটি ঘোষণার পর এনসিপি থেকে নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু
২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের
দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

মুরাদনগরে হত্যাকাণ্ড; ২ দিনেও নেই মামলা-গ্রেফতার
মুরাদনগরে হত্যাকাণ্ড; ২ দিনেও নেই মামলা-গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাকাশ থেকে দেখা গেল দুর্লভ লাল আলোর ঝলক
মহাকাশ থেকে দেখা গেল দুর্লভ লাল আলোর ঝলক

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

মারামারি থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবদল নেতার
মারামারি থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবদল নেতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনর্বিবেচনার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনর্বিবেচনার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাসপাতালে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালাল ডাকাত, স্ত্রী গ্রেফতার
হাসপাতালে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালাল ডাকাত, স্ত্রী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে যুবককে হত্যার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জে যুবককে হত্যার অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা
এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৪৮৭
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৪৮৭

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোলায় গণধর্ষণ মামলায় ৫ আসামি গ্রেফতার
ভোলায় গণধর্ষণ মামলায় ৫ আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব, মূল হোতা গ্রেফতার
মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব, মূল হোতা গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ
ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়
ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা
তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ইরানের
পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ইরানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ
ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সব ধরনের সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা রাশিয়ার
সব ধরনের সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা রাশিয়ার

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
দেশের প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত ৩০০
গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত ৩০০

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম
জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প
গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম
সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৩ দিনের ছুটিতে দেশ
টানা ৩ দিনের ছুটিতে দেশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দুই ফরাসি নাগরিক অভিযুক্ত
ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দুই ফরাসি নাগরিক অভিযুক্ত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত: ট্রাম্পকে পুতিন
ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত: ট্রাম্পকে পুতিন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন
তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার
মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মোটরসাইকেল কেনার টাকা না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা
মোটরসাইকেল কেনার টাকা না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর
এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত
শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা
চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা

শোবিজ

গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এবার বিশ্বকাপের হাতছানি
এবার বিশ্বকাপের হাতছানি

মাঠে ময়দানে

আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা
আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা

নগর জীবন

প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে
প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে
পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

থানায় হামলা ভাঙচুর
থানায় হামলা ভাঙচুর

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন
দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

সম্পাদকীয়

আপিল বিভাগের রায়ে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ
আপিল বিভাগের রায়ে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

কবরের মতো বন্দিশালা
কবরের মতো বন্দিশালা

প্রথম পৃষ্ঠা

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি
সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রথম পৃষ্ঠা

কলেজের সামনেই মাথায় ঘাড়ে কোপ পরীক্ষার্থীর
কলেজের সামনেই মাথায় ঘাড়ে কোপ পরীক্ষার্থীর

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে
এবার পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য
বগুড়ায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

নগর জীবন

ব্যয়বহুল তৌসিফ
ব্যয়বহুল তৌসিফ

শোবিজ

ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা
ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা

দেশগ্রাম

সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২
সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

প্রথম পৃষ্ঠা

‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান
‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান

শোবিজ

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ
স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে
জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে

দেশগ্রাম

বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু
বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন
নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন

দেশগ্রাম

গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার
গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম