শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১ আপডেট:

ত্যাগের রাজনীতি বনাম লুটের রাজনীতি

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ত্যাগের রাজনীতি বনাম লুটের রাজনীতি

২৩ জুন ছিল আওয়ামী লীগের ৭২ -তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বাংলাদেশের প্রাচীনতম দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুই দিন আগে এক অসাধারণ কাজ করলেন দলটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় নেতা তোফায়েল আহমেদ। বঙ্গবন্ধুর শিষ্য এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ তাঁর সব সম্পত্তি ‘তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশন’-এ দান করার ঘোষণা দেন। এ ফাউন্ডেশনটি আর্তমানবতার সেবায় কাজ করছে। এ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, শিক্ষাবৃত্তিসহ নানা মানবিক কার্যক্রম। তোফায়েল আহমেদের এই ত্যাগ নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগের জন্মদিনে একটি বড় প্রাপ্তি। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে পড়ল ১৯৯৪ সালের কথা। ’৯৪-এর ১৪ আগস্ট বাংলাদেশের ’৭৫-পরবর্তী রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল দিন। ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শোকের দিন। জাতীয় শোক দিবস। জাতীয় শোক দিবসের আগের দিন জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ত্যাগের এক অসাধারণ নজির স্থাপন করেছিলেন। ৩২ নম্বরে ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ তাঁরা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এ দান করেন। পিতা-মাতা, ভাই এবং নিকটাত্মীয় হারানো বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সেদিন প্রমাণ করেছিলেন পার্থিব সম্পদের প্রতি তাঁদের কোনো লোভ নেই। তাঁরা শুধু দিতেই জানেন। যা জাতির পিতা তাঁদের শিখিয়েছেন। জাতির পিতার রাজনীতির পুরোটাই ছিল ত্যাগের। এ দেশ, এ দেশের মানুষের জন্য তিনি দিনের পর দিন কারাগারে কাটিয়েছেন। জীবন দিয়েছেন এই পবিত্র জন্মভূমির জন্য। জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন রাজনীতি মানেই হলো ত্যাগ। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘যে কোনো মহৎ কাজ করতে হলে ত্যাগ ও সাধনার প্রয়োজন আছে। যারা ত্যাগ করতে প্রস্তুত নয় তারা জীবনে কোনো ভালো কাজ করতে পারে নাই- এ বিশ্বাস আমার ছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, এদেশে রাজনীতি করতে হলে ত্যাগের প্রয়োজন আছে...।’ পৃষ্ঠা ১২৮। বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল ভিত্তিই হলো মানুষের জন্য ত্যাগ, দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেওয়া। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হেঁটেছেন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় রাজনৈতিক কর্মী তোফায়েল আহমেদও একই নজির স্থাপন করলেন। কিন্তু তোফায়েল আহমেদের সবকিছু দান করে দেওয়ার পর নিজের মনেই প্রশ্ন এলো বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার দেখানো পথেই কি হাঁটছে আওয়ামী লীগ? ত্যাগের রাজনীতি কি ৭৩-এ পা দেওয়া দলটির অন্যতম শক্তি? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে হোঁচট খেলাম। কদিন আগে আওয়ামী লীগে পদবাণিজ্য নিয়ে তোলপাড় হলো। আওয়ামী লীগের এ প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা মির্জা আজম। দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। ঢাকা মহানগরী (দক্ষিণের) এক সভায় পদবাণিজ্য নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন। কর্মঠ, কর্মীবান্ধব এই নেতা খোলাখুলিভাবে বললেন ‘কিছু দুর্নীতিবাজ নেতা টাকা খেয়ে পদ বিক্রি করেন। তাদের কারণেই আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ে।’ বিপুল করতালির মধ্যে মির্জা আজমের এ বক্তব্য গ্রহণ করলেন দলের কর্মীরা। মুহুর্তেই ওই কর্মিসভার অবয়ব পাল্টে গেল। পদবাণিজ্য, কমিটি-বাণিজ্য নিয়ে সোচ্চার হলেন সবাই। আওয়ামী লীগের নেতারাই খোলামেলাভাবে দলের অর্থলোভী, সুবিধাবাদী দুর্বৃত্তদের নিয়ে কথা বলেন। মির্জা আজম যেন কর্মীদের ক্ষোভ এবং আবেগের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। শুধু মির্জা আজম কেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সত্যিকারে বিশ্বাসী দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগের লুটেরাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। এক কঠিন দুঃসময়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন তারানা হালিম। প্রচন্ড মেধাবী শিক্ষার্থী, শিশুকালেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন। ২২ জুন এক ওয়েবিনারে তারানার কথা শুনছিলাম। তিনি বলছিলেন, ‘সততা রাজনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ আমার লেখা পড়ে তারানা হালিম মাঝেমধ্যে আমাকে খুদে বার্তা পাঠান। এ লেখার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিবেচনা করে তারানার একটি খুদে বার্তা পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করছি- ‘তৈলমর্দন করতে করতে বেশির ভাগ দলের মানুষ অন্ধ। আসলেই রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ১৯৯১ সালে যুবলীগের মহিলা সম্পাদক ছিলাম। আমাদের সঙ্গে যাদের কখনো দেখিনি- জনতার মঞ্চে, মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীন বিরোধী আন্দোলনে, নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে বা থামাও সহিংসতার আন্দোলনে তারাই আজ রাজনীতি করে সংসদে বসে। দল ও আপার বিপদের সময় আমরা দেশে থাকি আর নব্য আওয়ামী লীগাররা সবার আগে নির্বাচনের সময় ভিসা পাসপোর্ট লাগিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।’ আওয়ামী লীগে ব্যবসায়ী এবং অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তারানার মতো অনেকেই উদ্বিগ্ন। রাজনীতি যেন এখন দেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। দুই ভাবে এ ব্যবসা চলে। আপনি কিছু টাকা বিনিয়োগ করে ক্ষমতাসীন দলে ঢুকে পড়লেন। আপনি আগে জামায়াত করেছেন কিংবা বিএনপি- কোনো সমস্যা নেই। টাকা ঢালতে পারলেই হলো। আপনি ধর্ষণ মামলার আসামি ছিলেন, মানব পাচারকারী, ব্যাংক লুটেরা কিংবা শেয়ারবাজার কারসাজি করে অঢেল সম্পদ বানালেন, এখন কিছু খরচ করে ঢুকে পড়লেই হলো। এরপর আপনি মনোনয়ন কিনবেন, এমপি হবেন, কপালে থাকলে মন্ত্রীও হয়ে যেতে পারেন। খুলে যাবে রত্নভান্ডার। আপনি যদি মন্ত্রী-এমপি না-ও হন তা হলেও সমস্যা নেই। একটা পদ পেলেই হলো। আপনি পেয়ে যাবেন টাকা বানানোর মেশিন কিংবা আলাদিনের চেরাগ। একটা ওয়ার্ড কমিটির নেতা হলেও আপনি বিপুল বিত্তের মালিক হতে পারেন। উদাহরণ তো হাতের কাছেই আছে। ক্ষমতাসীন দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা ছিলেন দুই ভাই এনামুল হক ওরফে রেনু এবং রুপন ভূঁইয়া। তাদের বাড়িতে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় ৩২ কোটি টাকা, ৯ কেজি সোনা ও ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। সিআইডির তদন্তে দুই ভাইয়ের নামে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ১২৮টি ফ্ল্যাট, ৬৬ কাঠা জমি এবং ব্যাংকে ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। ফরিদপুরে অনুপ্রবেশকারী দুই আওয়ামী লীগ নেতা তো সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে তাদের নয়টি ব্যাংকে ১৮৮টি অ্যাকাউন্ট থেকে ২ হাজার ৯১০ কোটি ৭১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলা চলছে। এ রকম অনেক নাম আছে। মাঝেমধ্যে এ অর্থ পাচারকারীদের নিয়ে শোরগোল হয়। তারপর নতুন ইস্যুর স্রোতে এসব ইস্যু হারিয়ে যায়। সম্প্রতি সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিরা ৫ হাজার ২৯১ কোটি টাকা রেখেছেন। এসব তো দেশের টাকা। কানাডায় বাড়ি নিয়ে অনেক কথা হলো। কানাডায় রাজনীতিবিদদের সম্পদ বেশি না আমলাদের- এ রকম চানাচুর কুৎসিত বিতর্কে দুর্বৃত্তরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। এখন কোন মন্ত্রণালয়ে বেশি চুরি হয় তা নিয়েও চলছে বিতর্ক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ১২ জুন এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দাবি করেছেন অন্য মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি হয় এবং কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়। দুর্নীতি, অর্থ পাচার, ব্যাংক লুট এসব যেন এখন কোনো অপরাধ নয়। নিয়োগ-বাণিজ্য, ভর্তিবাণিজ্য নিয়ে কথা বলতে বলতে এখন মানুষ যেন একে নিয়তি হিসেবেই মেনে নিয়েছে। খুব কম চাকরিপ্রত্যাশী বিশ্বাস করেন যোগ্যতায় চাকরি হয়। চাকরির জন্য ঘুষ না দিলে একজন চাকরিপ্রার্থী বিশ্বাসই করেন না যে তার চাকরি হবে। দুই-আড়াই বছর ধরে রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের আধিপত্য নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। স্বয়ং রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত এ নিয়ে তাঁর উষ্মার কথা জানিয়েছেন। আমি এ বিষয়ে একটু ভিন্নমত পোষণ করি। একজন ভালো ব্যবসায়ী, জনকল্যাণের আকাক্সক্ষা থেকে রাজনীতিতে আসতেই পারেন। এর মধ্যে দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু এখন ব্যবসায়ী নয়, রাজনীতিতে লুটেরা ঢুকে পড়ছে। রাজনীতির নামে দেশে লুটতন্ত্র কায়েমের এক নীরব চেষ্টা ক্রমে দৃশ্যমান হচ্ছে। রাজনীতি যেন হয়ে উঠছে লুটপাটের সিঁড়ি। যে নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেয় না, সেই তিনটি আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৯৪ জন মনোনয়নপত্র কেনেন, কীসের আশায়? কোন মধুর লোভে? লাখ টাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের পদ বিক্রি হয়, কারণ এর বাজারমূল্য আছে। কাজেই রাজনীতিতে এখন লুটেরাদের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা আজকাল আমলাতন্ত্র-বনাম জনপ্রতিনিধিদের বিরোধ নিয়ে কথা বলি। আমলাতন্ত্রের উত্থান গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়। কিন্তু আমাদের জনপ্রতিনিধিরা কী করছেন? করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী গরিব মানুষকে সহায়তা করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। নগদ সহায়তা থেকে শুরু করে খাদ্য সহায়তা- সবকিছুতেই কিছু কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কম দুঃখে প্রধানমন্ত্রী আমলাদের দিয়ে ত্রাণকাজ পরিচালনা করছেন না। আবার আমলারাও ধোয়া তুলসীপাতা নন। তারাও অতিরাজনীতি-প্রবণ হয়ে লুটেরা রাজনীতির হিস্সা হচ্ছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত জনপ্রতিনিধি আর দুর্নীতিবাজ আমলাদের মহামিলন হচ্ছে কোথাও কোথাও। এটাই হলো লুটতন্ত্রের গন্তব্য। তাহলে কি বাংলাদেশে ত্যাগের রাজনীতি নির্বাসিত হতে যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লুটতন্ত্র? এ প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগে আসুন আমরা লুটের রাজনীতির উৎস অনুসন্ধানের চেষ্টা করি। বাংলাদেশে যত ভ্রষ্টাচার, অনিয়ম সবকিছুর সূচনাবিন্দু ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট। ওই দিন শুধু জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছে আমাদের স্বপ্ন, আকাক্সক্ষা এবং নৈতিকতাকে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হলেন বাংলাদেশে লুটতন্ত্রের প্রবক্তা। রাজনীতিকে ডিফিকাল্ট করতে তিনি লুটেরাদের রাজনীতিতে ঢুকিয়েছিলেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি মন্ত্রীদের দলের জন্য টাকা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পার্টি ফান্ডের নামে শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রীয় লুটপাট। জিয়ার লুটতন্ত্রে, রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল লুট করে ধনী হও। ধনী হয়ে দল চালাও। এরশাদ লুটতন্ত্রকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরশাদ নিজে কবি ছিলেন। কাজেই তাঁর লুটতন্ত্র ছিল শিল্পশোভিত কাব্যিক। যমুনা সেতুর নামে টেলিফোনে সারচার্জ বসিয়ে পুরো টাকা মেরে দেওয়ার নিপুণ দক্ষতা দেখিয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরশাদ যেমন প্রশাসন-আইন-আদালত বিকেন্দ্রীকরণ করেছিলেন, ঠিক তেমনি দুর্নীতিকেও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন গ্রাম-গ্রামান্তরে। প্রতিটি গ্রামে ‘টাউট’ তৈরি করে দুর্নীতিকে সর্বব্যাপী করেছিলেন পল্লীবন্ধু। আর বেগম জিয়া ও তাঁর পুত্র তারেক জিয়া দুর্নীতির আন্তর্জাতিকীকরণ করেছিলেন। আজ যে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড়, লুটের টাকা পাচার করে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে গচ্ছিত রাখার সংস্কৃতির আবিষ্কারক তারেক জিয়া। জল সব সময় নিচের দিকেই গড়ায়। ব্যাধির সংক্রমণ ভয়াবহ। জিয়া-এরশাদ-বেগম জিয়া-তারেক রাজনীতিতে লুটতন্ত্রের ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাতে আক্রান্ত এখন বাংলাদেশের গোটা রাজনীতি। আওয়ামী লীগে তা-ও মির্জা আজম, তারানা হালিমরা এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন। অনুপ্রবেশকারী, দুর্বৃত্ত, লুটেরাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা নিতে না পারলেও এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার তৃণমূল। আওয়ামী লীগ লুটতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত কিন্তু একে মেনে নেয়নি। রোগটা নির্ণয় করতে পেরেছে। তাই আওয়ামী লীগে এসব আপদ, আবর্জনার বিরুদ্ধে একটা অবস্থান আছে। প্রতিরোধের একটা চেষ্টা আছে। কিন্তু বিএনপিতে কী অবস্থা? আওয়ামী লীগ টানা ১২ বছরের বেশি ক্ষমতায়। ক্ষমতাসীন একটি দলে মধুর আশায় মৌমাছি ভিড় করবেই। লুটেরা, সুবিধাবাদী, চাটুকাররা সব সময় ক্ষমতার বৃত্তেই ঘুরপাক খায়। কিন্তু বিএনপি তো ক্ষমতায় নেই ১৪ বছরের বেশি সময়। সেখানে কেন পদবাণিজ্য হয়? ২০১৮-এর নির্বাচনে বিএনপিতে মনোনয়ন-বাণিজ্য নিয়ে হুলুস্থুল হয়ে গেল। কোন কোন নেতা কোন আসন কত টাকায় বিক্রি হয়েছে তার হিসাব দিলেন। বিএনপি নীরব। এখনো বিএনপিতে মাঝেমধ্যেই কমিটি-বাণিজ্য ও পদবাণিজ্য নিয়ে কথা হয়। কদিন আগে বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন বলছিলেন, তাঁর জেলায় (ভোলা) অঙ্গসংগঠনের কমিটি হয়েছে, তিনি কমিটির কাউকে চেনেন না। শুধু ভোলায় নয়, সারা দেশে একই চিত্র। বিএনপির এক নেতা বলছিলেন, টাকা ছাড়া বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতা হওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ যদি লুটতন্ত্রে আক্রান্ত হয়, তাহলে বিএনপি লুটতন্ত্রের প্রতীক। ’৭৫- পরবর্তীতে বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে লুটেরাদের যে অনুপ্রবেশ ঘটেছিল তা আজ রাজনীতিকে দূষিত, দুর্গন্ধময় করে তুলেছে। ’৭৫-এর পর কঠিন সময়ে আওয়ামী লীগকে অনেক ক্ষেত্রেই আপস-সমঝোতা করতে হয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জটিল হিসাব -নিকাশে ত্যাগী-পরীক্ষিতদের মনোনয়ন থেকে বাদ দিতে হয়েছে। লুটেরাদের সঙ্গে সহাবস্থান করতে হয়েছে। যে কারণে আওয়ামী লীগে এখন ত্যাগী ও লুটেরাদের সমান্তরাল ধারা বহমান। এখানে যেমন শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা মানুষের জন্য নিজেদের শেষ সম্পত্তিটুকু ত্যাগ করেন, এখানে যেমন তোফায়েল আহমেদ মানুষের জন্য সবকিছু দান করে দেন, তেমনি এ দলেই রুবেল, বরকত, রুপু, এনামুলরা হাজার কোটি টাকা লুট করে নেয়। এরা ধরা পড়েছে, কিন্তু এখনো আওয়ামী লীগে আরও অনেক লুটেরা আছে, যারা আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। এদের উৎখাত না করতে পারলে আওয়ামী লীগও লুটতন্ত্রে আত্মসমর্পণ করবে। তখন এ দেশে গণতন্ত্রের শেষ বস্ত্রটুকুও খসে পড়বে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই।’ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে দেশবাসী প্রত্যাশা করে আরও একটি অর্জন আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হোক। দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্ত, লুটেরাদের হাত থেকে দেশটাকে মুক্ত করার কাজটাও আওয়ামী লীগকেই করতে হবে। আওয়ামী লীগ যদি এটা করতে না পারে তাহলে লুটেরারা আওয়ামী লীগকেই খেয়ে ফেলবে। বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘বাজে গাছগুলো আমি নিজেই তুলে ফেলি। আগাছাগুলিকে আমার বড় ভয়, এগুলি না তুললে আসল গাছগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন আমাদের দেশের পরগাছা রাজনীতিবিদ- যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তাদের ধ্বংস করে, এবং করতে চেষ্টা করে। তাই পরগাছাকে আমার বড় ভয়।’ পৃষ্ঠা ১১৭।

আওয়ামী লীগ যদি পরগাছারূপী এই লুটেরাদের উপড়ে ফেলতে না পারে তাহলে এরা আওয়ামী লীগকেই ধ্বংস করবে। তখন দেশে নতুন ব্যবস্থা কায়েম হবে, তার নাম ‘লুটতন্ত্র’।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
ভূমিকম্পের জন্য সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন
ভূমিকম্পের জন্য সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন

২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল
পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

১২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২১ মিনিট আগে | শোবিজ

ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত
ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত

২৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা
কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা

৩৩ মিনিট আগে | পরবাস

স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম

৩৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

৩৭ মিনিট আগে | শোবিজ

খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

৩৯ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ
কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ

৪৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা
দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা

৪৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত
বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আ.লীগের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আ.লীগের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ
৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুই দিনে ডিএমপির ২৪৮৩ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুই দিনে ডিএমপির ২৪৮৩ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ইবির তিন বিভাগে বাড়লো ৩০ আসন
ইবির তিন বিভাগে বাড়লো ৩০ আসন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া অফিসে পেট্রল ঢেলে আগুন
কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া অফিসে পেট্রল ঢেলে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা