মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

উন্নয়নের মহাযজ্ঞ

বাংলাদেশ হবে উৎপাদন কেন্দ্র

কক্সবাজারের মহেশখালীকে কেন্দ্র করে চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। এ উন্নয়ন নিছক মহেশখালী বা কক্সবাজারকে নয়, এগিয়ে নেবে পুরো বাংলাদেশকে। কারণ চলমান এ উন্নয়নযজ্ঞ সম্পন্ন হলে মহেশখালী হয়ে উঠবে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বড় হাব। এর আওতায় নির্মিত হচ্ছে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পাঁচটি এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল, তেল সংরক্ষণাগার ও শোধনাগার। গভীর সমুদ্র থেকে জ্বালানি তেল খালাসে স্থাপন করা হচ্ছে ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইন। মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ঘিরে এখন চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। আর এ উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের ছোঁয়ায় সমুদ্র-তীরবর্তী এ উপজেলার বাসিন্দাদের জীবনমান বদলে যেতে শুরু করেছে। মাছ ধরে, শুঁটকি তৈরি করে, পান চাষ এবং লবণ উৎপাদন করে যে অঞ্চলের মানুষ এতকাল জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন তারাই এখন নতুন করে উন্নত জীবনের স্বপ্ন বুনছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এ কাজ শেষ হলে এ অঞ্চল তো বটেই, গোটা দেশ পাবে নতুন এক চেহারা। সবারই জানা, আজকের যুগ হলো শিল্পায়নের যুগ। যে জাতি শিল্পায়নে এগিয়ে সে জাতির হাতে থাকে সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। আর শিল্পায়নে এগিয়ে যেতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। কক্সবাজারে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি হাব গড়ে তোলা হচ্ছে সে লক্ষ্য সামনে রেখে। আগামী দিনের চাহিদা মনে রেখে তৈরি হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বড় হাবের পাশাপাশি গভীর সমুদ্রবন্দর। দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সরকার শুধু বর্তমান নয়, আগামী দিনের প্রয়োজনের কথা মনে রেখেই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে। বর্তমানে বড় কোনো জাহাজের বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার সুযোগ নেই। গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপিত হলে সে সীমাবদ্ধতার অবসান ঘটবে। তাতে হ্রাস পাবে আমদানি-রপ্তানি ব্যয়। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের সহজ প্রাপ্তি এবং বন্দর সুবিধা থাকলে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে।

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর