রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদেশি বিনিয়োগ

কর্মসংস্থানে আশীর্বাদ বয়ে আনবে

করোনা ও রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের ফলশ্রুতিতে দুনিয়াজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা থাবা বিস্তার করলেও বাংলাদেশে বিদায়ী অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে নিট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১২৭ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বেড়ে ১৭৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। চলমান প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা থাকলে নিট এফডিআই ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের কাছাকাছি যেতে পারে। শুধু যে নিট এফডিআই বেড়েছে তাই নয়, নতুন নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাবও আসছে দেশে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত চীন ও কোরিয়া থেকে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। এ ছাড়া তুরস্ক ও ইতালির উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের দৌড়ে এখন সবচেয়ে এগিয়ে প্রধান উন্নয়ন সহযোগী চীন। ২০২১ ও ২০২২ সালে ৭৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ এসেছে চীন থেকে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয়। তাদের কাছ থেকে ১৬১ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। তুরস্ক ও ইতালির দিক থেকেও এসেছে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ প্রস্তাব। ইতালি বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের অন্যতম বাজার। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জার্মানির পরই ইতালিতে বাংলাদেশি পোশাক বেশি রপ্তানি হয়। পোশাক তৈরির ইতালীয় যন্ত্রপাতির আমদানিকারক বাংলাদেশ। যে কারণে পোশাক সংশ্লিষ্ট শিল্পে দেশটি বিনিয়োগে আগ্রহী। অন্যদিকে তুরস্কও বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রায় সহযোগী হতে চায়।  বিশ্ব মন্দার সময় বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি একটি সুখবর। কর্মসংস্থানের জন্যও তা আশীর্বাদ বলে বিবেচিত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর