রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সাগরের মাছ

উৎপাদনশীলতা বাড়লে পুষ্টি নিশ্চিত হবে

গত ছয়-সাত বছরে ইলিশ আহরণে বলা যায় বিপ্লব ঘটে গেছে। দেশে ইলিশের পরিমাণ বেড়েছে। গড় আকারও অনেক বেড়েছে। ইলিশ এখন অনেক সহজলভ্য। এর মূল কারণ সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা ঠিকমতো বাস্তবায়ন। ওই সময় ইলিশ বড় হওয়ার সুযোগ পায়। অভয়াশ্রমগুলোয় জাটকা ধরা ও নিষিদ্ধ সময়ে মা-ইলিশ ধরা বন্ধ করার কারণে উৎপাদন বেড়েছে। এ সময় সেখানে মাছ ধরা দন্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারীরা কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। এ দুই মাস জাটকা আহরণে বিরত থাকা প্রায় দেড় লাখ জেলের জন্য ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। দেশের মৎস্যসম্পদের সুরক্ষা ও মাছের বংশ বিস্তারে সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে শুক্রবার মধ্যরাতে। মৎস্যসম্পদ রক্ষায় প্রতি বছর দুই মাস সমুদ্রে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়। ২০ মে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সরকার। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে যাতে দ্রুত মাছ ধরতে সাগরে যেতে পারেন এজন্য এক সপ্তাহ আগেই উপকূলের জেলেরা জাল-নৌকা ঠিকঠাক করে প্রস্তুতি শুরু করেন। এমনিতেই করোনাকালে তাঁদের রোজগারে টান পড়েছে। তার ওপর বাজারের ঊর্ধ্বমুখিতার চাপ তো রয়েছেই। এমন পরিস্থিতিতে মাছ ধরায় ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে সীমাহীন দুর্দশায় দিন কাটিয়েছেন জেলেরা। ধারদেনা ও ঋণে জর্জরিত হয়েছেন অনেকে। সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে শুরু থেকেই তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। এমনকি পাশের দেশ ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পক্ষেও মত দেন তাঁরা। তবে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৬৫ দিন দরকার আছে কি না, তা বৈজ্ঞানিকভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত। মাছের উৎপাদনশীলতা বাড়লে মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত হবে, ভালো থাকবেন জেলেরাও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর