শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

খুলনায় জলাবদ্ধতা

নদ-নদী-খাল দখলমুক্ত করুন

বৃষ্টি হলেই ডুবছে খুলনা মহানগরী। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, খাল-জলাশয় ভরাট এ অবস্থার জন্য দায়ী- এমন অভিযোগ নগরবাসীর। ভৈরব, রূপসা-ময়ূরী বিধৌত নগরী খুলনা। এই তিন নদ-নদী খুলনা মহানগরীর প্রাণ বলেও পরিচিত। কিন্তু দখল ও দূষণের শিকার হয়ে এগুলো অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। নদ-নদীতে অবাধে বর্জ্য ফেলার পরিণামে ভরাট হয়ে যাচ্ছে প্রাণবন্ত তিনটি জলাশয়। পানি ধারণক্ষমতা কমে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি নদ-নদীতে নামতে পারছে না। গত বুধবার রাত ৩টা থেকে বৃষ্টি শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই খুলনার গোবরচাকা, নবীনগর, সোনাডাঙ্গা প্রথম ফেজ, নিরালা প্রান্তিকা ও মুজগুন্নি আবাসিকের অধিকাংশ বাড়িঘরে পানি উঠতে শুরু করে। গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানেও মুজগুন্নি, গোবরচাকা, নবীনগর ও তালিমুল মিল্লাত মাদরাসা এলাকার বাড়িঘর, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে ছিল। এতে এসব এলাকার মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, নগরীর বৃষ্টির পানি নদীতে নামায় খালগুলো দখলসহ ধীরগতিতে ড্রেন-সড়ক সংস্কার কাজে ভোগান্তি বাড়ছে। খুলনায় বৃষ্টি হলেই নগরীর বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। সর্বশেষ জলাবদ্ধতায় জিম্মি হয়ে পড়েছিল কয়েক লাখ মানুষ। খুলনার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও ধীরগতিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার ইতি ঘটাতে প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়ন, খুলনা মহানগরীর তিন নদ-নদী, খাল দখলমুক্ত এবং খননের উদ্যোগ নিতে হবে। কোনোভাবেই পানি নিষ্কাশনের  পথ যাতে বন্ধ না হয়, খুলনা সিটি করপোরেশনকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ইতি ঘটাতেও নিতে হবে নানামুখী উদ্যোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর