শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন

আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্র ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে লন্ডন সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন বৃহস্পতিবার। সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তরে সফরের বিভিন্ন দিকের পাশাপাশি গুরুত্ব পেয়েছে আসন্ন নির্বাচনের বিষয়টি। এক বছরের বেশি সময় বাকি থাকলেও সংসদ নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে দেশজুড়ে। দেশের রাজনীতিতে তা প্রাণসঞ্চারে সক্ষম হয়েছে। বিরোধী দলগুলো নির্বাচন সামনে রেখে একাট্টা হওয়ার

চেষ্টা করছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। অন্য পক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন হবে যথাসময়ে সংবিধানের অধীনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। বিরোধী ও সরকারি দলের মধ্যে নির্বাচনের কিছু বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও উভয় পক্ষই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে। নির্বাচনে সব বিরোধী দলের অংশগ্রহণ চায় সরকারি দলও। প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনেও বলেছেন, তাঁরাও চান সব দল নির্বাচনে আসুক। ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনের পথেই আসতে হবে এবং এর বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর এ মনোভাব নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ নিয়ে যে অচলাবস্থা চলছে তার গ্রন্থিমোচনে অবদান রাখতে পারে। এজন্য বিরোধী দলের আস্থা অর্জনে কীভাবে সাংবিধানিক পদ্ধতির আওতায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সে পথ খোঁজা যেতে পারে। দুনিয়ার সব দেশে যেহেতু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, সেহেতু বাংলাদেশে একই পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে করা যায় সে পথ খুঁজতে হবে। নির্বাচন পদ্ধতির কোথায় কোথায় ত্রুটি আছে তা বদলাতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার বিরোধী দলের আস্থা অর্জনে ব্রতী হবে এমনটিও প্রত্যাশিত। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আসন্ন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সম্পর্কে জাতিকে সতর্ক থাকার যে তাগিদ দিয়েছেন তা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। এ ক্ষেত্রেও সরকারের দায়ই বেশি। খাদ্য উৎপাদনে কৃষক যাতে উৎসাহী হয় এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। জ্বালানি সংগ্রহে দীর্ঘমেয়াদি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হবে বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে। মন্দা মোকাবিলাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে এবং তাতে জিততে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর