মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

করোনার হুমকি

টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অবহেলা নয়

বিশ্ববাসীর জন্য সাক্ষাৎ অভিশাপ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল করোনাভাইরাস। ভয়াবহ এ ভাইরাস মহামারি হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে। কয়েক কোটি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা খাতা-কলমে ২০ লাখের বেশি। তবে সাধারণভাবে মনে করা হয় এ সংখ্যা ৩ কোটির বেশি হতে পারে। কারণ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হলেই কাউকে করোনায় আক্রান্ত বলে ধরা হয়। দেশে করোনায় আক্রান্তের ক্ষুদ্র একটি অংশকেই নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। দেশে করোনার থাবা গত কয়েক মাসে নিয়ন্ত্রণাধীন থাকলেও এ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুনভাবে আতঙ্ক। সাত দিন করোনায় কোনো মৃত্যু না থাকলেও শনিবার চট্টগ্রামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, করোনার নতুন ধরন বিএফ.৭ তা-ব শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ওমিক্রনের চেয়ে এটি চার গুণ বেশি সংক্রামক। ভাইরাসটির কারণে চীনসহ ইউরোপের শীতপ্রধান দেশগুলোয় আবারও আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সব প্রবেশপথে স্ক্রিনিং বাড়ানোর এবং বন্দরগুলোয় র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করে আইসোলেশনে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে হাসপাতালগুলোকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-কে বলা হয় আর.১৮, অর্থাৎ একজন থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। নতুন ভ্যারিয়েন্টটির ভয়ানক দিক হচ্ছে এটার ইনকিউবিশন পিরিয়ড অনেক কম। খুব কম সময়ের মধ্যে যে-কোনো মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে এবং এটি অনেক বেশিসংখ্যক মানুষকে দ্রুত সংক্রমিত করতে পারে। এটার উপসর্গ অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতোই। করোনার নতুন ধরন ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে চীনে। ফলে বাংলাদেশের জন্যও তা হুমকি হয়ে উঠেছে। করোনার এ নতুন ধরনটি থেকে রক্ষা পেতে সবারই উচিত দ্রুত টিকা নেওয়া। কোনোভাবেই বিপজ্জনক এ ভাইরাস উপেক্ষা না করা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর