শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

চৌর্যবৃত্তির ইতিহাস

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
চৌর্যবৃত্তির ইতিহাস

ফরাসি পর্যটক তাভেরনিয়ের ভারতবর্ষে আসেন ১৬৪০ সালে। তখন মুঘল সম্রাট শাহজাহানের শাসন আমল। ১৬৪০ সালে ভারতে এলেও তাভেরনিয়ের বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৬৬৫ সালের ১৪ জানুয়ারি। ততদিনে সম্রাট শাহজাহান পরোলোকে। ভাইদের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ শেষে সিংহাসনে বসেছেন আওরঙ্গজেব। আগ্রা থেকে ১৬৫৫ সালের ২৫ নভেম্বর নৌপথে যাত্রা শুরু করে প্রায় ১ মাস ২০ দিন পর তিনি পৌঁছেছিলেন ঢাকায়।  তার লেখা ভ্রমণ কাহিনি ইতিহাসের এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। তিনি লিখেছেন- ১৪ জানুয়ারি আমি ঢাকা শহরে পৌঁছেই গিয়েছিলাম নবাব সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। তাকে উপঢৌকন হিসেবে দিয়েছিলাম সোনার জরিতে তৈরি একটি পোশাক।  তার ঝালর ও কিনারামন্ডিত ছিল স্পেনদেশীয় সোনালি জরির সুতোতে। তাকে আরও দিলাম সোনালি রুপালি নকশাযুক্ত একখানি চাদর বা অঙ্গাবরণ, আর সুন্দর একটি মরকত মণি। নবাবের ১০ বছর বয়সের পুত্রকে উপহার দিলাম সোনার জলে মিনে করা বাক্সে একটি ঘড়ি, রৌপ্যখচিত একজোড়া ছোট পিস্তল, অতি সুন্দর একখানি ম্যাগনিফাইং গ্লাস। পিতা-পুত্রকে মিলিয়ে যা আমি দিয়েছিলুম তার মূল্য ৫ হাজার লিভারেরও বেশি ছিল।

সন্ধ্যার দিকে আমি ওলন্দাজদের কুঠিতে ফিরে আসার পর নবাব আমার জন্য পাঠিয়েছিলেন স্ফটিক পাথর, চিনা কমলালেবু, দুটি পারসিক ফুটি এবং তিন রকমের নাসপাতি। ১৫ তারিখে আমি নবাবকে আমার জিনিসপত্র দেখিয়ে দিলাম। জিনিসপত্রের দাম সম্বন্ধে আমি চুক্তিবদ্ধ হলাম ১৬ তারিখে। অবশেষে তার গোমস্তার কাছে গেলুম আমার বিনিময় মুদ্রার জন্য চিঠি। আনার উদ্দেশ্যে, যাতে করে আমার প্রাপ্য টাকাগুলো আমি কাশিমবাজার থেকে উঠিয়ে নিতে পারি।

তখনকার দিনে একটি প্রথা প্রচলিত ছিল। যে কোনো পর্যটক নবাব ও তার পরিবারের জন্য দামি কোনো উপঢৌকন নিয়ে এলে সেগুলোর দাম নির্ধারণ করে তা চুকিয়ে দেওয়া হতো পর্যটকের হাতে। তাভেরনিয়ের ঢাকায় বসে তার পাওনা টাকা গ্রহণ না করে কেন তিনি সেই টাকা কাশিমবাজার থেকে উত্তোলন করতে চাইলেন। এর পেছনের কারণটি হলো- তাভেরনিয়ের ঢাকা আসার পর দেখলেন ওলন্দাজরা বেশ জমিয়ে ব্যবসা করছে ঢাকায়। কিন্তু সমস্যা হলো তাদের জিনিসপত্রগুলো চুরি হয়ে যায় হরহামেশাই। যখন তারা দেখলেন যে ঢাকার সাধারণ বাড়িতে জিনিসপত্র রাখা নিরাপদ নয় তখন তারা চোরদের হাত থেকে জিনিসপত্রগুলো রক্ষা করার জন্য নিজেদের জন্য ভারী চমৎকার একটি বাড়ি তৈরি করে নিয়েছিলেন সেখানে। তাভেরনিয়ের আরও লিখেছেন- ওলন্দাজদের ব্যবসা বুদ্ধি আমার চেয়ে ঢের বেশি। তারা আমাকে বললেন সঙ্গে টাকাকড়ি নিয়ে কাশিমবাজার যাওয়া নিরাপদ নয়। আবার গঙ্গানদীর পথ ছাড়া যাওয়ার দ্বিতীয় কোনো উপায়ও নেই। স্থলপথ যা আছে তাও পাঁকে, জলায় পরিপূর্ণ। তা ছাড়া জলপথে আরও বিপদ আছে। যে জাতীয় নৌকার ব্যবহার হয় তা সামান্য ঝড়-বাতাসে উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা। কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো মাঝি-মাল্লাদের যদি জানা থাকে যাত্রীর সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ টাকাকড়ি আছে তাহলে খুব অনায়াসেই তারা নৌকা উল্টে দিতে পারে। মাঝিমাল্লাগুলো এমনই দক্ষ চোর যে তারা ঠিকই বুঝতে পারত নদীর কোন জায়গায় মুদ্রার থলেগুলো নিমজ্জিত হয়েছে এবং সময়মতো এসে তারা অবাধে সেগুলো তুলে নিতে সক্ষম ছিল।

শুধু তাভেরনিয়েরই নয়, তার সমসাময়িক প্রায় অধিকাংশ পর্যটক যেমন আল বিরুনী (ভারতবর্ষে ছিলেন ১০১৭ থেকে ১০৩০ পর্যন্ত) ইবনে বতুতা ভারতবর্ষে এসেছিলেন ১৩৩৩ সালে বার্নিয়ের (১৬৫৯-১৬৬৬), মানুচি (১৭০৪-১৭১৭), কমবেশি আমাদের চারিত্রিক স্খলনের নানা চিত্র তুলে ধরেছেন।

এবার আমরা একটু পেছনের দিকে ফিরে যাই। ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম যে পরিব্রাজক এসেছিলেন তার নাম মেগাস্থেনিস। তিনি এসেছিলেন গ্রিস থেকে। সম্ভবত ৩০২-২৯৮ খ্রিস্টপূর্বের কোনো এক সময়। অর্থাৎ এখন থেকে প্রায় ২ হাজার ৩০০ বছর আগে। গ্রিক সম্রাট সেলুকাসের দূত হিসেবে ভারতে এসেছিলেন মেগাস্থেনিস। তখন মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকাল। চন্দ্রগুপ্তের রাজধানী পাটলিপুত্র (বর্তমান বিহারের রাজধানী পাটনা)। মেগাস্থেনিস কিন্তু আল বিরুনী, তাভেরনিয়ের, মানুচি কিংবা অপরাপর অন্যান্য পর্যটকদের মতো ভারতবাসীকে চোর, শঠ, প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত করেননি। মেগাস্থেনিস লিখেছেন- পাটলিপুত্র নগরের সাধারণ মানুষের জীবন সুসংহত ও সুশৃঙ্খল। এখানে চুরি-চামারি অতি বিরল। পাটলিপুত্র নগরে চার লাখ লোকের বাস। কিন্তু কোনোদিনও ৩০ মুদ্রার অধিক মূল্যের বস্তু অপহৃত হয়েছে বলে শোনা যায় নাই। ভারতবর্ষে লিখিত আইনকানুনের ব্যবহার নাই। কিন্তু তারপরও কেউ আইন ভঙ্গ করেন না। তারা সরলচিত্ত ও মিতাচারী বলে সুখেই দিন যাপন করেন। তাদের বিধি ও পরস্পরের প্রতি অঙ্গীকার সবই সরল। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ তারা কখনো রাজদ্বারে অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হয় না। তারা অন্যের কাছে যে সব মূল্যবান সম্পদ গচ্ছিত কিংবা আমানত রাখে তৎসম্পর্কেও কারও কাছে কোনো অভিযোগ করতে হয় না। সেসবের জন্য কোনো সাক্ষীরও প্রয়োজন হয় না। তারা পরস্পরকে বিশ্বাস করেই সম্পদ গচ্ছিত রাখে। তারা সচরাচর তাদের গৃহ অরক্ষিত রেখেই প্রাত্যহিক কাজকর্মে বেরিয়ে পড়ে। শুধু মেগাস্থেনিসই নয়, চীনা পরিব্রাজক ফা হিয়েন (৩৯৯-৪১৪) হিউয়েন সাঙ (৬২৯-৬৪৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত) প্রভৃতি পর্যটকগণও এ উপমহাদেশের মানুষের সততা, আতিথিয়তা ও ন্যায়পরায়ণতার সুখ্যাতি করেছেন।

ভারতের লোকজন রাতে গৃহের দ্বার খোলা রেখে ঘুমায় এটা দেখে হিউয়েন সাঙ যে অবাক হবেন সেটাই স্বাভাবিক। কারণ পৃথিবীতে যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও ২ হাজার বছর আগে সর্বপ্রথম তালার আবিষ্কার হয় মিসর ও চীন দেশে। এ থেকেই বোঝা যায় চীনে ও মিসরে ফারাওদের রাজত্বকালে চোরের উপদ্রব ছিল! সে যাই হোক আমার প্রশ্ন হচ্ছে- মেগাস্থেনিস, ফা হিয়েন কিংবা হিউয়েন সাঙের মতে এ উপমহাদেশের মানুষ সে সময় চুরি করতে জানত না। আমরা সত্যি সত্যি ভারতীয় উপমহাদেশের একসময় ছিলাম সৎ, উদার ও ন্যায়পরায়ণ কিন্তু চার-পাঁচ শ বছরের ব্যবধানে কীরূপে আমরা সাংঘাতিক রকম চোর হয়ে উঠলাম সেটা সত্যি একটা আশ্চর্য বিষয়।

এককালে নাকি চুরি পেশাটির বেশ নামডাক ছিল। প্রাচীন শাস্ত্রে চৌষট্টি কলার একটি অন্যতম কলা ছিল চুরিবিদ্যা। সেকালে রাজকুমারদের নানা বিদ্যা শিক্ষার পর চুরিবিদ্যা শেখানো হচ্ছে এমন বর্ণনা ‘দশকুমার চরিত’ প্রভৃতি গ্রন্থে পাওয়া যায়। সংস্কৃতে লেখা পুথিরও হদিস মেলে- ‘চৌর চর্যা’ বা ‘চৌর্যস্বরূপ’ নামে। এও শোনা যায়, প্রথম পুথির লেখক মূলদেব নিজেই নাকি ছিলেন একজন ডাকসাইটে চোর। তাহলে কি এটাই ধরে নিতে হবে যে প্রাচীনকালের পর্যটকগণ সৎ হিসেবে যতই আমাদের সুখ্যাতি করুক চৌর্যবৃত্তিটাই আসলে আমাদের অনিবার্য পরিণতি! আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতেই কি তাহলে ছিল চৌর্যবৃত্তির বীজ। তা না হলে চারদিকে কেন আজ শুধুই চৌর্যবৃত্তি আর চোরদের মহাউৎসব। কবিবর কাশীরাম দাস তো কোন কালে বলেছেন- ‘চোরা নাহি শোনে কভু ধর্ম্মের কাহিনী’ চোর ধর্মকথা বোঝে না, বুঝতে চায়ও না। তারা স্বধর্ম-চৌর্যবৃত্তি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আমাদের স্পষ্টই জানিয়েছেন চুরি হলো একটি বদ অভ্যাস। লোভ থেকে যার জন্ম। অন্যদিকে অক্ষয় কুমার দত্ত লিখেছেন- “চৌর্যবৃত্তির মতো নিকৃষ্ট প্রবৃত্তির অন্যতম কারণ হলো অর্জনস্পৃহা অর্থাৎ লাভের ইচ্ছা- অর্জনস্পৃহা বৃত্তি অতি প্রবল হইলে লোভ অত্যন্ত বৃদ্ধি হইয়া প্রতারণা ও চৌর্যবৃত্তিতে মানুষ প্রবৃত্ত হয়।”

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও অক্ষয় কুমার দত্ত চৌর্যবৃত্তিকে বদঅভ্যাস, কুঅভ্যাস, অর্জনস্পৃহা প্রভৃতি অভিধায় অভিহিত করেছেন ভালো কথা কিন্তু এ বদঅভ্যাস কিংবা এ কাজে ওই নির্দিষ্ট মানুষটি কেন প্রবৃত্ত হয় যে বিষয়ে কোনো আলোকপাত করেননি কিংবা সেগুলোর কোনো মনোস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাও তারা কেউ প্রদান করেননি। আমার মনে হয় এর শেকড় আরও গভীরে প্রোথিত। পাঠকবৃন্দ একটু লক্ষ্য করুন, প্রাচীনকালে সে হোক রাজা মৌর্য চন্দ্রগুপ্ত কিংবা সম্রাট অশোকের শাসন আমল। তখনকার সময়ে রাজ-রাজড়াগণ তাদের রাজ্য সীমানা বৃদ্ধি করতে যুদ্ধ বিগ্রহে হয়তো লিপ্ত হতেন ঠিক-ই কিন্তু সে সময় প্রজাদের ওপর নিপীড়ন হতো কম। তার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় চিনা পরিব্রাজন হিউয়েন সাঙের ভ্রমণবৃত্তান্তে। হিউয়েন সাঙ রাজা হর্ষবর্ধনের রাজসভায়ও ছিলেন কিছুদিন। হর্ষবর্ধন ছিলেন পাটালিপুত্রের পাশের শহর কৌনজের সম্রাট। রাজা হর্ষবর্ধনের সুবিচার এবং দানশীলতা সম্বন্ধে বিস্তর প্রশস্তি লিখে গেছেন তার লেখা ভ্রমণকাহিনীতে। কালক্রমে রাজা-বাদশাগণ তাদের রাজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রচন্ড লোভী হয়ে উঠতে থাকেন। তাদের অর্থ-সম্পদ ও ঐশ্বর্য বৃদ্ধি করার জন্য প্রজাগণের ওপর আরোপিত হয় অতিরিক্ত করের বোঝা। দেশ থেকে উধাও হতে থাকে সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবতাবাধিকার প্রভৃতি বিষয়গুলো। এখানে একটি দৃষ্টান্ত দিচ্ছি। ফরাসি পর্যটক বার্নিয়েরের কথা আমি আগেই উল্লেখ করেছি। ফ্রাসোঁয়া বার্নিয়ের পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক। তিনি ভারতে এসেছিলেন ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি সম্রাটের দূত হয়ে।

১৬৬৬ সালে স্বদেশে ফিরে গিয়ে বার্নিয়ের ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অবস্থা ও সম্পদ, আচার-ব্যবহার, সেনাবাহিনী, সমাজব্যবস্থা ইত্যাদি সম্বন্ধে মঁশিয়ে কলবার্টের কাছে একখানি দীর্ঘ পত্র লেখেন। বার্নিয়েরের সময় ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন চতুর্দশ লুই এবং মঁশিয়ে কলবার্ট ছিলেন ফ্রান্সের অর্থ সচিব। বার্নিয়েরের ভ্রমণবৃত্তান্তের অন্যান্য অংশের মধ্যে এই পত্রখানির ঐতিহাসিক মূল্য ও গুরুত্ব তার ভ্রমণবৃত্তান্তের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।  

বার্নিয়েরের ভ্রমণ বৃত্তান্তের চমৎকার একটি অনুবাদ করেছেন লেখক ও সাহিত্যিক বিনয় ঘোষ ‘বাদশাহী আমল’ নামে। বার্নিয়ের কলবার্টের কাছে লিখেছেন- ভারতবর্ষে সম্রাট-ই দেশের সমস্ত সম্পদের মালিক, বিশেষ করে ভূসম্পত্তির। সামরিক কর্মচারীদের বেতন হিসেবে তিনি ভূসম্পত্তির ভোগাধিকার দান করেন তাকে ‘জায়গীর’ বলে। এই জায়গির থেকে তাঁরা তাঁদের ন্যায্য বেতন আয় করেন। প্রাদেশিক সুবাদারদেরও জায়গীর দেওয়া হয়, শুধু বেতনের জন্য নয়, সৈন্যসামন্তদের জন্যও। একমাত্র শর্ত হলো এই যে, বাৎসরিক বাড়তি রাজস্ব যা আয় হবে সেটা সম্রাটকে দিতে হবে। যে সব ভূসম্পত্তি জায়গির দেওয়া হয় না, সেগুলো সম্রাটের নিজস্ব আয়ত্তে থাকে এবং তিনি রাজস্ব-আদায়কারী (জমিদার ও চৌধুরী) নিয়োগ করে তার রাজস্ব আদায় করেন।

এভাবে ভূসম্পত্তির অধিকারী যাঁরা হন- সুবাদার, জায়গিরদার ও জমিদার- তাঁরা প্রজাদের একমাত্র হর্তাকর্তাবিধাতা হয়ে যান, চাষিদের ওপর তাঁদের পরিপূর্ণ কর্তৃত্ব বজায় থাকে, এমনকি নগর ও গ্রামের বণিকশ্রেণি ও কারিগরদের ওপরেও। এই কর্তৃত্ব ও আধিপত্য তাঁরা যে কি নির্মমভাবে প্রয়োগ করেন নিষ্ঠুর অত্যাচারীর মতোন, তা কল্পনা করা যায় না। এই অত্যাচার ও উৎপীড়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ করারও কোনো উপায় নেই। কারণ যিনি রক্ষক, তিনিই ভক্ষক। এমন কোনো নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষ কেউ নেই, যাঁর কাছে তার অভিযোগ পেশ করা যায়। আমাদের দেশের (ফ্রান্স) মতন ভারতে পার্লামেন্ট নেই, আইনসভা নেই, আদালতে বিচারক নেই- অর্থাৎ এমন কিছু নেই যার সাহায্যে এই নিষ্ঠুর অত্যাচারীদের বর্বরতার প্রতিকার করা যেতে পারে। কিছু নেই, কেউ নেই। আছেন শুধু কাজি সাহেব, কিন্তু কাজির বিচারও তেমনি, কারণ কাজির কাছে জনসাধারণের সুবিচারের কোনো আশা নেই।

 

পাঠক-পাঠিকাবৃন্দ একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন, আমাদের দেশ ও মানুষ সম্পর্কে তিন শত পঞ্চাশ বছর আগে বার্নিয়ের যা লিখে গেছেন বর্তমানে কি তার এতটুকু বদলেছে। যে কোনো রাষ্ট্রে সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার বিষয়গুলোর অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রে তৈরি হয় এক ধরনের অনিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য। এসব প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি নেয় এক ভায়বহ রূপ। যেমনটি ঘটছে বর্তমানে।

একজন মানুষ যখন অনিরাপত্তায় ভুগেন তখন তিনি মনে করেন টাকা দিয়েই নিশ্চিতভাবে সমস্ত সমস্যার সমাধান করবেন তিনি। চৌর্যবৃত্তির অন্যতম একটি কারণ যদি হয় সামাজিক অনিরাপত্তা তাহলে চৌর্যবৃত্তির অন্য আরেকটি বড় কারণ হলো অর্থ সঞ্চয়ের প্রতি আমাদের মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি। আমার মতে এই আসক্তি হেরোইন, গাঁজা কিংবা আফিমের চেয়ে কম প্রভাবশালী নয় বরং বেশি। ঘুষ, ব্যাংক লুট, ঠিকাদারি কাজে দুর্নীতি প্রভৃতি চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের একশ্রেণির মানুষ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের পরও তাদের খিদে মেটে না সহজে। তারা ক্রমাগত দেশের সম্পদ লুণ্ঠনে অব্যাহত থাকেন। পত্রপত্রিকায় পড়েছি মালয়েশিয়া, আমেরিকা, কানাডা প্রভৃতি দেশে বাংলাদেশের একশ্রেণির মানুষ নাকি তৈরি করেছেন সম্পদের পাহাড়। কানাডার এক অঞ্চলের নাম হয়েছে ‘বেগমপাড়া’। সেখানে বসবাস করেন বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনীতিবিদের বেগমরা। তাদের সেসব বিলাসবহুল বাড়ির সামনে দিয়ে যখন কানাডার স্থানীয় বাসিন্দারা হেঁটে যান তখন নাকি তারাও লজ্জা পান রাজনীতিবিদদের ওই সব প্রাসাদোপম বাড়ি দেখে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ভালোভাবে জীবনধারণ করতে একজন মানুষের আসলে কতটুকু সম্পদ প্রয়োজন। সেটা কি খুব বেশি।

রাশিয়ার স্বৈরশাসক স্তালিন, চিলির পিনোসে, ফিলিপাইনের মার্কোজ কিংবা প্রাচীন যুগের জুলিয়াস সিজার, চেঙ্গিস খান হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক ছিলেন।  জীবনে তারা কতটুকু ভোগ করেছিলেন আর কতটুকু তারা কবরে নিয়ে যেতে পেরেছেন সে ইতিহাস হয়তো অনেকেরই জানা আছে। তারপরও সম্পদের প্রতি মানুষের লোভ চিরন্তন।

আমাদের দেশে চৌর্যবৃত্তি প্রসারের আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দুর্বলতা। সমাজে চোররা আজ সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ও প্রতিষ্ঠিত। এ দেশে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী, আমলা, কামলাদের একাংশের দিকে তাকালেই সেটা স্পষ্ট বোঝা যায়। ডান, বাম, আস্তিক, নাস্তিক, কমিউনিস্ট, ইসলামিস্ট মিলেমিশে সব আজ চৌর্যবৃত্তিতে নিমজ্জিত।  নামাজ পড়ে পড়ে কপালে কালো তিলক ফেলে দিয়েছেন তারাও চৌর্যবৃত্তিতে পিছিয়ে নেই এতটুকু। এরাই আমাদের সমাজের বিভিন্ন সভা, সমিতিতে সভাপতি, প্রধান অতিথি ও অগ্রগণ্য ব্যক্তি। চোর হিসেবে যে তাদের অযোগ্য অপাঙ্ক্তেয় করবে সে সৎ সাহস আমাদের সমাজের কারও নেই।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বৈদেশিক মিশন
বৈদেশিক মিশন
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
অধ্যাত্ম প্রেম
অধ্যাত্ম প্রেম
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
জনশক্তির নতুন বাজার
জনশক্তির নতুন বাজার
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা
এরশাদ : মানুষের হৃদয়ে কনক প্রদীপ
এরশাদ : মানুষের হৃদয়ে কনক প্রদীপ
সাহসকে সালাম : মানবাধিকার প্রহরীদের ধন্যবাদ
সাহসকে সালাম : মানবাধিকার প্রহরীদের ধন্যবাদ
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
সর্বশেষ খবর
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

৪১ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী
কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ
বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার
রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড
পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে
আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত
বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল
রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক
যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ
জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫
প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'
'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কর্মজীবন শেষে নৈশপ্রহরীর রাজকীয় বিদায়
কর্মজীবন শেষে নৈশপ্রহরীর রাজকীয় বিদায়

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে
থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'
'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি
রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট
আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন
লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা
মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট
বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির
বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা
পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য
মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল
অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত
১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’
নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’

৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?
ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো
বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর
ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের
টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন

প্রথম পৃষ্ঠা

উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে
১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে

নগর জীবন

আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র
আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র

শিল্প বাণিজ্য

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ
বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ

পেছনের পৃষ্ঠা

টার্গেট তারেক রহমান
টার্গেট তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ
১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক
ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক

পেছনের পৃষ্ঠা

জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’
জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল
সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল

শিল্প বাণিজ্য

টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা
টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

নগর জীবন

ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা
ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য

সম্পাদকীয়

তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল
আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল

প্রথম পৃষ্ঠা

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য
ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

পেছনের পৃষ্ঠা

শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন
শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের
ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন
নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন

শোবিজ

মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি
মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা
নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা

শোবিজ

শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ
শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ

শোবিজ

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বামীভক্ত মেহজাবীন
স্বামীভক্ত মেহজাবীন

শোবিজ

চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল
চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল

প্রথম পৃষ্ঠা