শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

চৌর্যবৃত্তির ইতিহাস

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
চৌর্যবৃত্তির ইতিহাস

ফরাসি পর্যটক তাভেরনিয়ের ভারতবর্ষে আসেন ১৬৪০ সালে। তখন মুঘল সম্রাট শাহজাহানের শাসন আমল। ১৬৪০ সালে ভারতে এলেও তাভেরনিয়ের বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৬৬৫ সালের ১৪ জানুয়ারি। ততদিনে সম্রাট শাহজাহান পরোলোকে। ভাইদের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ শেষে সিংহাসনে বসেছেন আওরঙ্গজেব। আগ্রা থেকে ১৬৫৫ সালের ২৫ নভেম্বর নৌপথে যাত্রা শুরু করে প্রায় ১ মাস ২০ দিন পর তিনি পৌঁছেছিলেন ঢাকায়।  তার লেখা ভ্রমণ কাহিনি ইতিহাসের এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। তিনি লিখেছেন- ১৪ জানুয়ারি আমি ঢাকা শহরে পৌঁছেই গিয়েছিলাম নবাব সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। তাকে উপঢৌকন হিসেবে দিয়েছিলাম সোনার জরিতে তৈরি একটি পোশাক।  তার ঝালর ও কিনারামন্ডিত ছিল স্পেনদেশীয় সোনালি জরির সুতোতে। তাকে আরও দিলাম সোনালি রুপালি নকশাযুক্ত একখানি চাদর বা অঙ্গাবরণ, আর সুন্দর একটি মরকত মণি। নবাবের ১০ বছর বয়সের পুত্রকে উপহার দিলাম সোনার জলে মিনে করা বাক্সে একটি ঘড়ি, রৌপ্যখচিত একজোড়া ছোট পিস্তল, অতি সুন্দর একখানি ম্যাগনিফাইং গ্লাস। পিতা-পুত্রকে মিলিয়ে যা আমি দিয়েছিলুম তার মূল্য ৫ হাজার লিভারেরও বেশি ছিল।

সন্ধ্যার দিকে আমি ওলন্দাজদের কুঠিতে ফিরে আসার পর নবাব আমার জন্য পাঠিয়েছিলেন স্ফটিক পাথর, চিনা কমলালেবু, দুটি পারসিক ফুটি এবং তিন রকমের নাসপাতি। ১৫ তারিখে আমি নবাবকে আমার জিনিসপত্র দেখিয়ে দিলাম। জিনিসপত্রের দাম সম্বন্ধে আমি চুক্তিবদ্ধ হলাম ১৬ তারিখে। অবশেষে তার গোমস্তার কাছে গেলুম আমার বিনিময় মুদ্রার জন্য চিঠি। আনার উদ্দেশ্যে, যাতে করে আমার প্রাপ্য টাকাগুলো আমি কাশিমবাজার থেকে উঠিয়ে নিতে পারি।

তখনকার দিনে একটি প্রথা প্রচলিত ছিল। যে কোনো পর্যটক নবাব ও তার পরিবারের জন্য দামি কোনো উপঢৌকন নিয়ে এলে সেগুলোর দাম নির্ধারণ করে তা চুকিয়ে দেওয়া হতো পর্যটকের হাতে। তাভেরনিয়ের ঢাকায় বসে তার পাওনা টাকা গ্রহণ না করে কেন তিনি সেই টাকা কাশিমবাজার থেকে উত্তোলন করতে চাইলেন। এর পেছনের কারণটি হলো- তাভেরনিয়ের ঢাকা আসার পর দেখলেন ওলন্দাজরা বেশ জমিয়ে ব্যবসা করছে ঢাকায়। কিন্তু সমস্যা হলো তাদের জিনিসপত্রগুলো চুরি হয়ে যায় হরহামেশাই। যখন তারা দেখলেন যে ঢাকার সাধারণ বাড়িতে জিনিসপত্র রাখা নিরাপদ নয় তখন তারা চোরদের হাত থেকে জিনিসপত্রগুলো রক্ষা করার জন্য নিজেদের জন্য ভারী চমৎকার একটি বাড়ি তৈরি করে নিয়েছিলেন সেখানে। তাভেরনিয়ের আরও লিখেছেন- ওলন্দাজদের ব্যবসা বুদ্ধি আমার চেয়ে ঢের বেশি। তারা আমাকে বললেন সঙ্গে টাকাকড়ি নিয়ে কাশিমবাজার যাওয়া নিরাপদ নয়। আবার গঙ্গানদীর পথ ছাড়া যাওয়ার দ্বিতীয় কোনো উপায়ও নেই। স্থলপথ যা আছে তাও পাঁকে, জলায় পরিপূর্ণ। তা ছাড়া জলপথে আরও বিপদ আছে। যে জাতীয় নৌকার ব্যবহার হয় তা সামান্য ঝড়-বাতাসে উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা। কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো মাঝি-মাল্লাদের যদি জানা থাকে যাত্রীর সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ টাকাকড়ি আছে তাহলে খুব অনায়াসেই তারা নৌকা উল্টে দিতে পারে। মাঝিমাল্লাগুলো এমনই দক্ষ চোর যে তারা ঠিকই বুঝতে পারত নদীর কোন জায়গায় মুদ্রার থলেগুলো নিমজ্জিত হয়েছে এবং সময়মতো এসে তারা অবাধে সেগুলো তুলে নিতে সক্ষম ছিল।

শুধু তাভেরনিয়েরই নয়, তার সমসাময়িক প্রায় অধিকাংশ পর্যটক যেমন আল বিরুনী (ভারতবর্ষে ছিলেন ১০১৭ থেকে ১০৩০ পর্যন্ত) ইবনে বতুতা ভারতবর্ষে এসেছিলেন ১৩৩৩ সালে বার্নিয়ের (১৬৫৯-১৬৬৬), মানুচি (১৭০৪-১৭১৭), কমবেশি আমাদের চারিত্রিক স্খলনের নানা চিত্র তুলে ধরেছেন।

এবার আমরা একটু পেছনের দিকে ফিরে যাই। ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম যে পরিব্রাজক এসেছিলেন তার নাম মেগাস্থেনিস। তিনি এসেছিলেন গ্রিস থেকে। সম্ভবত ৩০২-২৯৮ খ্রিস্টপূর্বের কোনো এক সময়। অর্থাৎ এখন থেকে প্রায় ২ হাজার ৩০০ বছর আগে। গ্রিক সম্রাট সেলুকাসের দূত হিসেবে ভারতে এসেছিলেন মেগাস্থেনিস। তখন মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকাল। চন্দ্রগুপ্তের রাজধানী পাটলিপুত্র (বর্তমান বিহারের রাজধানী পাটনা)। মেগাস্থেনিস কিন্তু আল বিরুনী, তাভেরনিয়ের, মানুচি কিংবা অপরাপর অন্যান্য পর্যটকদের মতো ভারতবাসীকে চোর, শঠ, প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত করেননি। মেগাস্থেনিস লিখেছেন- পাটলিপুত্র নগরের সাধারণ মানুষের জীবন সুসংহত ও সুশৃঙ্খল। এখানে চুরি-চামারি অতি বিরল। পাটলিপুত্র নগরে চার লাখ লোকের বাস। কিন্তু কোনোদিনও ৩০ মুদ্রার অধিক মূল্যের বস্তু অপহৃত হয়েছে বলে শোনা যায় নাই। ভারতবর্ষে লিখিত আইনকানুনের ব্যবহার নাই। কিন্তু তারপরও কেউ আইন ভঙ্গ করেন না। তারা সরলচিত্ত ও মিতাচারী বলে সুখেই দিন যাপন করেন। তাদের বিধি ও পরস্পরের প্রতি অঙ্গীকার সবই সরল। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ তারা কখনো রাজদ্বারে অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হয় না। তারা অন্যের কাছে যে সব মূল্যবান সম্পদ গচ্ছিত কিংবা আমানত রাখে তৎসম্পর্কেও কারও কাছে কোনো অভিযোগ করতে হয় না। সেসবের জন্য কোনো সাক্ষীরও প্রয়োজন হয় না। তারা পরস্পরকে বিশ্বাস করেই সম্পদ গচ্ছিত রাখে। তারা সচরাচর তাদের গৃহ অরক্ষিত রেখেই প্রাত্যহিক কাজকর্মে বেরিয়ে পড়ে। শুধু মেগাস্থেনিসই নয়, চীনা পরিব্রাজক ফা হিয়েন (৩৯৯-৪১৪) হিউয়েন সাঙ (৬২৯-৬৪৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত) প্রভৃতি পর্যটকগণও এ উপমহাদেশের মানুষের সততা, আতিথিয়তা ও ন্যায়পরায়ণতার সুখ্যাতি করেছেন।

ভারতের লোকজন রাতে গৃহের দ্বার খোলা রেখে ঘুমায় এটা দেখে হিউয়েন সাঙ যে অবাক হবেন সেটাই স্বাভাবিক। কারণ পৃথিবীতে যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও ২ হাজার বছর আগে সর্বপ্রথম তালার আবিষ্কার হয় মিসর ও চীন দেশে। এ থেকেই বোঝা যায় চীনে ও মিসরে ফারাওদের রাজত্বকালে চোরের উপদ্রব ছিল! সে যাই হোক আমার প্রশ্ন হচ্ছে- মেগাস্থেনিস, ফা হিয়েন কিংবা হিউয়েন সাঙের মতে এ উপমহাদেশের মানুষ সে সময় চুরি করতে জানত না। আমরা সত্যি সত্যি ভারতীয় উপমহাদেশের একসময় ছিলাম সৎ, উদার ও ন্যায়পরায়ণ কিন্তু চার-পাঁচ শ বছরের ব্যবধানে কীরূপে আমরা সাংঘাতিক রকম চোর হয়ে উঠলাম সেটা সত্যি একটা আশ্চর্য বিষয়।

এককালে নাকি চুরি পেশাটির বেশ নামডাক ছিল। প্রাচীন শাস্ত্রে চৌষট্টি কলার একটি অন্যতম কলা ছিল চুরিবিদ্যা। সেকালে রাজকুমারদের নানা বিদ্যা শিক্ষার পর চুরিবিদ্যা শেখানো হচ্ছে এমন বর্ণনা ‘দশকুমার চরিত’ প্রভৃতি গ্রন্থে পাওয়া যায়। সংস্কৃতে লেখা পুথিরও হদিস মেলে- ‘চৌর চর্যা’ বা ‘চৌর্যস্বরূপ’ নামে। এও শোনা যায়, প্রথম পুথির লেখক মূলদেব নিজেই নাকি ছিলেন একজন ডাকসাইটে চোর। তাহলে কি এটাই ধরে নিতে হবে যে প্রাচীনকালের পর্যটকগণ সৎ হিসেবে যতই আমাদের সুখ্যাতি করুক চৌর্যবৃত্তিটাই আসলে আমাদের অনিবার্য পরিণতি! আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতেই কি তাহলে ছিল চৌর্যবৃত্তির বীজ। তা না হলে চারদিকে কেন আজ শুধুই চৌর্যবৃত্তি আর চোরদের মহাউৎসব। কবিবর কাশীরাম দাস তো কোন কালে বলেছেন- ‘চোরা নাহি শোনে কভু ধর্ম্মের কাহিনী’ চোর ধর্মকথা বোঝে না, বুঝতে চায়ও না। তারা স্বধর্ম-চৌর্যবৃত্তি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আমাদের স্পষ্টই জানিয়েছেন চুরি হলো একটি বদ অভ্যাস। লোভ থেকে যার জন্ম। অন্যদিকে অক্ষয় কুমার দত্ত লিখেছেন- “চৌর্যবৃত্তির মতো নিকৃষ্ট প্রবৃত্তির অন্যতম কারণ হলো অর্জনস্পৃহা অর্থাৎ লাভের ইচ্ছা- অর্জনস্পৃহা বৃত্তি অতি প্রবল হইলে লোভ অত্যন্ত বৃদ্ধি হইয়া প্রতারণা ও চৌর্যবৃত্তিতে মানুষ প্রবৃত্ত হয়।”

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও অক্ষয় কুমার দত্ত চৌর্যবৃত্তিকে বদঅভ্যাস, কুঅভ্যাস, অর্জনস্পৃহা প্রভৃতি অভিধায় অভিহিত করেছেন ভালো কথা কিন্তু এ বদঅভ্যাস কিংবা এ কাজে ওই নির্দিষ্ট মানুষটি কেন প্রবৃত্ত হয় যে বিষয়ে কোনো আলোকপাত করেননি কিংবা সেগুলোর কোনো মনোস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাও তারা কেউ প্রদান করেননি। আমার মনে হয় এর শেকড় আরও গভীরে প্রোথিত। পাঠকবৃন্দ একটু লক্ষ্য করুন, প্রাচীনকালে সে হোক রাজা মৌর্য চন্দ্রগুপ্ত কিংবা সম্রাট অশোকের শাসন আমল। তখনকার সময়ে রাজ-রাজড়াগণ তাদের রাজ্য সীমানা বৃদ্ধি করতে যুদ্ধ বিগ্রহে হয়তো লিপ্ত হতেন ঠিক-ই কিন্তু সে সময় প্রজাদের ওপর নিপীড়ন হতো কম। তার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় চিনা পরিব্রাজন হিউয়েন সাঙের ভ্রমণবৃত্তান্তে। হিউয়েন সাঙ রাজা হর্ষবর্ধনের রাজসভায়ও ছিলেন কিছুদিন। হর্ষবর্ধন ছিলেন পাটালিপুত্রের পাশের শহর কৌনজের সম্রাট। রাজা হর্ষবর্ধনের সুবিচার এবং দানশীলতা সম্বন্ধে বিস্তর প্রশস্তি লিখে গেছেন তার লেখা ভ্রমণকাহিনীতে। কালক্রমে রাজা-বাদশাগণ তাদের রাজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রচন্ড লোভী হয়ে উঠতে থাকেন। তাদের অর্থ-সম্পদ ও ঐশ্বর্য বৃদ্ধি করার জন্য প্রজাগণের ওপর আরোপিত হয় অতিরিক্ত করের বোঝা। দেশ থেকে উধাও হতে থাকে সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবতাবাধিকার প্রভৃতি বিষয়গুলো। এখানে একটি দৃষ্টান্ত দিচ্ছি। ফরাসি পর্যটক বার্নিয়েরের কথা আমি আগেই উল্লেখ করেছি। ফ্রাসোঁয়া বার্নিয়ের পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক। তিনি ভারতে এসেছিলেন ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি সম্রাটের দূত হয়ে।

১৬৬৬ সালে স্বদেশে ফিরে গিয়ে বার্নিয়ের ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অবস্থা ও সম্পদ, আচার-ব্যবহার, সেনাবাহিনী, সমাজব্যবস্থা ইত্যাদি সম্বন্ধে মঁশিয়ে কলবার্টের কাছে একখানি দীর্ঘ পত্র লেখেন। বার্নিয়েরের সময় ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন চতুর্দশ লুই এবং মঁশিয়ে কলবার্ট ছিলেন ফ্রান্সের অর্থ সচিব। বার্নিয়েরের ভ্রমণবৃত্তান্তের অন্যান্য অংশের মধ্যে এই পত্রখানির ঐতিহাসিক মূল্য ও গুরুত্ব তার ভ্রমণবৃত্তান্তের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।  

বার্নিয়েরের ভ্রমণ বৃত্তান্তের চমৎকার একটি অনুবাদ করেছেন লেখক ও সাহিত্যিক বিনয় ঘোষ ‘বাদশাহী আমল’ নামে। বার্নিয়ের কলবার্টের কাছে লিখেছেন- ভারতবর্ষে সম্রাট-ই দেশের সমস্ত সম্পদের মালিক, বিশেষ করে ভূসম্পত্তির। সামরিক কর্মচারীদের বেতন হিসেবে তিনি ভূসম্পত্তির ভোগাধিকার দান করেন তাকে ‘জায়গীর’ বলে। এই জায়গির থেকে তাঁরা তাঁদের ন্যায্য বেতন আয় করেন। প্রাদেশিক সুবাদারদেরও জায়গীর দেওয়া হয়, শুধু বেতনের জন্য নয়, সৈন্যসামন্তদের জন্যও। একমাত্র শর্ত হলো এই যে, বাৎসরিক বাড়তি রাজস্ব যা আয় হবে সেটা সম্রাটকে দিতে হবে। যে সব ভূসম্পত্তি জায়গির দেওয়া হয় না, সেগুলো সম্রাটের নিজস্ব আয়ত্তে থাকে এবং তিনি রাজস্ব-আদায়কারী (জমিদার ও চৌধুরী) নিয়োগ করে তার রাজস্ব আদায় করেন।

এভাবে ভূসম্পত্তির অধিকারী যাঁরা হন- সুবাদার, জায়গিরদার ও জমিদার- তাঁরা প্রজাদের একমাত্র হর্তাকর্তাবিধাতা হয়ে যান, চাষিদের ওপর তাঁদের পরিপূর্ণ কর্তৃত্ব বজায় থাকে, এমনকি নগর ও গ্রামের বণিকশ্রেণি ও কারিগরদের ওপরেও। এই কর্তৃত্ব ও আধিপত্য তাঁরা যে কি নির্মমভাবে প্রয়োগ করেন নিষ্ঠুর অত্যাচারীর মতোন, তা কল্পনা করা যায় না। এই অত্যাচার ও উৎপীড়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ করারও কোনো উপায় নেই। কারণ যিনি রক্ষক, তিনিই ভক্ষক। এমন কোনো নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষ কেউ নেই, যাঁর কাছে তার অভিযোগ পেশ করা যায়। আমাদের দেশের (ফ্রান্স) মতন ভারতে পার্লামেন্ট নেই, আইনসভা নেই, আদালতে বিচারক নেই- অর্থাৎ এমন কিছু নেই যার সাহায্যে এই নিষ্ঠুর অত্যাচারীদের বর্বরতার প্রতিকার করা যেতে পারে। কিছু নেই, কেউ নেই। আছেন শুধু কাজি সাহেব, কিন্তু কাজির বিচারও তেমনি, কারণ কাজির কাছে জনসাধারণের সুবিচারের কোনো আশা নেই।

 

পাঠক-পাঠিকাবৃন্দ একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন, আমাদের দেশ ও মানুষ সম্পর্কে তিন শত পঞ্চাশ বছর আগে বার্নিয়ের যা লিখে গেছেন বর্তমানে কি তার এতটুকু বদলেছে। যে কোনো রাষ্ট্রে সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার বিষয়গুলোর অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রে তৈরি হয় এক ধরনের অনিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য। এসব প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি নেয় এক ভায়বহ রূপ। যেমনটি ঘটছে বর্তমানে।

একজন মানুষ যখন অনিরাপত্তায় ভুগেন তখন তিনি মনে করেন টাকা দিয়েই নিশ্চিতভাবে সমস্ত সমস্যার সমাধান করবেন তিনি। চৌর্যবৃত্তির অন্যতম একটি কারণ যদি হয় সামাজিক অনিরাপত্তা তাহলে চৌর্যবৃত্তির অন্য আরেকটি বড় কারণ হলো অর্থ সঞ্চয়ের প্রতি আমাদের মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি। আমার মতে এই আসক্তি হেরোইন, গাঁজা কিংবা আফিমের চেয়ে কম প্রভাবশালী নয় বরং বেশি। ঘুষ, ব্যাংক লুট, ঠিকাদারি কাজে দুর্নীতি প্রভৃতি চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের একশ্রেণির মানুষ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের পরও তাদের খিদে মেটে না সহজে। তারা ক্রমাগত দেশের সম্পদ লুণ্ঠনে অব্যাহত থাকেন। পত্রপত্রিকায় পড়েছি মালয়েশিয়া, আমেরিকা, কানাডা প্রভৃতি দেশে বাংলাদেশের একশ্রেণির মানুষ নাকি তৈরি করেছেন সম্পদের পাহাড়। কানাডার এক অঞ্চলের নাম হয়েছে ‘বেগমপাড়া’। সেখানে বসবাস করেন বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনীতিবিদের বেগমরা। তাদের সেসব বিলাসবহুল বাড়ির সামনে দিয়ে যখন কানাডার স্থানীয় বাসিন্দারা হেঁটে যান তখন নাকি তারাও লজ্জা পান রাজনীতিবিদদের ওই সব প্রাসাদোপম বাড়ি দেখে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ভালোভাবে জীবনধারণ করতে একজন মানুষের আসলে কতটুকু সম্পদ প্রয়োজন। সেটা কি খুব বেশি।

রাশিয়ার স্বৈরশাসক স্তালিন, চিলির পিনোসে, ফিলিপাইনের মার্কোজ কিংবা প্রাচীন যুগের জুলিয়াস সিজার, চেঙ্গিস খান হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক ছিলেন।  জীবনে তারা কতটুকু ভোগ করেছিলেন আর কতটুকু তারা কবরে নিয়ে যেতে পেরেছেন সে ইতিহাস হয়তো অনেকেরই জানা আছে। তারপরও সম্পদের প্রতি মানুষের লোভ চিরন্তন।

আমাদের দেশে চৌর্যবৃত্তি প্রসারের আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দুর্বলতা। সমাজে চোররা আজ সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ও প্রতিষ্ঠিত। এ দেশে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী, আমলা, কামলাদের একাংশের দিকে তাকালেই সেটা স্পষ্ট বোঝা যায়। ডান, বাম, আস্তিক, নাস্তিক, কমিউনিস্ট, ইসলামিস্ট মিলেমিশে সব আজ চৌর্যবৃত্তিতে নিমজ্জিত।  নামাজ পড়ে পড়ে কপালে কালো তিলক ফেলে দিয়েছেন তারাও চৌর্যবৃত্তিতে পিছিয়ে নেই এতটুকু। এরাই আমাদের সমাজের বিভিন্ন সভা, সমিতিতে সভাপতি, প্রধান অতিথি ও অগ্রগণ্য ব্যক্তি। চোর হিসেবে যে তাদের অযোগ্য অপাঙ্ক্তেয় করবে সে সৎ সাহস আমাদের সমাজের কারও নেই।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
অপনীতির অবসান
অপনীতির অবসান
গুপ্ত স্বৈরাচার
গুপ্ত স্বৈরাচার
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
গোলাপের সুবাস গেল কই
গোলাপের সুবাস গেল কই
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ব্যবসায় দুর্দিন
ব্যবসায় দুর্দিন
দেশবাসী কী চায়
দেশবাসী কী চায়
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
সর্বশেষ খবর
একদিনে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু
একদিনে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু

১ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

দুবাইয়ে পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি সাবালেঙ্কা
দুবাইয়ে পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি সাবালেঙ্কা

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিসিবিকে রুবেলের খোঁচা
বিসিবিকে রুবেলের খোঁচা

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পরিপাটি-ফরসা পুরুষ পছন্দ নয় মালাইকার
পরিপাটি-ফরসা পুরুষ পছন্দ নয় মালাইকার

২ মিনিট আগে | শোবিজ

গাজার ‘আলিঙ্গন’ এখন ‘দাফনের’ প্রতীক্ষায়!
গাজার ‘আলিঙ্গন’ এখন ‘দাফনের’ প্রতীক্ষায়!

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি ছাত্র জোবায়েদ হত্যা মামলায় বর্ষার জামিন নামঞ্জুর
জবি ছাত্র জোবায়েদ হত্যা মামলায় বর্ষার জামিন নামঞ্জুর

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

চোটে বিগ ব্যাশ থেকে ছিটকে গেলেন অশ্বিন
চোটে বিগ ব্যাশ থেকে ছিটকে গেলেন অশ্বিন

১৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুরে ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে খুলল নতুন দুয়ার
রংপুরে ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে খুলল নতুন দুয়ার

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আসিয়ানে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের
আসিয়ানে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে রাজ্জাক
বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে রাজ্জাক

২৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে নির্দেশনা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে নির্দেশনা

২৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ব্রাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগ
ব্রাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগ

২৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে নির্দেশনা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে নির্দেশনা

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বকাপে খেলতে নেইমারকে যে শর্ত দিলেন আনচেলত্তি
বিশ্বকাপে খেলতে নেইমারকে যে শর্ত দিলেন আনচেলত্তি

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে’
‘ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে’

৩৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বোয়ালখালী হাসপাতালে একসঙ্গে ৯ নার্স-মিডওয়াইফ বদলি
বোয়ালখালী হাসপাতালে একসঙ্গে ৯ নার্স-মিডওয়াইফ বদলি

৪৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা একাদশে নেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কেউ
প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা একাদশে নেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কেউ

৪৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সারা দেশে ‍পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ১৬৪১
সারা দেশে ‍পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ১৬৪১

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পরই বগুড়ায় আনন্দ-উৎসব
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পরই বগুড়ায় আনন্দ-উৎসব

৪৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

মিশরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইত্তেহাদ’ বার্ষিক অনুষ্ঠান ২০২৫
মিশরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইত্তেহাদ’ বার্ষিক অনুষ্ঠান ২০২৫

৫০ মিনিট আগে | পরবাস

হেলিও ৪৫: বাজেটের মধ্যে ফ্ল্যাগশিপের ছোঁয়া
হেলিও ৪৫: বাজেটের মধ্যে ফ্ল্যাগশিপের ছোঁয়া

৫০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ আশরাফুল
আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ আশরাফুল

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

দক্ষিণ এশিয়ার টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আঞ্চলিক ঐক্যের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
দক্ষিণ এশিয়ার টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আঞ্চলিক ঐক্যের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ হলে যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি হবে: চবি উপাচার্য
যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ হলে যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি হবে: চবি উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালীতে ট্রাকের চাপায় ছয় জন নিহত
নোয়াখালীতে ট্রাকের চাপায় ছয় জন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীকে ফেরাতে না পেরে প্রেমিককে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
স্ত্রীকে ফেরাতে না পেরে প্রেমিককে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার
৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল
নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা
এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম
জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা
হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপির সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী শ্রাবণ
বিএনপির সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী শ্রাবণ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফরিদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ
ফরিদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যে জেলার কোনও আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি
যে জেলার কোনও আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খুলনা বিভাগে বাবার আসনে তিন পুত্র বিএনপির প্রার্থী
খুলনা বিভাগে বাবার আসনে তিন পুত্র বিএনপির প্রার্থী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি
ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মনোনয়ন পেয়ে আনন্দ মিছিল করতে নিষেধ করলেন শামা ওবায়েদ
মনোনয়ন পেয়ে আনন্দ মিছিল করতে নিষেধ করলেন শামা ওবায়েদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ
মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার
মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় মিলছে বিষধর গোখরার দেখা, কিন্তু কেন?
ঢাকায় মিলছে বিষধর গোখরার দেখা, কিন্তু কেন?

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মীদের আবেগকেও সম্মান করতে হবে : রুমিন ফারহানা
কর্মীদের আবেগকেও সম্মান করতে হবে : রুমিন ফারহানা

৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

ইশরাক মনোনয়ন পাওয়ায় যা বললেন নুসরাত
ইশরাক মনোনয়ন পাওয়ায় যা বললেন নুসরাত

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এক বিমান বানিয়ে যতো লাভ করল ইরান
এক বিমান বানিয়ে যতো লাভ করল ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন তালিকায় নেই শিল্পীরা
বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন তালিকায় নেই শিল্পীরা

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কুড়িগ্রাম-৪: জামায়াত-বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আপন দুই ভাই
কুড়িগ্রাম-৪: জামায়াত-বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আপন দুই ভাই

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমির হামজার সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপির জাকির হোসেন
আমির হামজার সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপির জাকির হোসেন

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আমেরিকাকে যে কঠিন শর্ত দিলেন ইরানের খামেনি
আমেরিকাকে যে কঠিন শর্ত দিলেন ইরানের খামেনি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, অধ্যাদেশ জারি
জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, অধ্যাদেশ জারি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন গেলেন সালাহউদ্দিন
লন্ডন গেলেন সালাহউদ্দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

আলু এখন কৃষকের বোঝা
আলু এখন কৃষকের বোঝা

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোচনায় রাজি জামায়াতে ইসলামী
আলোচনায় রাজি জামায়াতে ইসলামী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির এমপি প্রার্থী হচ্ছেন যাঁরা
বিএনপির এমপি প্রার্থী হচ্ছেন যাঁরা

ভোটের মাঠে

এক হৃদয়ভাঙা গল্পের নায়িকা
এক হৃদয়ভাঙা গল্পের নায়িকা

মাঠে ময়দানে

ঘাটে ফিরছে ইলিশভর্তি ট্রলার
ঘাটে ফিরছে ইলিশভর্তি ট্রলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইতিহাস গড়ার পথে মামদানি
ইতিহাস গড়ার পথে মামদানি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব
প্রধান উপদেষ্টার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্সের জন্য ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা
ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্সের জন্য ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা

নগর জীবন

উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ
উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

পাঁচ বছরে বে-টার্মিনাল চালু
পাঁচ বছরে বে-টার্মিনাল চালু

নগর জীবন

ফের ভয়াবহ গ্যাসসংকট
ফের ভয়াবহ গ্যাসসংকট

পেছনের পৃষ্ঠা

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি
৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিন্ডিকেটে আটকা পড়ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
সিন্ডিকেটে আটকা পড়ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

মসজিদ থেকে রক্তাক্ত স্বামীকে বাসায় নিয়ে আসেন স্থানীয়রা
মসজিদ থেকে রক্তাক্ত স্বামীকে বাসায় নিয়ে আসেন স্থানীয়রা

পেছনের পৃষ্ঠা

দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু
দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা কেন্দ্র করে ভাঙচুর সড়ক অবরোধ
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা কেন্দ্র করে ভাঙচুর সড়ক অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কমুক্ত সংবিধান গড়ার চ্যালেঞ্জ
বিতর্কমুক্ত সংবিধান গড়ার চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে দলগুলোকে এক সপ্তাহ দিল সরকার
ঐকমত্যে দলগুলোকে এক সপ্তাহ দিল সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত হচ্ছে ১০৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা
এমপিওভুক্ত হচ্ছে ১০৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

মুগডালে রং, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মুগডালে রং, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

দেশগ্রাম

বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলায় শিক্ষক নিহত
বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলায় শিক্ষক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

বালাশী-বাহাদুরাবাদ সড়ক, রেলসেতুর দাবি
বালাশী-বাহাদুরাবাদ সড়ক, রেলসেতুর দাবি

দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর
পানিতে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর

দেশগ্রাম

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

দেশগ্রাম

নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়বে
নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়বে

প্রথম পৃষ্ঠা

কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করা ভুল ছিল : জর্জ ক্লুনি
কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করা ভুল ছিল : জর্জ ক্লুনি

পূর্ব-পশ্চিম