শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩

ক্রমাগত অঘটনে প্রশ্নবিদ্ধ জননিরাপত্তা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
ক্রমাগত অঘটনে প্রশ্নবিদ্ধ জননিরাপত্তা

১১ মার্চ ২০২৩ তারিখে সাত দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ১৭ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণে আকর্ষণীয় বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয় দেশের রাজধানী ঢাকায়। এ গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের খবর দেখার আশায় টেলিভিশন চালু করা মাত্র ভেসে উঠল চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত ছোট কুমিরা নামক স্থানে ইউনিটেক্স স্পিনিং মিলের তুলার গুদামে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে টানা ১০ ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলার দৃশ্য। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আটটি ইউনিট আপ্রাণ চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে না পারায় স্থানীয় সেনা সদস্যরা সেই আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে। এ স্পিনিং মিলের একটু দূরেই অবস্থিত সীমা অক্সিজেন প্লান্টে মাত্র এক সপ্তাহ আগে সংঘটিত ব্যাপক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডে সাতজনের মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে চার দিন আগে রাজধানী ঢাকার সিদ্দিকবাজার বিস্ফোরণে নতুন একজনসহ ২৩ জনের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হচ্ছিল সব টেলিভিশনে। এরই মাঝে তাৎক্ষণিক খবর (ব্রেকিং নিউজ) এলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে আগুন দিয়েছে ছাত্ররা। প্রায় ৫০টি দোকান পুড়ে ছাই। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বৃষ্টির মতো ইট নিক্ষেপ, দোকান ভাঙচুর, দোকানে অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, শতাধিক হতাহত, পুলিশের অসহায়ত্ব ইত্যাদি দৃশ্য বারবার সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছিল প্রায় ২৪টি টেলিভিশনের পর্দায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ধরনের রাখঢাক না রেখে চারদিকের এসব মৃত্যু এবং অগ্নিকান্ডের বীভৎস দৃশ্য তুলে ধরার যেন প্রতিযোগিতা চলছিল। বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকায় জড়ো হওয়া শতাধিক দেশের প্রতিনিধি ও বিদেশের গণমাধ্যমকর্মীরা হোটেলে বসে এসব দৃশ্য দেখে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।

পরদিন ১২ মে রবিবার সকালে বেশ কিছু ইংরেজি সংবাদপত্র এবং ইংরেজি অনলাইন নিউজ পোর্টালে চোখ রাখলাম বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেওয়া বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে। স্থানীয় শীর্ষ ইংরেজি দৈনিকে মূল সংবাদের শিরোনামের অর্থ বাংলাদেশ আপনাদের স্বাগত জানাতে সর্বদা প্রস্তুত। অথচ তার পাশেই রাজশাহীতে ৫০টি দোকানে আগুনের ছবি আর ২২০ জন হতাহতের খবর। অপর ইংরেজি দৈনিক লিখেছে- জামায়াত-শিবির দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টে চক্রান্ত করছে। একই দৈনিকের শিরোনাম ‘আরেকটি এক-এগারোর সম্ভাবনা কি বাড়ছে?’। সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডের খবরের পাশাপাশি একটি ইংরেজি দৈনিকের মূল সংবাদের মর্মকথা হলো- সরকার নির্দেশনা জারি তথা গেজেট প্রকাশ করলেও সেই নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে মানা হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সেবা খাতের মাসিক বিল মওকুফের বিষয়ে এ সংবাদ পরিবেশিত হয়, যা সরকার চাইলেও যে অনেক কিছু সরেজমিনে বাস্তবায়ন করতে পারে না তাই জানান দিল এ সংবাদ। দুই দলের কাদা ছোড়াছুড়ির খবরের পাশে গুলিস্তানে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হওয়ার খবর ছিল একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গনগনে আগুনে দোকান পোড়ার ছবি, ২০০ ছাত্র-জনতা হতাহত, মৌলভীবাজারে বিরোধী দলের ওপর সরকারি দলের হামলার ছবি ও ৩৫ জন হতাহতের খবর ছিল জনপ্রিয় আরেক ইংরেজি দৈনিকের প্রথম পাতাজুড়ে। সীতাকুন্ডে তুলার গুদামে দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলতে থাকা আগুনের ছবি ও আগুন নেভাতে সেনা মোতায়েনের খবর ছিল আরও কিছু ইংরেজি দৈনিকের শিরোনাম। এভাবে একদিকে যখন বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রস্তুতি চলছিল ঠিক তখনই সকাল বেলা গরম চায়ের পেয়ালা হাতে যে বিদেশি অতিথি ও বিনিয়োগকারীরা হোটেলে বসে ইংরেজি সংবাদপত্রগুলো পড়ছিলেন তারা এসব খবরই দেখতে পেয়েছেন। ১২ মার্চ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আরও পুড়েছে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর কবরস্থান এলাকায় খন্দকার ম্যানসন নামের একটি ১০ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলার এক ফ্ল্যাট। রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকান্ডের ২০ দিন আগে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের ১২ তলা ভবনের সপ্তম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ১৯টি ইউনিট রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে। এ অগ্নিকান্ডের দুই সপ্তাহ পর (১৩ মার্চ) তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়ার রোলিং মিল বস্তিতে লাগা আগুন জ্বলে সোয়া দুই ঘণ্টা। দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে আগুন লাগিয়ে গাছ ধ্বংস ও জমি দখলের খবর প্রকাশিত হয় ইদানীং। ২৩ ফেব্রুয়ারি শর্টসার্কিট থেকে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাত ৮টার দিকে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনার রূপসা নদীর তীরে অবস্থিত বন্ধ থাকা দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ম্যাচ ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত সালফার (ম্যাচে ব্যবহৃত বারুদ) গোডাউনে এ আগুন লাগে এবং আগুনের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়ায় নগরীর লবণচরা, রূপসা, টুটপাড়া, দোলখোলা, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, হাজী মুহসীন রোড, ডাকবাংলো মোড়সহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তথ্যমতে অগ্নিকান্ডের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে যায় এবং তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার এলাকার অনেকে বিষাক্ত ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। ফ্যাক্টরির ভিতরের পরিত্যক্ত একটি কক্ষের কেমিক্যাল থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির একটি কক্ষে ম্যাচ তৈরির বারুদ, রেড ফসফরাস, ব্ল্যাক ফসফরাস সালফার, কার্বন সংরক্ষিত ছিল। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে টুটপাড়া ও বয়রা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ১৯৫৬ সালে গেওয়া কাঠের ওপর নির্ভর করে খুলনার রূপসা নদীর তীরে ১৮ একর জমির ওপর দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির যাত্রা শুরু হয়। মিলটির মালিকানা ছিল পাকিস্তানি মালিকানাধীন দাদা গ্রুপ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে মিলটি জাতীয়করণ করে চালু করে সরকার। ১৯৯৩ সালে ভাইয়া গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এ মিলের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। কিন্তু লোকসানের কারণে ২০১০ সালে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তারা। ২০১১ সালে সরকারি তত্ত্বাবধানে কারখানার মালামাল বুঝে নেওয়া হয়। সেই সময় থেকে মালামাল সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনকে। পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জুমার নামাজ শেষে ৩ মার্চ শুক্রবার বেলা ২টার পর পঞ্চগড় শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরঙ্গী মোড়ে এ সংঘর্ষ হয়। পরে ১০টি বাড়িঘর ও চারটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের একটি কার্যালয়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে পঞ্চগড় শহরের পাশে আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের ১০টি বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। পঞ্চগড় শহরের একটি বাজারের চারটি দোকানের মাল বের করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

৫ মার্চ রবিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় অবস্থিত শিরিন ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন দোকান কর্মচারী নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। বিস্ফোরণের ফলে শিরিন ভবনের নিকটস্থ অন্যান্য ভবনও কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্প সন্দেহে অন্যান্য ভবনের লোকজন নিচে নেমে আসেন। বিস্ফোরণের পরই শিরিন ভবনে আগুন ধরে যায়। ১০টা ৫৫ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট মিলে ১৮ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রথমদিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্র বিস্ফোরিত হয়েছে ধারণা করে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখানে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেন। তিন তলা ভবনে বিস্ফোরণে দেয়ালের ইট, দরজা, জানালা ও আসবাব ছিন্নভিন্ন হয়ে রাস্তায় এসে পড়ে এবং দেয়াল ধসে যায়। ভবনের ভিতর থেকে নিহত তিনজনের দেহ এবং আহত আরও ১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন লেগেছে ৫ মার্চ রবিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে। আগুনে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। ১১ নম্বর ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্রুত ১০ ও ১২ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে ক্যাম্প থেকে পালাতে থাকেন রোহিঙ্গারা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং বিকাল সোয়া ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনা ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত নাশকতা’ বলে প্রমাণ পেয়েছে সরকারি তদন্ত কমিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে রোহিঙ্গারা আগুন নেভাতে গেলে তাদের কৌশলে নিষেধ করা হয় এবং আগুন নেভানোর চেয়ে জীবন বাঁচানো জরুরি বলে প্রচার করা হয়। ১৭ মার্চ শুক্রবার জাতির পিতার জন্মদিনে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের লুটেরচর এলাকায় একটি প্লাস্টিক গোডাউনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় বাউন্ডারি দিয়ে ঘেরা একটি গোডাউনে পুরনো প্লাস্টিকের বোতল সংরক্ষণ করে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করত। সেখানে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে সাভার ট্যানারি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় মোহাম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনটি ইউনিটসহ কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। মোট সাতটি ইউনিটের দেড় ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রিয় পাঠক আসুন এ স্বাধীনতার মাসে বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির মানচিত্রটা মনে মনে ভাবী। সম্ভব হলে মানচিত্রটা সামনে রাখি। এবার আগুন লাগা ও বিস্ফোরণ ঘটা স্থানগুলো চিহ্নিত করি। দেখব আগুন জ্বলেছে পুবের সিলেটে, পশ্চিমের রাজশাহীতে, উত্তরের পঞ্চগড়ে এবং দক্ষিণের কক্সবাজারে ও খুলনায়। বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়েছে মধ্যাঞ্চল তথা রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। অর্থাৎ ২৫ দিনের মধ্যে বিশেষত বিনিয়োগ সম্মেলন চলাকালে এবং এর আগে বাংলাদেশের সর্বত্র আগুন ও বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ক্রমাগত সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে এসব কিছুকে নিছক দুর্ঘটনা, বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা কাকতালীয় ঘটনা বলা যেতেই পারে। তবে জনগণের সুরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার কষ্টিপাথরে যাচাই করলে এসব ঘটনাকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনোই সুযোগ নেই। কারণ প্রতিটি কল্যাণকামী রাষ্ট্রের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- রাষ্ট্রীয় ভূখন্ডে বসবাসকারী সব মানুষ, এমনকি লোকালয়ের পশু-পাখি কিংবা জঙ্গলের জীবজন্তুরও জীবনের নিরাপত্তা বিধান।

অথচ আজ পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় দেশের বিভিন্ন স্থাপনা বিশেষত খোদ রাজধানী যেন অব্যবস্থাপনাজনিত কারণে মৃত্যু-ঝুঁকিতে রয়েছে। সুষ্ঠু ও বৈধ ব্যবহারের বদলে গ্যাস সংযোগ ও সঞ্চালন অবৈধ এবং চোরাই পথে অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে বারবার। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গ্যাস ধীরে ধীরে জমা হয় এবং এক সময় বিস্ফোরণ ঘটায়। আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় একেকটি গুদাম ও মাটির নিচের পার্কিং এলাকার (বেসমেন্ট) নানা ধরনের অবৈধ ব্যবহারজনিত কারণে সংকটময় আমাদের নিরাপদ আবাসন। জনস্বাস্থ্যের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শাকসবজিতে কীটনাশক, মাছে হরমোন, পচনশীল দ্রব্যে ফরমালিন, পোলট্রিতে ট্যানারি বজ্য, তৈরি খাবারে বিষাক্ত রং প্রভৃতির পাশাপাশি চিকিৎসকদের ধর্মঘটও আমাদের মেনে নিতে হয় নীরবে। সরকারের দায়িত্বে থাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরির গুদাম কিংবা পুলিশের বড় কর্মকর্তার অফিসে বিস্ফোরণের জন্য দায়িত্ব সরকারি বেতনভোগীদেরই নিতে হবে। অথচ এ জন্য কাউকে দায়িত্বশীল কথা বলতে দেখা যায় না।

জাতীয় নিরাপত্তার বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম হলো আইনের শাসন, দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতিগত ঐক্য, আঞ্চলিক ও ভৌগোলিক অখন্ডতা, জনকল্যাণ, টেকসই অর্থনীতি, সামাজিক সুরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।

আইনের শাসন থাকলে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় এত রাসায়নিক গুদাম, ঝুঁকিপূর্ণ অক্সিজেন প্লান্ট কিংবা নকল খাবার ও ওষুধ কারখানা থাকার কথা নয়। সার্বভৌম এ দেশের রাজনীতি নিয়ে সরব বিদেশিরা। আমরা এক দেশ- এক জাতিতে বিশ্বাসী। অথচ দলের আমলে লীগের আর লীগের আমলে দলের সরকারি চাকরি হয় না। এতটুকু ভূখন্ডে কে ‘গোপালী’ আর কে ‘বগুড়ার ছোল’ তা খোঁজা হয়। মুখে মুখে জনকল্যাণের কথা বললেও বাস্তবে ডাক্তাররাও ধর্মঘট করে। জনগণের হাজার কোটি টাকার ব্যাংক আমানত তুলে নেয় ভুয়া ঠিকানার পান দোকানি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহহীনদের ঠাঁই দেওয়া হলেও ঢাকার বস্তিতে পুড়ে নদীভাঙা মানুষের শেষ সম্বল। ছাত্ররা জ্বালায় রেললাইন, বাড়িঘর ও দোকান আর ছাত্রী নেত্রীরা করে আরেক ছাত্রীর বস্ত্র হরণ। এসব দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একটা কথা খুব মনে পড়ে। তিনি বলেছিলেন, কৃষক-শ্রমিক, চাষা-ভূষারা ঘুষ খায় না, ঘুষ খায় শিক্ষিত লোকেরা। আসলেই তো তাই। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ যেসব ব্যাংকের টাকা হঠাৎ হাওয়া হয়ে যায় কিংবা লুট হওয়া ও পরে উদ্ধারকৃত টাকা যেখানে হাওয়া হয়ে যায় সেখানে কোনো অশিক্ষিত লোক নেই। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং তাদের শিক্ষাগুরুরা সবাই উচ্চশিক্ষিত। মিল-ফ্যাক্টরি, অক্সিজেন প্লান্ট- এসব কিছু পরিচালনার দায়িত্বে আছেন এক শিক্ষিত সমাজ।

চিকিৎসায় অবহেলার দায়ে যারা চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের আঘাত করে আর এ জন্য যারা চিকিৎসা বন্ধ করে দেন তারা সবাই শিক্ষিত। আর অতি শিক্ষিতদের বিচরণ ছিল সাভারে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে, যেখানে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ধসে ১৫ জন আহত হয়। মনের অজান্তে তাই প্রশ্ন জাগে- আসলে কী শিখেছি আমরা।

যে শিক্ষা বিবেককে জাগ্রত করে না, দেশের সম্পদ ও জনগণের জানমাল সুরক্ষার পথ দেখায় না, সে শিক্ষা তো সার্টিফিকেট দিয়ে দানব তৈরির শিক্ষা। এমন দানবের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকুক আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ। কারণ আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ তথা আগামীর বিশ্ব পরিচালনায় প্রয়োজন হবে সত্যিকারের শিক্ষিত, মানবিক ও স্মার্ট নাগরিক, সার্টিফিকেটধারী কোনো ডিজিটাল দানব নয়।

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।

mail: [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
দেশ-বিদেশে ভ্রমণের নানা অফার নিয়ে আইসিসিবিতে পর্যটন মেলা শুরু
দেশ-বিদেশে ভ্রমণের নানা অফার নিয়ে আইসিসিবিতে পর্যটন মেলা শুরু

এই মাত্র | অর্থনীতি

চট্টগ্রামের সড়ক যেন মৃত্যুকূপ, ছয় মাসে নিহত আড়াইশো
চট্টগ্রামের সড়ক যেন মৃত্যুকূপ, ছয় মাসে নিহত আড়াইশো

২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হবিগঞ্জে হাসপাতাল সিলগালা ও জরিমানা
হবিগঞ্জে হাসপাতাল সিলগালা ও জরিমানা

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যমত কমিশনের সিদ্ধান্তের আইনি বৈধতা চান এটিএম আজহারুল
ঐক্যমত কমিশনের সিদ্ধান্তের আইনি বৈধতা চান এটিএম আজহারুল

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবলে টাঙ্গাইলকে ৪-১ গোলে হারাল নেত্রকোনা
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবলে টাঙ্গাইলকে ৪-১ গোলে হারাল নেত্রকোনা

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের উত্তেজনা, আহত ২৩
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের উত্তেজনা, আহত ২৩

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৭
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৭

১৪ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অর্থপাচারের দুই ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেফতার
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অর্থপাচারের দুই ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেফতার

১৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাঙামাটি লিগ্যাল এইডে সমাধান হবে ৮ মামলা
রাঙামাটি লিগ্যাল এইডে সমাধান হবে ৮ মামলা

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে নিখোঁজের তিন দিন পর লাশ উদ্ধার
পানিতে ডুবে নিখোঁজের তিন দিন পর লাশ উদ্ধার

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে ২২৪ মন্ডপে দুর্গাপূজা
নারায়ণগঞ্জে ২২৪ মন্ডপে দুর্গাপূজা

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামালপুরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা ঢাকায় গ্রেফতার
জামালপুরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা ঢাকায় গ্রেফতার

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় ৭টি সংসদীয় আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় ৭টি সংসদীয় আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রীপুরে বনের ভেতরের পুকুরে ভাসছিল লাশ
শ্রীপুরে বনের ভেতরের পুকুরে ভাসছিল লাশ

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৩৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দিনাজপুরে পিস্তলসহ গুলি উদ্ধার
দিনাজপুরে পিস্তলসহ গুলি উদ্ধার

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায় বিএনপি : আমীর খসরু
রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায় বিএনপি : আমীর খসরু

৪১ মিনিট আগে | রাজনীতি

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মোদি
নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মোদি

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেত্রকোনায় দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক
নেত্রকোনায় দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৯ দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তান গেলেন স্বরাষ্ট্র সচিব
৯ দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তান গেলেন স্বরাষ্ট্র সচিব

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ফেলানীর ছোট ভাইকে চাকরি দিলো বিজিবি
ফেলানীর ছোট ভাইকে চাকরি দিলো বিজিবি

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সৌদি সফর শেষে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
সৌদি সফর শেষে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খাগড়াছড়ির পাহাড়ে পূজার আমেজ, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা
খাগড়াছড়ির পাহাড়ে পূজার আমেজ, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শারদীয় দুর্গোৎসবে সারা’র আয়োজন
শারদীয় দুর্গোৎসবে সারা’র আয়োজন

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে ‘এইচবিও ম্যাক্স’
বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে ‘এইচবিও ম্যাক্স’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’
‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি
চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন