শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩

ক্রমাগত অঘটনে প্রশ্নবিদ্ধ জননিরাপত্তা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
ক্রমাগত অঘটনে প্রশ্নবিদ্ধ জননিরাপত্তা

১১ মার্চ ২০২৩ তারিখে সাত দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ১৭ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণে আকর্ষণীয় বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয় দেশের রাজধানী ঢাকায়। এ গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের খবর দেখার আশায় টেলিভিশন চালু করা মাত্র ভেসে উঠল চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত ছোট কুমিরা নামক স্থানে ইউনিটেক্স স্পিনিং মিলের তুলার গুদামে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে টানা ১০ ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলার দৃশ্য। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আটটি ইউনিট আপ্রাণ চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে না পারায় স্থানীয় সেনা সদস্যরা সেই আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে। এ স্পিনিং মিলের একটু দূরেই অবস্থিত সীমা অক্সিজেন প্লান্টে মাত্র এক সপ্তাহ আগে সংঘটিত ব্যাপক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডে সাতজনের মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে চার দিন আগে রাজধানী ঢাকার সিদ্দিকবাজার বিস্ফোরণে নতুন একজনসহ ২৩ জনের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হচ্ছিল সব টেলিভিশনে। এরই মাঝে তাৎক্ষণিক খবর (ব্রেকিং নিউজ) এলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে আগুন দিয়েছে ছাত্ররা। প্রায় ৫০টি দোকান পুড়ে ছাই। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বৃষ্টির মতো ইট নিক্ষেপ, দোকান ভাঙচুর, দোকানে অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, শতাধিক হতাহত, পুলিশের অসহায়ত্ব ইত্যাদি দৃশ্য বারবার সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছিল প্রায় ২৪টি টেলিভিশনের পর্দায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ধরনের রাখঢাক না রেখে চারদিকের এসব মৃত্যু এবং অগ্নিকান্ডের বীভৎস দৃশ্য তুলে ধরার যেন প্রতিযোগিতা চলছিল। বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকায় জড়ো হওয়া শতাধিক দেশের প্রতিনিধি ও বিদেশের গণমাধ্যমকর্মীরা হোটেলে বসে এসব দৃশ্য দেখে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।

পরদিন ১২ মে রবিবার সকালে বেশ কিছু ইংরেজি সংবাদপত্র এবং ইংরেজি অনলাইন নিউজ পোর্টালে চোখ রাখলাম বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেওয়া বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে। স্থানীয় শীর্ষ ইংরেজি দৈনিকে মূল সংবাদের শিরোনামের অর্থ বাংলাদেশ আপনাদের স্বাগত জানাতে সর্বদা প্রস্তুত। অথচ তার পাশেই রাজশাহীতে ৫০টি দোকানে আগুনের ছবি আর ২২০ জন হতাহতের খবর। অপর ইংরেজি দৈনিক লিখেছে- জামায়াত-শিবির দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টে চক্রান্ত করছে। একই দৈনিকের শিরোনাম ‘আরেকটি এক-এগারোর সম্ভাবনা কি বাড়ছে?’। সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডের খবরের পাশাপাশি একটি ইংরেজি দৈনিকের মূল সংবাদের মর্মকথা হলো- সরকার নির্দেশনা জারি তথা গেজেট প্রকাশ করলেও সেই নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে মানা হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সেবা খাতের মাসিক বিল মওকুফের বিষয়ে এ সংবাদ পরিবেশিত হয়, যা সরকার চাইলেও যে অনেক কিছু সরেজমিনে বাস্তবায়ন করতে পারে না তাই জানান দিল এ সংবাদ। দুই দলের কাদা ছোড়াছুড়ির খবরের পাশে গুলিস্তানে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হওয়ার খবর ছিল একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গনগনে আগুনে দোকান পোড়ার ছবি, ২০০ ছাত্র-জনতা হতাহত, মৌলভীবাজারে বিরোধী দলের ওপর সরকারি দলের হামলার ছবি ও ৩৫ জন হতাহতের খবর ছিল জনপ্রিয় আরেক ইংরেজি দৈনিকের প্রথম পাতাজুড়ে। সীতাকুন্ডে তুলার গুদামে দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলতে থাকা আগুনের ছবি ও আগুন নেভাতে সেনা মোতায়েনের খবর ছিল আরও কিছু ইংরেজি দৈনিকের শিরোনাম। এভাবে একদিকে যখন বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রস্তুতি চলছিল ঠিক তখনই সকাল বেলা গরম চায়ের পেয়ালা হাতে যে বিদেশি অতিথি ও বিনিয়োগকারীরা হোটেলে বসে ইংরেজি সংবাদপত্রগুলো পড়ছিলেন তারা এসব খবরই দেখতে পেয়েছেন। ১২ মার্চ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আরও পুড়েছে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর কবরস্থান এলাকায় খন্দকার ম্যানসন নামের একটি ১০ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলার এক ফ্ল্যাট। রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকান্ডের ২০ দিন আগে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের ১২ তলা ভবনের সপ্তম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ১৯টি ইউনিট রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে। এ অগ্নিকান্ডের দুই সপ্তাহ পর (১৩ মার্চ) তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়ার রোলিং মিল বস্তিতে লাগা আগুন জ্বলে সোয়া দুই ঘণ্টা। দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে আগুন লাগিয়ে গাছ ধ্বংস ও জমি দখলের খবর প্রকাশিত হয় ইদানীং। ২৩ ফেব্রুয়ারি শর্টসার্কিট থেকে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাত ৮টার দিকে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনার রূপসা নদীর তীরে অবস্থিত বন্ধ থাকা দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ম্যাচ ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত সালফার (ম্যাচে ব্যবহৃত বারুদ) গোডাউনে এ আগুন লাগে এবং আগুনের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়ায় নগরীর লবণচরা, রূপসা, টুটপাড়া, দোলখোলা, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, হাজী মুহসীন রোড, ডাকবাংলো মোড়সহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তথ্যমতে অগ্নিকান্ডের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে যায় এবং তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার এলাকার অনেকে বিষাক্ত ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। ফ্যাক্টরির ভিতরের পরিত্যক্ত একটি কক্ষের কেমিক্যাল থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির একটি কক্ষে ম্যাচ তৈরির বারুদ, রেড ফসফরাস, ব্ল্যাক ফসফরাস সালফার, কার্বন সংরক্ষিত ছিল। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে টুটপাড়া ও বয়রা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ১৯৫৬ সালে গেওয়া কাঠের ওপর নির্ভর করে খুলনার রূপসা নদীর তীরে ১৮ একর জমির ওপর দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির যাত্রা শুরু হয়। মিলটির মালিকানা ছিল পাকিস্তানি মালিকানাধীন দাদা গ্রুপ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে মিলটি জাতীয়করণ করে চালু করে সরকার। ১৯৯৩ সালে ভাইয়া গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এ মিলের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। কিন্তু লোকসানের কারণে ২০১০ সালে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তারা। ২০১১ সালে সরকারি তত্ত্বাবধানে কারখানার মালামাল বুঝে নেওয়া হয়। সেই সময় থেকে মালামাল সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনকে। পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জুমার নামাজ শেষে ৩ মার্চ শুক্রবার বেলা ২টার পর পঞ্চগড় শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরঙ্গী মোড়ে এ সংঘর্ষ হয়। পরে ১০টি বাড়িঘর ও চারটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের একটি কার্যালয়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে পঞ্চগড় শহরের পাশে আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের ১০টি বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। পঞ্চগড় শহরের একটি বাজারের চারটি দোকানের মাল বের করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

৫ মার্চ রবিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় অবস্থিত শিরিন ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন দোকান কর্মচারী নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। বিস্ফোরণের ফলে শিরিন ভবনের নিকটস্থ অন্যান্য ভবনও কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্প সন্দেহে অন্যান্য ভবনের লোকজন নিচে নেমে আসেন। বিস্ফোরণের পরই শিরিন ভবনে আগুন ধরে যায়। ১০টা ৫৫ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট মিলে ১৮ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রথমদিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্র বিস্ফোরিত হয়েছে ধারণা করে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখানে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেন। তিন তলা ভবনে বিস্ফোরণে দেয়ালের ইট, দরজা, জানালা ও আসবাব ছিন্নভিন্ন হয়ে রাস্তায় এসে পড়ে এবং দেয়াল ধসে যায়। ভবনের ভিতর থেকে নিহত তিনজনের দেহ এবং আহত আরও ১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন লেগেছে ৫ মার্চ রবিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে। আগুনে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। ১১ নম্বর ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্রুত ১০ ও ১২ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে ক্যাম্প থেকে পালাতে থাকেন রোহিঙ্গারা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং বিকাল সোয়া ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনা ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত নাশকতা’ বলে প্রমাণ পেয়েছে সরকারি তদন্ত কমিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে রোহিঙ্গারা আগুন নেভাতে গেলে তাদের কৌশলে নিষেধ করা হয় এবং আগুন নেভানোর চেয়ে জীবন বাঁচানো জরুরি বলে প্রচার করা হয়। ১৭ মার্চ শুক্রবার জাতির পিতার জন্মদিনে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের লুটেরচর এলাকায় একটি প্লাস্টিক গোডাউনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় বাউন্ডারি দিয়ে ঘেরা একটি গোডাউনে পুরনো প্লাস্টিকের বোতল সংরক্ষণ করে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করত। সেখানে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে সাভার ট্যানারি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় মোহাম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনটি ইউনিটসহ কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। মোট সাতটি ইউনিটের দেড় ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রিয় পাঠক আসুন এ স্বাধীনতার মাসে বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির মানচিত্রটা মনে মনে ভাবী। সম্ভব হলে মানচিত্রটা সামনে রাখি। এবার আগুন লাগা ও বিস্ফোরণ ঘটা স্থানগুলো চিহ্নিত করি। দেখব আগুন জ্বলেছে পুবের সিলেটে, পশ্চিমের রাজশাহীতে, উত্তরের পঞ্চগড়ে এবং দক্ষিণের কক্সবাজারে ও খুলনায়। বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়েছে মধ্যাঞ্চল তথা রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। অর্থাৎ ২৫ দিনের মধ্যে বিশেষত বিনিয়োগ সম্মেলন চলাকালে এবং এর আগে বাংলাদেশের সর্বত্র আগুন ও বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ক্রমাগত সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে এসব কিছুকে নিছক দুর্ঘটনা, বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা কাকতালীয় ঘটনা বলা যেতেই পারে। তবে জনগণের সুরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার কষ্টিপাথরে যাচাই করলে এসব ঘটনাকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনোই সুযোগ নেই। কারণ প্রতিটি কল্যাণকামী রাষ্ট্রের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- রাষ্ট্রীয় ভূখন্ডে বসবাসকারী সব মানুষ, এমনকি লোকালয়ের পশু-পাখি কিংবা জঙ্গলের জীবজন্তুরও জীবনের নিরাপত্তা বিধান।

অথচ আজ পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় দেশের বিভিন্ন স্থাপনা বিশেষত খোদ রাজধানী যেন অব্যবস্থাপনাজনিত কারণে মৃত্যু-ঝুঁকিতে রয়েছে। সুষ্ঠু ও বৈধ ব্যবহারের বদলে গ্যাস সংযোগ ও সঞ্চালন অবৈধ এবং চোরাই পথে অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে বারবার। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গ্যাস ধীরে ধীরে জমা হয় এবং এক সময় বিস্ফোরণ ঘটায়। আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় একেকটি গুদাম ও মাটির নিচের পার্কিং এলাকার (বেসমেন্ট) নানা ধরনের অবৈধ ব্যবহারজনিত কারণে সংকটময় আমাদের নিরাপদ আবাসন। জনস্বাস্থ্যের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শাকসবজিতে কীটনাশক, মাছে হরমোন, পচনশীল দ্রব্যে ফরমালিন, পোলট্রিতে ট্যানারি বজ্য, তৈরি খাবারে বিষাক্ত রং প্রভৃতির পাশাপাশি চিকিৎসকদের ধর্মঘটও আমাদের মেনে নিতে হয় নীরবে। সরকারের দায়িত্বে থাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরির গুদাম কিংবা পুলিশের বড় কর্মকর্তার অফিসে বিস্ফোরণের জন্য দায়িত্ব সরকারি বেতনভোগীদেরই নিতে হবে। অথচ এ জন্য কাউকে দায়িত্বশীল কথা বলতে দেখা যায় না।

জাতীয় নিরাপত্তার বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম হলো আইনের শাসন, দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতিগত ঐক্য, আঞ্চলিক ও ভৌগোলিক অখন্ডতা, জনকল্যাণ, টেকসই অর্থনীতি, সামাজিক সুরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।

আইনের শাসন থাকলে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় এত রাসায়নিক গুদাম, ঝুঁকিপূর্ণ অক্সিজেন প্লান্ট কিংবা নকল খাবার ও ওষুধ কারখানা থাকার কথা নয়। সার্বভৌম এ দেশের রাজনীতি নিয়ে সরব বিদেশিরা। আমরা এক দেশ- এক জাতিতে বিশ্বাসী। অথচ দলের আমলে লীগের আর লীগের আমলে দলের সরকারি চাকরি হয় না। এতটুকু ভূখন্ডে কে ‘গোপালী’ আর কে ‘বগুড়ার ছোল’ তা খোঁজা হয়। মুখে মুখে জনকল্যাণের কথা বললেও বাস্তবে ডাক্তাররাও ধর্মঘট করে। জনগণের হাজার কোটি টাকার ব্যাংক আমানত তুলে নেয় ভুয়া ঠিকানার পান দোকানি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহহীনদের ঠাঁই দেওয়া হলেও ঢাকার বস্তিতে পুড়ে নদীভাঙা মানুষের শেষ সম্বল। ছাত্ররা জ্বালায় রেললাইন, বাড়িঘর ও দোকান আর ছাত্রী নেত্রীরা করে আরেক ছাত্রীর বস্ত্র হরণ। এসব দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একটা কথা খুব মনে পড়ে। তিনি বলেছিলেন, কৃষক-শ্রমিক, চাষা-ভূষারা ঘুষ খায় না, ঘুষ খায় শিক্ষিত লোকেরা। আসলেই তো তাই। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ যেসব ব্যাংকের টাকা হঠাৎ হাওয়া হয়ে যায় কিংবা লুট হওয়া ও পরে উদ্ধারকৃত টাকা যেখানে হাওয়া হয়ে যায় সেখানে কোনো অশিক্ষিত লোক নেই। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং তাদের শিক্ষাগুরুরা সবাই উচ্চশিক্ষিত। মিল-ফ্যাক্টরি, অক্সিজেন প্লান্ট- এসব কিছু পরিচালনার দায়িত্বে আছেন এক শিক্ষিত সমাজ।

চিকিৎসায় অবহেলার দায়ে যারা চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের আঘাত করে আর এ জন্য যারা চিকিৎসা বন্ধ করে দেন তারা সবাই শিক্ষিত। আর অতি শিক্ষিতদের বিচরণ ছিল সাভারে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে, যেখানে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ধসে ১৫ জন আহত হয়। মনের অজান্তে তাই প্রশ্ন জাগে- আসলে কী শিখেছি আমরা।

যে শিক্ষা বিবেককে জাগ্রত করে না, দেশের সম্পদ ও জনগণের জানমাল সুরক্ষার পথ দেখায় না, সে শিক্ষা তো সার্টিফিকেট দিয়ে দানব তৈরির শিক্ষা। এমন দানবের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকুক আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ। কারণ আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ তথা আগামীর বিশ্ব পরিচালনায় প্রয়োজন হবে সত্যিকারের শিক্ষিত, মানবিক ও স্মার্ট নাগরিক, সার্টিফিকেটধারী কোনো ডিজিটাল দানব নয়।

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।

mail: [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ
বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি করা সেই যুবক গ্রেপ্তার
চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি করা সেই যুবক গ্রেপ্তার

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুশফিকের শততম টেস্ট বিনা টিকিটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা
মুশফিকের শততম টেস্ট বিনা টিকিটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা

৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মোদির প্রশংসা করে বিপাকে শশী থারুর
মোদির প্রশংসা করে বিপাকে শশী থারুর

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ও থানায় ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ও থানায় ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবারও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেললো দুর্বৃত্তরা
আবারও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেললো দুর্বৃত্তরা

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হবিগঞ্জে কোটি টাকার ভারতীয় জিরা জব্দ
হবিগঞ্জে কোটি টাকার ভারতীয় জিরা জব্দ

১২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে : আমানউল্লাহ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে : আমানউল্লাহ

১৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটক ২
আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটক ২

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আলিয়ার বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ, যা বললেন কাকা মুকেশ ভাট
আলিয়ার বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ, যা বললেন কাকা মুকেশ ভাট

১৮ মিনিট আগে | শোবিজ

কারাবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
কারাবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

শীতে সুন্দরবনে এক জেলের মৃত্যু
শীতে সুন্দরবনে এক জেলের মৃত্যু

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’
‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’

২৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত
৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত

২৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আইনের শাসনের উদাহরণ: দুলু
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আইনের শাসনের উদাহরণ: দুলু

২৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

শেকৃবিতে পুনর্জন্ম কৃষি নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
শেকৃবিতে পুনর্জন্ম কৃষি নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

৩০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

শেয়ারবাজারে বড় উত্থান
শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

৩৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

তিতাস নদী থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
তিতাস নদী থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নবান্নকে ঘিরে বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা
নবান্নকে ঘিরে বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তুরস্কে জেলেনস্কি, কি নিয়ে আলোচনা?
তুরস্কে জেলেনস্কি, কি নিয়ে আলোচনা?

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাটিরাঙ্গায় ইমাম–ওলামাদের নিয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা
মাটিরাঙ্গায় ইমাম–ওলামাদের নিয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা

৫২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মাগুরায় গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় অগ্নিকাণ্ড
মাগুরায় গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় অগ্নিকাণ্ড

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাবর আজমকে আইসিসির শাস্তি
বাবর আজমকে আইসিসির শাস্তি

৫৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নার্সকে মারধরের ঘটনায় কর্মবিরতি পালন
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নার্সকে মারধরের ঘটনায় কর্মবিরতি পালন

৫৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা থেকে ৩ ককটেল উদ্ধার
বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা থেকে ৩ ককটেল উদ্ধার

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তারুণ্যের উৎসবে বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কর্মশালা
তারুণ্যের উৎসবে বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুশফিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ টাইগারদের সাবেক কোচ হাথুরুসিংহে
মুশফিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ টাইগারদের সাবেক কোচ হাথুরুসিংহে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’
‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা
লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি
বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে