রবিবার, ৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

করোনাকালের অবসান

তারপরও সতর্ক থাকা জরুরি

করোনাকালের অবসান ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ নামের চোখে দেখা যায় না এমন এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাস মানব জাতির জন্য ভয়ংকর হুমকি সৃষ্টি করেছিল তিন বছর আগে। করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী যে স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল তা তুলে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় এখন আর স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা দীর্ঘ করার প্রয়োজন নেই। মহামারি করোনার প্রকোপ বিশ্বজুড়ে অনেকটাই কমে এসেছে। শঙ্কার মেঘ অনেকটাই কেটে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, করোনায় অন্তত ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছেন। সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুসের মতে, করোনায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ২ কোটির কাছাকাছি, যা আনুষ্ঠানিক হিসাবের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি। করোনার কাল বা ভয়াবহতার সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বৈঠকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া এ কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে মানুষের লড়াইয়ের অগ্রগতির একটি চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, জরুরি অবস্থা আর না থাকলেও করোনা কিন্তু একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না। এটি থেকেই যাবে। সোজা কথায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বোঝাতে চেয়েছে করোনার জন্য সারা বিশ্বে ঘোষিত স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও এই ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তবে আশার কথা এতটুকু করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ ভয়ংকর বাঘ হয়ে থাবা বিস্তার করলেও সে ইতোমধ্যে কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে। আগের মতো বিপর্যয়ের ক্ষমতা তার নেই। জরুরি অবস্থা উঠে গেলেও মানব জাতিকে সাবধান থাকতে হবে ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো ভাইরাস মানুষের অস্তিত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে। করোনাভাইরাস শুধু দুই কোটি মানুষের জীবনই কেড়ে নেয়নি, কোটি কোটি মানুষকে কর্মহীন করেছে। চলতি বিশ্বমন্দার জন্যও তা অনেকাংশে দায়ী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর