শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

অপরাধীদের আখড়া

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দিকে দৃষ্টি দিন

কক্সবাজারের টেকনাফ উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প অপরাধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। সাধারণ রোহিঙ্গার সিংহভাগই এদের কাছে জিম্মি। মাদক ব্যবসার সঙ্গে মিয়ানমারের এ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর গাঁটছড়া সম্পর্ক বহুলভাবে প্রচারিত। অপহরণ, গুম, খুন, ডাকাতি হেন অপরাধ নেই যার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সংগঠন আরসা, আরএসও, ইসলামী মাহাজ, জমিয়তুল মুজাহিদীন ও আল ইয়াকিনের সশস্ত্র সদস্যরা কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্নিকটে গহিন পাহাড়ি এলাকায় তাদের তৎপরতা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না নানা সীমাবদ্ধতার কারণে। অপরাধী প্রতিটি গ্রুপের রয়েছে অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার। তাদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক একে-৪৭সহ চায়নিজ ভারী অস্ত্র। এরা প্রত্যেকেই অস্ত্র পরিচালনায় প্রশিক্ষিত। তারা তাদের সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাহাড়ের গহিনে। যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কখনো পৌঁছাতে পারেনি। এদের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও অসহায়। বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের ৩০ মাফিয়ার নেতৃত্বে রয়েছে বিপুলসংখ্যক সন্ত্রাসী। অপরাধ সংঘটনে যারা সশস্ত্র অবস্থায় প্রস্তুত থাকে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের তৎপরতা রহস্যময়। আশঙ্কাজনক খবর হচ্ছে, রোহিঙ্গা নিধনকারী বলে পরিচিত প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সরকারও গোপনে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপ সৃষ্টিতে ইন্ধন দিচ্ছে। এ খবর সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও ভাবিয়ে তুলছে। বর্তমানে শিবিরগুলোয় আল ইয়াকিন নামে একটি সশস্ত্র রোহিঙ্গা গ্রুপ বেশ সক্রিয়। আল ইয়াকিনের বেশির ভাগ সদস্য আগে আরএসও নামক সংগঠনে ছিল। আল ইয়াকিনকে অনেক রোহিঙ্গাই আরসা নামে অভিহিত করে। সংগঠনটি অনেকের কাছে একটি বড় ধরনের আতঙ্কের নাম। সাধারণ রোহিঙ্গারা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে উন্মুখ হলেও সংঘবদ্ধ সশস্ত্র অপরাধীদের নিয়ে গঠিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো তাতে বাদ সাধছে। রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা রুখতে সরকারকে তৎপর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর