শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ আপডেট:

কবে হবে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
কবে হবে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা

অনেক দিন পর আলহাজ আবদুস সবুর সভাপতি ও সানোয়ার হোসেন সজীব সাধারণ সম্পাদক ও বিখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক সামান ফকিরের ছেলে আয়নাল হককে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে এক অতীব সুন্দর অসাধারণ সখিপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরম দয়ালু আল্লাহ এই কমিটির ওপর রহমত বরকত নাজিল করুন। মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ নিয়ে উত্তেজনা সামান্য বাড়লেও বাড়তে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষ কোনো পাতানো নয়, অবাধ নির্বাচন চায়। বোন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সাহসের সঙ্গে সে কাজটি করতে পারলে বিএনপির কিছু করার থাকবে না। বিএনপি নেতা তারেক রহমান মায়ের এই অসুস্থতার মধ্যে যখন দেশে ফেরার সাহস দেখাতে পারেনি তখন তার পক্ষে কোটি কোটি মা-বোনের পাশে দাঁড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে গার্মেন্ট কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে এক লেজেগোবরে অবস্থা। সত্যিই বেতন কাঠামো সময়োপযোগী হয়নি। যারা এসব নিয়ে লম্বা লম্বা বক্তৃতা করেন তারা একবার বাজারে গিয়ে দেখুন ১২- সাড়ে ১২ হাজার টাকায় কী হয়। দেশ এক তেজীঘোড়ার মতো উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে ছুটছে। উন্নয়নের মহাপরিকল্পনায় যখন যেভাবে পেরেছি সাক্ষী হওয়ার চেষ্টা করেছি। পদ্মা সেতুর অসাধারণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শরিক হয়েছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে আমার বাম পাশে হুইলচেয়ারে বসেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি আজ নেই। তার কথা বড় বেশি করে মনে পড়ে। গিয়েছিলাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের দিন বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশে মুক্তাঙ্গনে। অসম্ভব লোকসমাগম হয়েছিল। কিন্তু কোনো শৃঙ্খলা ছিল না। মন্ত্রীরা পর্যন্ত বসার জায়গা পাননি। তারপর পদ্মা সেতুতে যেদিন রেল উদ্বোধন হয় সেদিনও গিয়েছিলাম। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের চাইতে কিছুটা ম্রিয়মান ছিল রেল চলাচল উদ্বোধনে। পদ্মায় রেল চলাচল উদ্বোধনে রেল সচিব পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে জোশে জোশে তালে তালে পাকবাহিনী বলে উল্লেখ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। তার পুরো ভাষণজুড়ে বলার ভঙ্গিতে মনে হয়েছে তিনি কোনো কৌশল করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পাকবাহিনী বলেননি। তার বোধ-বিবেচনা থেকেই বলেছেন। পাক আর নাপাকের অর্থ হয়তো তার কাছে খুব একটা পরিষ্কার নয়। আল্লাহ রসুল পাক, কোরআন পাক, মক্কা-মদিনা পাক। পাকিস্তান হানাদাররা যে তেমন পাক নয়, তা তার কথায় বোঝা যায়নি। যাক কী বলব, স্বাধীনতার এত বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী দিনগুলোকে অনেকে যখন গ-গোলের বছর বলে অবহিত করেন, তখন কী আর বলা যায়? ধীরে ধীরে আমাদের চেতনা এতটা নিচে নেমে গেছে যা ভাবাই যায় না। গত ৪ নভেম্বর ছিল মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। হ্যাঁ, আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। তবে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল যাতায়াত সত্যিই এক স্বস্তিদায়ক ঘটনা। মিরপুরের দিক থেকে মতিঝিল কখনো কখনো দুই-আড়াই ঘণ্টার প্রয়োজন হতো। সেখানে ৩০-৩৫ মিনিটে পার হতে পারলে এর থেকে আর অভাবনীয় কী হতে পারে। তবে বড় কম সময় মেট্রোরেল চালানোয় যাত্রীরা স্বস্তি পাচ্ছে না। সকালে না হয় ৩০-৩৫ মিনিটে কর্মস্থলে পৌঁছলেন, কিন্তু ফেরার পথে সেই ৩ ঘণ্টা তাতে লাভ হলো কই? সে জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেট্রোরেলের চলাচলের সময় বৃদ্ধি করা যাবে ততই মঙ্গল। ৪ তারিখ মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্তরিক আহ্বান পাবার পরও কালের সাক্ষী হতে উপস্থিত থাকতে পারিনি। কারণ সেদিন ছিল সখিপুরে এক বিশাল জনসভা। সখিপুর আমার মন-প্রাণ-দেহ, সখিপুর আমার সমস্ত অস্তিত্বজুড়ে বিরাজ করে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সখিপুর আমাকে একটি অবস্থানে এনে দিয়েছে। তাই আমি কখনো সখিপুরকে ভুলে থাকতে পারি না। সখিপুরও যে আমাকে কখনো ভোলে না তা প্রতি মুহূর্তে শ্বাসে-প্রশ্বাসে অনুভব করি। গত ২০-২২ বছরের মধ্যে ৪ নভেম্বরের মতো উৎসবমুখর অমন জনসমাগম আর কখনো দেখিনি। এক ঐতিহাসিক জনসভা হয়েছিল ’৯৯-এর ২৮ আগস্ট আমি যেদিন সখিপুরের মানুষের মতামত নিয়ে সংসদ সদস্য পদ ত্যাগ করেছিলাম। আমার পদত্যাগের ঘোষণায় সেদিন পাইলট স্কুল মাঠে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ জারজার হয়ে কেঁদেছিল। সভা শেষে প্রায় ১ ঘণ্টা পাইলট স্কুলের অফিস কক্ষে ছিলাম। অর্ধেক মানুষ আমি চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েনি। এসবই অতীত ইতিহাস। আমি সেই ’৬০ সাল থেকে পাহাড়ের সঙ্গে পরিচিত। তবে অনেকটা উত্তরদিক চিনতাম। কচুয়া-কালিয়া-কুতুবপুর-জোরদিঘি-সাগরদিঘি-ছোটচওনা-বড়চওনা-বাঘেরবাড়ি-মরিচা এসব ছিল আমার বিচরণভূমি। বাড়ি পালালেই ছুটে যেতাম ওসব জায়গায়। তখন দেশে অভাব ছিল। কিন্তু খাওয়ায় কোনো অসুবিধা ছিল না। তখন গ্রামে কেউ কাউকে অভুক্ত রেখে খাবার খেত না। তখন এটাও বোঝা যেত না কার কোন বাড়ি। সবাই খাচ্ছে, কেউ কাউকে বারণ করছে না। যে গ্রাম আমি দেখেছি, যে পাহাড় আমি দেখেছি আজকে অনেকটাই তেমন নেই। মাঝারি ধরনের ধনী-গরিবের পার্থক্য অনেকটাই কেটে গেছে। কিন্তু বিশাল কোটি কোটি, হাজার কোটি, লাখো কোটি সম্পদের মালিকদের সে যে কী হাবভাব ভাবলেই কেমন যেন মনে হয়। ১১ নভেম্বর ইতিহাসের আরেক বিস্ময়কর সাফল্য পৃথিবীর সব থেকে বড় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার রেলযাত্রার সূচনা করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা। সে অনুষ্ঠানেও সাক্ষী হতে পারিনি। কারণ গত ১১ তারিখ শনিবার আমাদের বাসাইলে ছিল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পূর্বনির্ধারিত জনসভা। এমনিতেই আমি কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম মিস করি না বা প্রোগ্রাম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিই না। একজন হিন্দু যেমন ভগবানের আরাধনা করে, একজন মুসলমান যেমন দয়াময় আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করে, আমি ঠিক তেমনি করে রাজনীতি করার চেষ্টা করি। রাজনীতিতে কোনো ফাঁকি-ঝুঁকি আমার দৃষ্টিতে সবচাইতে জঘন্যতম অপরাধ। আমি জেনেশুনে কখনো ওই ধরনের অপরাধে অংশীদার হতে চাই না। তাই যেতে পারিনি। আর এমনিতে গরিব রাজনীতিবিদ, অর্থের ভান্ডার খোঁজার চেষ্টা করিনি, কোনো দিন ক্ষমতার পেছনেও ছুটিনি। ছুটেছি মানুষের পেছনে, মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়াতে। সেই কবে চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। স্কুলের ছাত্র থাকতেই ছুটে গিয়েছিলাম। স্বাধীনতার পরপর সমস্ত সিলেট বন্যায় একাকার হয়ে গিয়েছিল। শতাধিক সহকর্মী নিয়ে প্রায় মাসাধিক কাল সেখানে পড়েছিলাম। ত্রাণকাজে গিয়েছি মানিকগঞ্জের জমশাতে। আল্লাহর কী কুদরত, টিউবঅয়েলের লোহার পাইপ পেঁপে গাছে পেঁচানো দেখেছি। কী অসম্ভব ব্যাপার! সাপ যেমন গাছপালাকে পেঁচিয়ে ধরে ঠিক তেমনি টিউবঅয়েলের লোহার পাইপ নরম পেঁপে গাছ পেঁচিয়ে আছে। কিন্তু গাছের কোনো ক্ষতি হয়নি। কীসব বিচিত্র ব্যাপার! ত্রাণকাজে গিয়েছি ফরিদপুরের নানা উপজেলায়। এসবই ছিল সারা জীবনের কাজ, আমার আনন্দ তৃপ্তি। এখনো তাই। বড় ভালো লাগে যখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা ওঠাবসা করার সুযোগ পাই। তাই কক্সবাজারে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রেল সংযোগ উদ্বোধনে অংশ নিতে পারিনি। শতবর্ষ আগে ব্রিটিশরা প্রথম পরিকল্পনা করেছিল কক্সবাজার পর্যন্ত রেল নিয়ে যাবে। তা বাস্তবায়িত হয়নি। পাকিস্তান আমলে হয়নি। বাংলাদেশেরও ৫২-৫৩ বছরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমার প্রিয় বোন নেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে কক্সবাজার রেল সংযোগ চালু হলো। এটা পদ্মা সেতু নির্মাণের থেকে খুব একটা কম কথা নয়। তবে কেন যেন অনেক জিনিসই আমার চোখে পড়ে। তাই না বলে পারি না। কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন এটা তেমন কাজের কাজ হবে না। কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে যখন বঙ্গবন্ধু টানেল করা সম্ভব তখন কেন কালুরঘাট রেলব্রিজকে নতুন করা গেল না। শুনছি ব্যাপারটা পরিকল্পনাতেই নেই। ওরকম একটি ভাঙাচোরা রেলসেতু নিয়ে কীভাবে কক্সবাজারের রেল সুনাম অর্জন করবে, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে ভেবে পাচ্ছি না। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ নিয়েও বলেছিলাম। মাত্র একটা লাইন বসানো হয়েছে। এখন নাকি ১৫-১৬ মিনিটে ট্রেন এপার-ওপার হচ্ছে। এরকম প্রতিটা ট্রেন ১৫-১৬ মিনিট করে সময় নিলে দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় শতেকখানি ট্রেনও তো পারাপার হতে পারবে না। আজকের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। কিন্তু ৫-৭-১০-১৫ বছর পর কী হবে, যখন দিনে হাজার গাড়ি পারাপার হতে হবে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে? ক্ষমতাবান অনেকেই এসব শুনে বিরক্ত হন। ভাবেন কাজের কাজ তো কিছু নেই তাই অযথা এসব নিয়ে কচকচানি। কিন্তু সত্য বলছি, কাউকে বিব্রত করার জন্য কখনো কোনো কথা বলতে চাই না। দেশটার জন্মের বেদনার সঙ্গে যেহেতু জড়িয়ে ছিলাম সেহেতু ওইসব চোখে পড়লে না বলে থাকতে পারি না। ১৯৬৫ সালের শুরুর দিকে বাড়ি পালিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে গিয়েছিলাম। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় প্রথম বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন নগণ্য যোদ্ধা হিসেবে পাকিস্তানের পক্ষে অংশ নিয়েছিলাম। ’৬৬ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমাদের সিক্স বেঙ্গল রেজিমেন্ট চট্টগ্রামের হায়াকু ধুমঘাটের দিকে শীতকালীন মহড়ায় ছিল। সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভিপি হিসেবে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী আমাকে দেখতে গিয়েছিলেন। সারা দিন থেকে ফেরার পথে তিনি বলেছিলেন, ‘বজ্র, তোর সেনাবাহিনীতে যোগদান নিয়ে আমি কিছু বলব না। তবে কয়েক বছর পর আমার যখন লেখাপড়া শেষ হবে, তোর ছোট ভাই-বোনদের শেষ হবে তারা কেউ যদি তোরই অফিসার হয়ে আসে তখন তোর বড় খারাপ লাগবে, বিব্রতবোধ করবি।’ কেন যেন কথাটি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছিলাম। আমি সেনাবাহিনী থেকে অনেক কষ্টে বেরিয়ে এসেছিলাম। আল্লাহ দয়া করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছি। তাই মানুষের সঙ্গে বিন্দুমাত্র ছলনা হোক, কথা দিয়ে কথার খেলাপ হোক এটা আমি কল্পনাতেও আনি না। অনেকের কাছে রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতা, আমার কাছে রাজনীতি হচ্ছে সেবা, মানুষের কাছে কাছে থাকতে পারা। এটা খুবই সত্য যে, অনেক জিনিসেই অনেকের সঙ্গে আমার মিলে না। যতদিন থেকে বোধশক্তি হয়েছে বিবেকের নির্দেশ ছাড়া এক পা ফেলতে চেষ্টা করিনি, কাউকে অযথা গালাগাল করে ছোট করিনি। এ জন্য অনেকে ভালোবাসে আবার অনেকে পাওয়ার দেখায়। তা যা কিছুই হোক, চোখের সামনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। তাই ওসব এখন আর গায়ে মাখতে ইচ্ছে করে না। রাস্তাঘাটের জনগণ এলাকার মানুষজন সবাইকে নিয়ে মোটামুটি বেশ আনন্দেই ছিলাম। তবে কষ্ট হয় তখন যখন দেখি কোনো মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারছে না। বাজারদর এত চড়া কখন কী হয়? ২০ টাকার জিনিস ৫০ টাকা হতে ৫০ মিনিটও সময় নেয় না। আর সবকিছু পুরো বাজার পুরো দেশ কিছু কোটারির হাতে জিম্মি। তাদের ইচ্ছেই যেন শেষ কথা।

যাক সেসব কথা, এই মাসটা শ্বাস ফেলার সময় পাচ্ছি না। একের পর এক কর্মসূচি লেগেই আছে। এর মধ্যে আবার দীর্ঘ সময় লতিফ ভাই ঘরে বসে থাকার পর আমার মনে হয়েছে তার ওপর বড় বেশি জুলুম করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমাদের সন্তানের মতো বয়সী এক আওয়ামী লীগার তার গাড়িঘোড়া ভেঙেছিল। রাষ্ট্র সে বিচার করেনি, দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগও করেনি। অথচ এই লতিফ সিদ্দিকীর জন্ম না হলে আমি রাজনীতিতে আসতাম না। ২-৩ জন ছাড়া টাঙ্গাইলে কোনো নেতা হতো না। মুক্তিযুদ্ধেও তিনি প্রথম আমাদের সশস্ত্র নেতা ছিলেন। সেভাবেই শুরু করেছিলাম। আমি জীবনে কখনো গুরুমারা শিষ্য হতে চাইনি, হইওনি। ছেলেবেলায় আমার মতো নির্বোধ অযোগ্য অদক্ষ মানুষ পাকিস্তানের কাঠামোতে দ্বিতীয় কেউ ছিল কি না জানি না। লতিফ সিদ্দিকীর মাধ্যমে আমি বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু আমার ধ্যান জ্ঞান, বঙ্গবন্ধু আমার ভালোবাসা, বঙ্গবন্ধু আমার সব অস্তিত্ব। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে আমি জননী জন্মভূমিকে ভালোবাসতে শিখেছি। একে অস্বীকার করলে আমার নিজেকেই অস্বীকার করা হবে। অনেকে মুখে বললেও সবাই দেশকে ভালোবাসতে জানে না। দেশকে ভালোবাসা বাচ্চা শিশুদের পুতুল খেলা নয়। তাই লতিফ ভাইকে যে কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কারণগুলো খুব গভীরভাবে তলিয়ে দেখেছি। ইসলাম, হজ এবং মক্কা-মদিনা সম্পর্কে তার কথায় কোনো ত্রুটি ছিল না। গত বেশ কয়েকদিন আল্লামা শফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ.) এর এক অসাধারণ বই ‘আর রাহীকুল মাখতুম’ পড়লাম। ভীষণ ভালো লেগেছে। ইসলামের পূর্বাপর আরবের জীবনকাহিনি, রসুলে করিম (সা.) এর ওপর কুরাইশদের অবর্ণনীয় নির্যাতন বিস্মিত হয়ে যেতে হয়। সেখানেও কিন্তু লতিফ ভাইয়ের বক্তব্যের অনেক কিছু পেলাম। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অনেক সময় অনেক কথা যেভাবে বলেছেন তাঁর অনেক প্রতিধ্বনি করেছেন বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। জয়কে নিয়ে তিনি যে কথা বলেছিলেন সেখানে জয়কে ছোট করতে কিছুই বলেননি। ওকে বড় করতেই চেয়েছিলেন। কারণ জয়কে আমরা অনেক সময় কোলে নিয়েছি। ছেলেবেলায় শুনেছিলাম, ‘এইখানে পেশাব করিবেন না, করিলে ১০ টাকা জরিমানা।’ এইখানে পেশাব করিবেন না’র জায়গায় যদি এমন করা হয় ‘এইখানে পেশাব করিবেন, না করিলে ১০ টাকা জরিমানা।’ লতিফ ভাইয়ের কথাটা তার শত্রুপক্ষ অনেকটা সেভাবেই প্রিয় বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কানে তুলেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘জয় বাবা কেরা?’ ‘কেরা’ শব্দটা আমাদের টাঙ্গাইলের বহুল প্রচলিত একটি কথ্য শব্দ। তিনি তারপরের শব্দ উচ্চারণ করেছেন, ‘জয় রাস্তার মানুষ নয়, জয় বঙ্গবন্ধুর নাতি।’ পরেরটুকু শোনানো হয়নি। আগেরটুকু শোনালেই যদি কেল্লাফতে হয় তাহলে পরেরটুকুর দরকার কী? তাই তাকে বলেছিলাম, আপনি মানুষের কাছে আসুন রাস্তায় নামুন প্রশাসনের জালিয়াতি, গুন্ডাদের গুন্ডামি আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। অনেক দিন আগে এক প্রখ্যাত গণশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস বলেছিল, ‘যার দল নাই, তার বল নাই।’ একক লতিফ সিদ্দিকীর হয়তো বল কিছুটা কমও থাকতে পারে। কিন্তু টাঙ্গাইলের মানুষ তাকে চায়, দেশের মানুষ চায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তার অবদানের কথা বিবেচনা করে তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া উচিত। সে জন্য আমার দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে তাকে নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছি। যেহেতু তার দলীয় পরিচয় ছিল না, এখনো নেই তাই তিনি বেশ কয়েকটি জায়গায় বিনা প্রচারে পথসভা করেছেন। একজনই বক্তা, তিনি লতিফ সিদ্দিকী। অসংখ্য মানুষ হয়েছে তার সেই সমাবেশে। অনেক সময় ভালো মাইকও থাকেনি। কারণ তিনি ওসব ব্যাপারে তেমন পারদর্শী নন। কালিহাতীর বীর বাসুন্দায় মিটিং করেছিলেন, কুমিল্লা দেবিদ্বারের মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার বাড়ি থেকে কস্তুরীপাড়ায় সভা করেছিলেন। এই বয়সে তার এই উদ্যমকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারি না। তাই ১০ নভেম্বর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে প্রধান অতিথি করে কালিহাতী আর এস পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক সভা আহ্বান করেছিলাম। লতিফ ভাইয়ের সমর্থকরাও সেখানে এসে ছিল, এসে ছিল গামছা পাগলরা। আমরা কালিহাতীতে অতটা গামছার সংগঠন গড়ে তুলতে পারিনি যতটা সখিপুর-বাসাইলে পেরেছি, মির্জাপুরে পেরেছি। কিন্তু সেই কালিহাতীতে ১০ নভেম্বর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জনসভা হয়েছে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম জনসভা। সেই ছোটকাল থেকে সভা সমিতি করে আসছি। কিন্তু সেদিনের মতো অত উৎসাহব্যঞ্জক উপচে পড়া মানুষের জনসভা আমার জীবনে কালিহাতীতে কোনো দিন দেখিনি। মাঠ, মাঠের পাশে দালানকোঠা, ঘর-দুয়ার, রাস্তাঘাট লোকে ভরে গিয়েছিল। আমাদের ভাতিজা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ছেলে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার তার গ্রামের বাড়ি নাগবাড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার রাস্তা লোকের ভিড়ে ১ ঘণ্টাতেও আসতে পারেননি। পরে কুষ্টিয়া কামার্থী থেকে একটা মোটরসাইকেলে একেবারে শেষ মুহূর্তে যখন প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখতে শুরু করেছিলেন তখন তিনি এসে হাজির হন। দেরিতে হলেও তার আসায় মানুষ খুশি হয়েছে। লতিফ ভাইও বেশ পরিশীলিত সংযত বক্তব্য দিয়েছেন। বিশেষ করে আমার অবাক লাগছিল যখন বড় ভাই, ভাবি এবং আমার স্ত্রীকে নিয়ে একটা ব্যাটারি চালিত গাড়িতে মাঠের দিকে যাচ্ছিলাম তখন আশপাশে অসংখ্য নেতা-কর্মী জয় বাংলা, জয় হাসিনা সেøাগান দিচ্ছিল। ওসবে আমার কোনো অ্যালার্জি নেই। আমার নেতা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা তাঁর কন্যা। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমি মায়ের মতোই সম্মান করি, ভালোবাসি। রাজনৈতিক মিল-অমিল যা আছে সেটা ভিন্ন কথা। বড় ভাইকেও দেখলাম সভার এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা, কাদের সিদ্দিকী একই কণ্ঠে স্লোগান দিচ্ছিলেন। সারা মাঠ মাতোয়ারা হয়ে শেখ হাসিনা কাদের সিদ্দিকী স্লোগানে ফেটে পড়ছিল। হ্যাঁ, এটা সত্য, আমি আওয়ামী লীগ ত্যাগ করার পর এর আগে কখনো শেখ হাসিনার পাশাপাশি কাদের সিদ্দিকী স্লোগান শুনিনি। অনেকেই মনে করে, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান জিন্দাবাদ ছিল হানাদারদের স্লোগান, জয় বাংলা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের। কিন্তু ১২ জুন বল্লাযুদ্ধে আমরা যখন হানাদারদের পরাজিত করে ছয়-ছয়টা লাশ বল্লা স্কুল মাঠে এনে ফেলেছিলাম তখন হাজার কণ্ঠে স্লোগান উঠেছিল ‘শেখ মুজিব শেখ মুজিব জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, কাদের সিদ্দিকী কাদের সিদ্দিকী জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ।’ আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। মনে হয় সেই প্রথম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে নাম না-জানা অখ্যাত কাদের সিদ্দিকীর নামে স্লোগান উঠেছিল। সে ছিল কালিহাতীর বল্লা। আর সেদিন প্রায় একই রকম একেবারে কালিহাতীর প্রাণকেন্দ্রে। আমরা সবাই কালিহাতীর জনসমাগম দেখে যারপরনাই খুশি হয়েছি। এর তিন-চার দিনে যা জানলাম শুনলাম আপামর জনসাধারণও খুশি হয়েছে। কালিহাতীতে যে অরাজকতা চলছে সেখান থেকে মানুষ মুক্তি চায়। সেই মুক্তির স্বাদ তারা পেতে শুরু করেছে ১০ নভেম্বর শুক্রবার থেকে।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

লবণাক্ত পানিকে মিঠা পানিতে রূপান্তর করবে সূর্যের আলো : শাবিপ্রবির গবেষণা
লবণাক্ত পানিকে মিঠা পানিতে রূপান্তর করবে সূর্যের আলো : শাবিপ্রবির গবেষণা

৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে ঘরের দেয়াল ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে নিল অস্ত্রধারীরা
টেকনাফে ঘরের দেয়াল ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে নিল অস্ত্রধারীরা

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামায়াত আমিরের চট্টগ্রাম সফর শনিবার
জামায়াত আমিরের চট্টগ্রাম সফর শনিবার

১৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪০
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪০

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১
রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১

৪৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা
২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির জগন্নাথ হলে ‘সংহতির বাংলাদেশ নাইট ফুটসাল’ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
ঢাবির জগন্নাথ হলে ‘সংহতির বাংলাদেশ নাইট ফুটসাল’ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আড়াল ভেঙে ‌‘সুসংবাদ’ দিলেন মোনালি
আড়াল ভেঙে ‌‘সুসংবাদ’ দিলেন মোনালি

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন
আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভোর ৫টা না সকাল ৭টা? স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে কখন ঘুম থেকে উঠবেন?
ভোর ৫টা না সকাল ৭টা? স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে কখন ঘুম থেকে উঠবেন?

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুসংহত করবে : খসরু
ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুসংহত করবে : খসরু

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আহান-অনীতকে বলিউডের ‌‘নেক্সট কাপল’ বললেন করণ জোহর
আহান-অনীতকে বলিউডের ‌‘নেক্সট কাপল’ বললেন করণ জোহর

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে ডিম খাবেন কেন
সকালে ডিম খাবেন কেন

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’
‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল
মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা