সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বৈধ-অবৈধ অস্ত্র

ইসির জিরো টলারেন্স কাম্য

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপমহাদেশের দেশগুলোতে নির্বাচন এলেই সন্ত্রাসী ও মাস্তানদের তৎপরতা বেড়ে যায়। বাংলাদেশেও এটি একটি সমস্যা এবং এ কারণে স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনের আগে বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের দাপট যাতে মাথাচাড়া না দেয় তা নিশ্চিত করতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করা নির্বাচনি ব্যবস্থার অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আরও ৩৫ দিন বাকি থাকলেও নির্বাচন কমিশন থেকে এখনো দেওয়া হয়নি বৈধ অস্ত্র জমা কিংবা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিশেষ নির্দেশনা। এলিট ফোর্স-র‌্যাবের বড় একটি অংশ ব্যস্ত সময় পার করছে দূরপাল্লার যানবাহন, জ্বালানি তেলের লরিসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল পরিবহনের নিরাপত্তা রক্ষায়। এ সুযোগে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক দেশে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর বাইরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমার থেকে বিদ্রোহীদের দ্বারা সেনাবাহিনীর লুট হওয়া অস্ত্র বাংলাদেশে ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে এখনো সক্রিয় না হওয়ায় প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের প্রবণতা বাড়ছে। বহু ক্ষেত্রে পার পেয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সমর্থকরা। এভাবে বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ হলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না জেলা প্রশাসন বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হলেও তা পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো আসন্ন নির্বাচন বর্জন করায় অনেক আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রতীকধারী প্রার্থীর সঙ্গে সরকারদলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ অবস্থায় দুই পক্ষ নিজেদের পেশিশক্তি ব্যবহার যাতে না করে সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের এবং এ সময় প্রশাসনের ওপর তাদের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী থাকার কথা, সেহেতু বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রবাজদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর