আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারত সরকার আয়োজিত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) পর্যায়ের বৈঠকে চীন ও পাকিস্তান অংশ নিচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ দেশ দু’টির অংশগ্রহণ ছাড়াই আজ বুধবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
আফগান ইস্যুতে রাশিয়াসহ ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিজস্তান ও কাজাখিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা অংশ নিচ্ছেন। তবে চীন ও পাকিস্তান অংশ না নেওয়ার এই সংলাপের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে।
আজ দিল্লির আহ্বানে নিরাপত্তা সংলাপে যোগ দিয়েছেন ইরানের রিয়ার অ্যাডমিরাল আলি শামখানি, রাশিয়ার নিকোলাই পি পাত্রুশেভ, কাজাখিস্তানের করিম মাসিমভ, কিরগিজস্তানের মারাত মুকানোভিচ ইমানকুলভ, তাজিকিস্তানের নাসরুল্লো রহমতজন মাহমুদজোদা, তুর্কিমেস্তানের চারিমিরাত কাকালিয়েভিচ আমভোভ এবং উজবেকিস্তানের ভিক্টর মাখমুদভ।
আফগানিস্তান বিষয়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বলেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সাম্প্রতিক ঘটনাবলীগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ এবং বৃহত্তর সমন্বয়ের সময় এসেছে। আমরা সবাই গভীরভাবে (আফগানিস্তানের) ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি আরও বলেন, এগুলো শুধুমাত্র আফগানিস্তানের জনগণের জন্যই নয়, তার প্রতিবেশী দেশ ও সমগ্র অঞ্চলের উপরও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এটি আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ আদান-প্রদান, আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের সময়।
এদিকে বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলোর প্রতিনিধিরা আফগানিস্তান থেকে জন্ম নেওয়া সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারের মতো হুমকি মোকাবিলা করতে এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দেন। শীত শুরু হওয়ার আগে আফগান জনগণের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই বিষয়েও বক্তব্য রাখেন তারা।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান ইস্যুতে এর আগেও দু’টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আয়োজক ছিল ইরান। এতে আফগানিস্তান, ইরান, রাশিয়া, চীন ও ভারত অংশগ্রহণ করে। এরপর একই ইস্যুতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ইরানের আয়োজনে আবারও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন করে আরও দু’টি দেশ (তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান) অংশ নেয়। তবে এই দুই সংলাপে ভারত অংশ নেওয়ায় পাকিস্তান অংশ নেয়নি।
আর এবার ভারতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীন ও পাকিস্তান অংশগ্রহণ করেনি। তাই এই বৈঠকের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর