স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এডিস মশাসহ অন্যান্য মশা নিধনে আমরা কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নয়, ইন্ট্রিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানজমেন্ট করতে যাচ্ছি। এটার জন্য কাজ চলছে। সারা দেশের জন্য এটা করব। আমাদের কাছে ভরসার জায়গা হলো গ্রামে এডিস মশার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। যেখানে নিচে মাটি আছে, সেখানে মশা ডিম পাড়লেও তা ফুটবে না। পরিবেশের ক্ষতি না হয় সেটা মাথায় রেখেই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
বুধবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় বিভাগ, দপ্তর সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার ১১তম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০২০ এর তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে। লকডাউনের কারণে নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ বন্ধ থাকা, অনেক নগরবাসীর বাসা খালি রেখে গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ায় এবার এডিস মশা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। উচ্চশিক্ষিত মানুষ অনেকের বাসায় প্রচুর লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা দুঃখজনক।
মন্ত্রী আরও বলেন, বৃষ্টি বেশি হলে সমস্যা না, যদি ভারী বৃষ্টি হয়। থেমে থেমে বৃষ্টি হলে, পানি জমা থাকলে সমস্যা। যদি ছাদ বাগান করেন তাহলে ফুলের টবের মধ্যে কয়েক ফোঁটা কেরোসিন তেল দিয়ে দেন। এর ফলে প্রতিদিন পানি সরাতে হবে না। কেরোসিন দিলে সেখানে লার্ভা হবে না।
আগে একটা কোম্পানিকে কীটনাশক আমদানির অনুমতি থাকলেও এখন তা ওপেন করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন কিছু বেসরকারি কোম্পানি সেই কীটনাশক আনছে, সেগুলো দোকানে দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন