প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২০১৯ সালের মাধ্যে সারাদেশের ২ লক্ষ ৮০ হাজার গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মঙ্গলবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে নিজাম হাজারীর (ফেনী-২) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। এই ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ হাজার গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। আগামী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৫০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর তৈরি করে দেয়া হবে এবং ২০ হাজার পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হবে। পরবর্তী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ১ লক্ষ ১০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর করে দেয়া হবে এবং ২০ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত ৩টি ফেইজে ১ লক্ষ ৪০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের বসবাসের জন্য নির্মিত ব্যারাকে ২টি করে কক্ষ ও জমিসহ প্রাপ্যতা সাপেক্ষে চাষযোগ্য জমি প্রদান করা হচ্ছে।
বর্তমান চলমান আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ মেয়াদে ৫০ হাজার পরিবার পুনর্বাসন করার লক্ষ্য রয়েছে। বর্তমানে যার সামান্য জমি আছে কিন্তু ঘর করার সামর্থ্য নেই সেসব পরিবারকেও তাদের নিজ জমিতে ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। এই কর্মসূচির আওতায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর তৈরি করে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল এবং অসহায় মানুষদের জন্য আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার ৫ ইউনিটের পাকা ব্যারাক ও দেশের অন্যান্য এলাকায় ৫ ইউনিটের সেমি পাকা ব্যারাক নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও নদী ভাঙ্গন প্রবণ এলাকায় সহজে স্থানান্তরযোগ্য সিআই সিট ব্যারাক নির্মাণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ১৪ দিনের চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে এবং প্রশিক্ষণ শেষে পরিবার প্রতি ২০ হাজার টাকা করে ঋণ দেয়া হয়। বর্তমানে এই ঋণের পরিমান বৃদ্ধি করে পরিবার প্রতি ৩০ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। পুনর্বাসিত পরিবারের জন্য ২ মাসব্যাপী ভিজিএফ সুবিধা প্রদান করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব