ফাইভ-জি চালুকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম সারিতে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেরণা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ সব কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এই সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এসময় তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কী উন্নতি করেছি, আমরা কৃষিক্ষেত্র, মৎস্যক্ষেত্র এবং জিডিপির উন্নয়নে কী করেছি, সেসব নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল বিপ্লবের ক্ষেত্রে যে সারা দুনিয়াকে পথ দেখিয়েছি, সেসব কথা সব সময় বলা হয় না।
সেমিনারে মোস্তফা জব্বার বলেন, আমাদের ঘোষণার এক বছর পর ইংল্যান্ড তাদের ‘ডিজিটাল ইংল্যান্ড’ এর কথা বলেছে। ভারত প্রায় ছয় বছর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলেছি। আমরা গর্ব করে বলতে পারি-ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন এ কথা বলেন যে ডিজিটাল ইন্ডিয়া হতে হলে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
শিল্প বিপ্লবের কারণে মানুষের কর্মসংস্থানের পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক করেন দেশসেরা এই প্রযুক্তিবিদ। তিনি বলেন, মানুষের জন্য প্রযুক্তি, কিন্তু প্রযুক্তির জন্য মানুষ না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যেসব প্রযুক্তি আসবে, প্রয়োজনের বাহিরে আমরা কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করবো না। প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সহজ করে দেবে, কিন্তু তা যেন মানুষের জীবন কেড়ে না নেয়।
শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা কাজের উপযোগী লোক তৈরি করছে না। তাই কাজে নেওয়ার আগে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হচ্ছে। চতুর্থ
শিল্পবিপ্লবের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা সম্পন্ন লোক তৈরি করতে হবে। এজন্য কর্মমুখী শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে।
সেমিনারে বিজ্ঞানমুখী শিক্ষাবিস্তারে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান ও কর্মমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের প্রতিফলন ঘটেছিল। ২০১০ সালে ওই কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়। তার মানে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাচিন্তার প্রাসঙ্গিকতা আজও বিদ্যমান।
ডাকসুর বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুুক্তি সম্পাদক আরিফ ইবনে আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি কমিশনার আবু হেনা মো. রাজি হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন আস-সাকিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. রশীদুল হাসান, ডিজিটাল সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর এবং স্টুডেন্ট টু স্ট্যার্স্টআপের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান রুপক প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন