পর পর হাওর ডুবে ফসল হানি আর অসময়ে বন্যার ক্ষত এখনো শুকাতে না শুকাতে ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের বন্যার কবলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। অব্যাহত বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে জেলার সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারাসহ সকল নদ-নদীর পানি।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জের নবীনগর পয়েন্টে দিয়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর উপজেলার নিন্মাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। বাড়ি ঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠায় পানিবন্দী রয়েছেন অনেক পরিবার।
তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর-আনোয়ারপুর সড়কে পানি উঠায় রবিবার দুপুর থেকে জেলা শহরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর, জেলরোড, সাহেববাড়ী, বড়পাড়া এলাকার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় ধাপে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে ৮৯ মিলিমিটার। এছাড়াও ভারতের মেঘালয় আসাম প্রদেশে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে পর পর দুর্যোগে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি বন্যা মোকাবেলায় ত্রাণ সহযোগিতা সহযোগিতা চেয়েছেন বন্যাকবলিত লোকজন।
শহরের জেল রোড এলাকার ব্যবসায়ী জয়ন্ত দাস বলেন, গেল বন্যায় আমার দোকানে অনেক পানি ছিল। অনেক মালামালের ক্ষতি হয়েছে। আবার পানি প্রবেশ করেছে দোকানে। এভাবে দুর্যোগ বিপাকে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
তৈয়ব আলী নামে এক রিকশা চালক বলেন, 'রিকশা চালাইয়া ভাত খাই। নবী নগরের বাসা ভাড়া করে থাকি। বাসার আশেপাশে পানি। ঘরে ঢুকলে খাবো কি। ছেলে মেয়ে নিয়ে কই যাবো।'
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, নতুন করে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল তলিয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে পানি না আসলে নদীর পানি দ্রুত নেমে যেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত