কুয়েতে আজ শুরু হচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের একটি সম্মেলন। ইতিমধ্যেই কাতার জানিয়েছে, সম্মেলনে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি অংশ নেবেন।
তবে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের রাষ্ট্র প্রধানরা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না কি, প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন সে বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কোন ঘোষণা আসেনি। ফলে এ সম্মেলনের সফলতা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষে কুয়েত এই সম্মেলনে যোগ দেবার আমন্ত্রণ জানায় কাতারকে। এখন থেকে ঠিক ছয় মাস আগে জুনের প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরবের নেতৃত্বে উপসাগরীয় চারটি দেশ কাতারের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। এরপর এটাই প্রথম কোন আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দেবার আমন্ত্রণ পেল কাতার।
কাতারকে বয়কটকারী দেশগুলোর অভিযোগ ছিল, কাতার ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে। যদিও কাতার সব সময়ই সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
পরে কুয়েতের নেতৃত্বে গাল্ফ দেশগুলোর মধ্যকার সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার একটি উদ্যোগ কয়েক দফা বৈঠকের পর ব্যর্থ হয়।
এই সংকটকে বলা হয় ইতিহাসের অন্যতম বড় কূটনীতিক টানাপড়েন।
১৯৮১ সালে গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল গঠিত হয়। এটি উপসাগরীয় দেশগুলোর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক একটি জোট।
সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও কুয়েত এই জোটের সদস্য। উপসাগরীয় অন্য প্রতিবেশীদের মত কুয়েত এবং ওমান কাতারকে বয়কট করেনি।
এর বাইরে তুরস্ক শুরুতে কোনো পক্ষ না নেয়া এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে সংলাপের মধ্যস্থতার অবস্থান নেয়। কিন্তু দুদিনের মধ্যেই নাটকীয়ভাবেই কাতারের পক্ষ নেয় আঙ্কারা।
বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে তখন ফোনে আলাপ-আলোচনা করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
বিডি প্রতিদিন/০৫ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত