রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান উত্তেজনার কারণে পুতিনের সাথে আগামী সপ্তাহে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে দিতে পারেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প-পুতিনের প্রত্যাশিত সেই নির্ধারিত বৈঠকটি হতে যাচ্ছে বলে আজ ক্রেমলিনকে নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দেমিত্রি পেস্কয় জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্ধারিত সময় ১ ডিসেম্বরেই। বিষয়টি ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটন তাদের নিশ্চিত করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, ক্রিমিয়া উপকূলের কাছে রাশিয়া-ইউক্রেনের রবিবারের ঘটনার 'পূর্ণাঙ্গ বিবরণের' অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। পুরো বিষয়টি জেনে তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্তে পৌঁছবেন।
উল্লেখ্য, রাশিয়া গত রবিবার নাবিকসহ ইউক্রেনের ৩টি জাহাজ আটক করার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। বার্লিনে জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনায় উত্তেজনা প্রশমনের ডাক দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছুকাল অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকার পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত আবার তীব্র হয়ে উঠেছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের মদদ দিয়ে চলেছে রাশিয়া। সেই প্রেক্ষাপটে সর্বশেষ পরিস্থিতি শান্ত না হলে এমনকি যুদ্ধের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গত সোমবার ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত ও কৃষ্ণ সাগর উপকূলের কাছের কিছু অংশে ৩০ দিনের জন্য সামরিক শাসন জারি করেছে। প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেংকো স্থলপথে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা করছেন। তাঁর মতে, প্রতিরোধের প্রস্তুতির কারণেই সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক শাসন জারি করা প্রয়োজন।
তাছাড়া, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও এই উত্তেজনা নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাতে রাশিয়া অবশ্য বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেনের ঐক্য ও অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। বর্তমান সংকটের সমাধান করতে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সংলাপের ডাক দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার