দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ইউরোপ-আমেরিকায়। উদ্বিগ্ন ভারতও। শনিবার বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অন্তত ৫০ বার জিনের বিন্যাস বদল করে তৈরি হওয়া এই রূপ সম্পর্কে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের থেকে বিশদে খোঁজখবর নিয়ে আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত যেসব দেশে করোনার এই ধরনের হদিশ মিলেছে, সেখানকার যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা যাতে সঠিকভাবে হয় এবং তাদের স্বাস্থ্যের ওপরেও যাতে নজর রাখা হয়, তার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়াও বিদেশে যাতায়াত আগামী দিনে কতটা শিথিল করা হবে, সেই বিষয়টি কর্মকর্তাদের পর্যালোচনা করে দেখতে বলেছেন মোদি।
এখনো ভারতে ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নন। শনিবারের বৈঠকে ক্যাবিনেট সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, কোভিড টাস্কফোর্সের প্রধান ও নীতি আয়োগের কোভিড বিশেষজ্ঞ সদস্যদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ যেন নেওয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটির সংক্রমণ ঘটেছে অতি দ্রুত। সে দেশে সম্প্রতি যতজন সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের ৯০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
তাদের বেশির ভাগই স্কুল ও কলেজপড়ুয়া। এই তথ্যই বেশি উদ্বেগের। কারণ, ভারতে এখনো ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। তা ছাড়া ওমিক্রন-সম্পর্কিত তথ্যও সরকারের কাছে বিশেষ নেই। টিকাপ্রাপ্তদের প্রতিরোধক্ষমতা এই ধরনকে রুখতে পারবে কি না, রুখলেও কতটা কার্যকর হবে, তা অজানা। এই কারণে সরকার এত চিন্তায়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই