বিশ্বের কোটি কোটি নারী হরমোন ভিত্তিক জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করছেন। বিশেষ কিছু সুবিধার জন্য এই পিল গ্রহণ করলেও অধিকাংশ নারীই এটি ব্যবহারের কারণে অন্যদের তুলনায় বেশি বিষণ্নতায় ভুগে থাকেন।
ডেনমার্কে এ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়। সেখানে গবেষকরা এ সমস্যার মাত্রা নির্ধারণ করতে কাজ করেন। জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। মুলত যেসব নারীরা এই পিল ব্যবহার করেন তাদেন মেজাজ-মর্জির ওপর বিরূপ প্রভাব পরে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষণায় টিনএজার থেকে শুরু করে তরুণীদের অসংখ্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দেখা যায়, ২৩ শতাংশ নারীকে জন্মবিরতিকরণ পিলের সঙ্গে বিষণ্নতা প্রতিরোধী ওষুধ দেওয়া হয়। তারা পিল গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যেই বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যে নারীরা প্রোজেস্টেরন হরমোন ভিত্তিক পিল খান তাদের অ্যান্টিডিপ্রেসান্ট ওষুধের প্রয়োজন ৩৪ শতাংশ বেশি থাকে। আর যারা হরমোন কন্ট্রাসেপশন ব্যবহার করেন না, তাদের বিষণ্নতার মাত্রা কম।
গবেষকরা দেখেছেন, যারা পিল খেয়ে থাকেন কেবল তারাই নন, যারা জন্মনিয়ন্ত্রণে অন্যান্য পদ্ধতি গ্রহণ করেন তারাও একই সমস্যায় আক্রান্ত হন। কম বয়সী নারীরা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যারা উভয় ধরনের পিল খান তাদের বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা ৮০ শতাংশ বেশি থাকে। আর যারা কেবল প্রোজেস্টিন-পিল খেয়ে থাকেন তাদের সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে দ্বিগুন বেশি থাকে।
প্রধান গবেষক অজভিন্দ লিডগার্ড জানান, কম বয়সী মেয়েরা এর প্রভাবে আজীবনের জন্য বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারেন। নারীদের দুটো হরমোন অয়েস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এ গবেষণায় আরও বলা হয়, মেয়েদের দেহে প্রোজেস্টেরণের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে মেজাজ খারাপ হতে থাকে।
জন্মবিরতিকরণ পিল এবং মানসিকতার সম্পর্কের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে কখনো গবেষণায় আসেনি। বিশেষজ্ঞরা ডেনমার্কের ১০ লাখ নারীর তথ্য বিশ্লেষণ করেন যাদেরে বয়স ১৫-৩৪ বছরের মধ্যে। ২০০০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এসব তথ্যে ফলোআপ সংগ্রহ করা হয়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/২ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হিমেল