মানুষের জীবনে কানের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। কেননা শ্রবণশক্তি ছাড়া মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম গুলি ঠিকমতো করতে পারে না। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ডেফনেস'র এক গবেষণায় বলা হয়, ২০-৬৯ বছর বয়সীদের ১৫ শতাংশের কানে সমস্যা দেখা দেয় শুধু মাত্র উচ্চ মাত্রার শব্দের কারণে। অন্যদিকে জার্নাল অব ওটোলজির এক গবেষণায় বলা হয়, কানের সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণটি হলো হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শোনা। কানের মধ্যে এত শক্তিশালী শব্দ শ্রবণক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে।
কোন কোন বিশেষজ্ঞ কান পরিষ্কারের প্রচলিত পদ্ধতিগুলোকে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করেন। তাঁদের মতে, এগুলো দিয়ে পরিষ্কারের সময় ছোট টুকরো ভেঙে কানের মধ্যে থেকে যেতে পারে। নিউ ইয়র্কের সানি ডাউনস্টেট মেডিক্যাল সেন্টারের ওটোলারাইনজোলজি রিচার্ড রোজেনফিল্ড জানান, এভাবে কান পরিষ্কার করতে গেলে খোঁচা লেগে ড্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আমাদের অনেকেই আঙুল কানের গভীর ঢুকিয়ে দিতে চান। মানুষের আঙুল ও নখে থাকে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া। এগুলো মারাত্মক সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেশি। কর্ণকূহরে রয়েছে ছোট ছোট রক্তনালি। আঙুলের চাপে এগুলো আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
মেয়েদের বেলায় দুল পরতে কান ফুটো করেন অনেকে। সমস্যা হলো, অনেকে নিজে বা কোনো বন্ধুকে দিয়ে কাজটি করিয়ে থাকেন। অথচ তা একজন এক্সপার্টকে দিয়ে করানো উচতি। অস্বাস্থ্যকর উপায়ে এটি করতে গেলে স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
সবশেষ কথা হলো, কানের যে কোন ধরনের সমস্যায় সময় মতো বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া জরুরি। নতুবা বড় রকমের সমস্যা কিবা শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার