ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তি অপরিহার্য উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল যুগের জন্য ‘ডিজিটাল’ সংযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণ করতে হবে। এই মহাসড়ক তৈরিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা সর্বোচ্চ।’
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ফাইভ-জি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল যুগের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাইজেশনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে, সেটি হচ্ছে ডিজিটাল অপরাধ।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল সংযুক্তি এবং ডিজিটালাইজেশনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ‘ডিজিটাল অপরাধ’ দুটি কাজই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের। এজন্য এ বিভাগ ও এর আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল সংযুক্তির পাশপাশি সাইবার অপরাধ দমনেও সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করতে হবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শরীফ উদ্দিন অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, যুগ্ম সচিব খোন্দকার মো. আব্দুল হাই, বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ ও বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. আসলাম হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন,‘রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী আমাদের দায়িত্ব আমাদেরকেই পালন করতেই হবে। দায়িত্ব পালনে সামান্যতম অবহেলার সুযোগ নেই। যথাসময়ে যথাযথ কাজটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করতে পেরেছি বলেই আমরা প্রযুক্তিতে পিছিয়ে নেই। তাছাড়া, ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে আমরা পারি।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ