সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত প্রযুক্তির এসি দিচ্ছে মিনিস্টার

এম এ রাজ্জাক খান রাজ, চেয়ারম্যান মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (২০২১-২৩) : এফবিসিসিআই ডিরেক্টর : এফবিসিসিআই ও বিসিআই

সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত প্রযুক্তির এসি দিচ্ছে মিনিস্টার

এসির মোট বাজার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার এবং বার্ষিক বিক্রয় বৃদ্ধির হার শতকরা ১০ ভাগ। প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ লাখ ইউনিট এসি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারের ৭০ শতাংশ এসি দেশীয় ইলেকট্র্রনিক্স কোম্পানির দখলে...

 

প্রশ্ন : টানা এক মাসের বেশি দাবদাহে পুড়ল দেশ, আবারও নাকি তাপপ্রবাহ শুরু হবে, এসির ব্যবসা কেমন চলছে?

- দাবদাহের কারণে এসির চাহিদা অন্য বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। গত কয়েকদিনে এসির চাহিদা ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তিন গুণ। ১ টন এবং দেড় টন ইনভার্টার এসির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আমাদের ব্র্যান্ডের এসির চাহিদা এত বেশি যে, আমরা গ্রাহকদের কাছে এসি পৌঁছে দিতে অনেক সময় হিমশিম খাচ্ছি। শোরুমগুলোতে প্রচ- ভিড়। তবে সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করছি।

প্রশ্ন : বর্তমানে এসির বাজারের চিত্রটা কেমন?

- আবহাওয়া পরিবর্তন, গরমের তীব্রতা ও গরমকালের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও দ্রুত নগরায়ণের প্রভাবে বাংলাদেশে এসির বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এখানে এসির মোট বাজার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার এবং বার্ষিক বিক্রয় বৃদ্ধির হার শতকরা ১০ ভাগ। প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ লাখ ইউনিট এসি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারের ৭০ শতাংশ এসি দেশীয় ইলেকট্র্রনিক্স কোম্পানির দখলে, বাকি ৩০ শতাংশ বিদেশি কোম্পানির দখলে।

প্রশ্ন : আপনার কোম্পানির ব্যবসা কেমন চলছে?

- এসি এখন আর বিলাসী পণ্য নয়। প্রচ- গরমে এসি এখন প্রায় সব শ্রেণির মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অতি প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্চ থেকেই আমাদের শোরুমগুলোতে এসি ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আমাদের এসি বিক্রি ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত প্রযুক্তির ভালো মানের এসি সরবরাহের কারণে আমাদের এসির চাহিদা বেড়েই চলেছে।

প্রশ্ন : ঋণের সুদ আবারও বাড়ছে, এতে কি আপনাদের ব্যবসায় প্রভাব পড়বে?

- প্রভাব তো পড়ছেই। নতুন করে ঋণ নিতে গেলেই বেশি সুদ গুনতে হচ্ছে। এতে ব্যবসার খরচও বাড়ছে। এ বছর মার্চ মাসের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ সুদ নিতে পারবে বলে বলা হয়েছে। এতে পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। কিন্তু আমরা গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার কথা চিন্তা করে পণ্যের দাম সেই অনুপাতে বাড়াতে পারি না।

প্রশ্ন : এই মুহূর্তে এই শিল্পে কী কী সমস্যা আছে?

- এসি উৎপাদন শিল্পে বর্তমানে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো ডলার সংকট। বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল পণ্য কম দামে বিক্রি করছে। এতে ক্রেতারাও ভোগান্তির শিকার হন, দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে, কিছু ক্ষেত্রে আমাদেরও ঝামেলা পোহাতে হয়।

প্রশ্ন : বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে আপনার পরামর্শ কী?

- বর্তমান সরকার শিল্পবান্ধব। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে দেশীয় শিল্পগুলোর জন্য আরও এক থেকে দুই বছর কর সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। আরও কয়েক বছর এ সুবিধা অব্যাহত রাখলে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য সুবিধা হবে। এ ছাড়া পোর্ট থেকে পণ্য খালাস করতে অনেক সময় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়। এতে উৎপাদন ব্যয় বাড়ে। এটা সহজীকরণ করা প্রয়োজন। ঋণের সুদহার কমানোটাও জরুরি।

সর্বশেষ খবর