দ্বিতীয় মেয়াদে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবার সভাপতি নির্বাচিত হন। চার বছর অভিভাবকের দায়িত্ব পালনকালে সার্ক অঞ্চলে ফুটবল উন্নয়নে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি ক্লাব টুর্নামেন্টও করবে। না, তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। এবারও সভাপতি হওয়ার পর ক্লাব টুর্নামেন্টের আশ্বাস দিয়েছেন। এবার সালাউদ্দিন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবেন কিনা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু অনেকে তার উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। কারণ শুধু সাফ নয়, ২০০৮ সাল থেকে বাফুফের সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেও এখন পর্যন্ত ঢাকায় কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পারেননি। সেই ১৯৯৯ সালে শেষবারের মতো বঙ্গবন্ধু কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকা অবস্থায় দেশের বঙ্গবন্ধু কাপ না হওয়াটা সত্যিই বিস্ময়কর ব্যাপার।
যাক সালাউদ্দিনের নেতৃত্ব দেওয়া বাফুফে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে না পারলেও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব চাচ্ছে ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ বা আশপাশের ক্লাবগুলোকে নিয়ে টুর্নামেন্ট করার। এবার আইএফএ শিল্ড খেলতে গিয়ে ক্লাব সভাপতি মনজুর কাদেরের আগ্রহটা জেগেছে। কাদের বলেন, ইচ্ছা আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করাটা চাট্টিখানি কথা নয়। হিসাব করে দেখা গেছে ভারত ও বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের দলগুলোকে নিয়েও যদি টুর্নামেন্ট করা হয় তাহলে খরচ পড়বে প্রায় ৩ কোটি টাকা। ক্লাব চালাতেই হিমশিম খাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ক্লাবের খরচে টুর্নামেন্ট করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে স্পন্সরের প্রয়োজন পড়বে। দেশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোতো ফুটবলকে স্পন্সর করতে এখন এগিয়ে আসতে চায় না। স্পন্সর পাওয়া গেলেও প্রয়োজন পড়বে সরকারের অনুমোদনের। বাফুফেরও সহযোগিতা রাখবে। সে কারণে টুর্নামেন্ট করাটা কঠিন কাজ। কাদের বলেন, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে চলতি বছরে টুর্নামেন্ট করা সম্ভব না। সবকিছু গোছানোর পর আশা রাখি আগামী বছরে ইচ্ছা পূরণ করার। তার মতে ফুটবল উন্নয়নের জন্য শুধু ফেডারেশন নয়। ক্লাবগুলোও টুর্নামেন্টের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বাফুফেও ক্লাবগুলোর উদ্যোগে বছরে যদি ২/৩টি টুর্নামেন্ট করা যায় তাহলে দেশের ফুটবলের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।