সময়টা এখন ফুটবলের। আর মাত্র ২৪ দিন পরই দুনিয়া কাঁপানো বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। পৃথিবীজুড়ে এ নিয়ে উম্মাদনা শুরু হয়ে গেছে আরও আগেই। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। অথচ দেশের ফুটবলে করুণ চেহারা তাতেও দূর হচ্ছে না। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা দুই দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ও ঢাকা আবাহনী গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। এমন ম্যাচেও সাড়া মেলেনি। খেলাটি গোল শূন্য ড্র হয়। ২৫ হাজার আসনবিশিষ্ট গ্যালারিতে দেখা মিলেছিল অল্প কয়েক দর্শক। যাক যারাই এসেছিলেন তাদের প্রত্যাশা ছিল হাইভোল্টেজ ম্যাচটি উপভোগ্য হবে। কেননা শেখ জামালের শিরোপা রাস্তা পরিষ্কার করতে জয় যেমন জরুরি ছিল, তেমনিভাবে টেবিলে অবস্থান মজবুত করতে আবাহনীরও জয় ছাড়া উপায় ছিল না। অথচ নিষ্প্রাণ খেলা দেখে দর্শকরা হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরেছেন। বিশেষ করে আগের ম্যাচগুলোতে শেখ জামাল যে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স শো করেছিল তা ছিল অনুপস্থিত। দুই বিদেশি সনিনর্দে ও ওয়েডসন আক্রমণ চালিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে দিতেন। কাল কিন্তু তারাও তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। শেখ জামাল দুজনার ওপর যে কতটা নির্ভরশীল তা গতকালের ম্যাচে প্রমাণ পাওয়া গেছে। নর্দেও ওয়েডসন নিষ্ক্রিয় ছিলেন বলে পুরো দলকেই নিস্তেজ মনে হয়েছে। তারপরও ১৫ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত শেখ জামাল। বল নিয়ে ওয়েডসন আবাহনীর বিপজ্জনক এলাকায় ঢুকে শট নিলেও গোলরক্ষক সোহেল রুখে দেন।
আবাহনীর ভালোভাবেই জানা ছিল হারলে শিরোপার আশা প্রায় শেষ হয়ে যাবে। অথচ জয় পেতে যে ধরনের নৈপুণ্য প্রদর্শন করার কথা ছিল তা কিন্তু তাদের খেলোয়াড়দের মধ্যেও দেখা যায়নি। আসলে গোল করার মতো প্রথমার্ধে দুই দলই সেভাবে আক্রমণ চালাতে পারেনি। একটি ব্যাপার লক্ষ্য করা গেছে শেখ জামাল ও আবাহনী অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছিল। সেইভাবে পাহারা না দিলেও সনিও খুব বেশি আক্রমণ চালাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে তা আরও করুণ দশা। দুই দল এতটা ক্লান্ত ছিল যে বল অধিকাংশ মাঝ পথে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে ৪৮ মিনিটে ওয়ারীর হেড আবাহনীর গোলরক্ষক রুখে না দিলে জামাল এগিয়ে যেতে পারত। সারা ম্যাচে সনিনর্দে একটাই সুযোগ পেয়েছিলেন। ৫৬ মিনিটে অনেকটা ফাঁকা নেটেই গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। ৬০ মিনিটে শেখ জামাল দশজনের দলে পরিণত হয়। এ সময় লিংকন অবৈধভাবে মিশুকে বাধা দিলে রেফারি মিজানুর রহমান লালকার্ড দেখিয়ে তাকে বের করে দেন। এ সুযোগটাও কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনী। শেষ পর্যন্ত গোলহীনভাবে খেলা শেষ হয়। এ ড্রতে শেখ জামাল ১৬ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল। অন্য দিকে ছয় পয়েন্ট কমে আবাহনীর অবস্থান দ্বিতীয়তেই। দ্বিতীয়পর্বে শেখ রাসেল ছাড়া জামালের সামনে কোনো বড় বাধা থাকল না। অর্থাৎ তারা যে শীর্ষে থেকেই তৃতীয় রাউন্ড শুরু করতে পারবে তা অনেকটা নিশ্চিত। এদিকে গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও মুক্তিযোদ্ধা ১-১ গোলে ড্র করে। এতে ১৬ ম্যাচে ব্রাদার্সের ২৬, মুক্তির অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল ২২ পয়েন্ট।
শিরোনাম
- কেরানীগঞ্জে দখলবাজিতে বাড়ছিল বিপুরাজ্য
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ মে)
- হায়দরাবাদের বিপক্ষে দাপুটে জয় গুজরাটের
- জেফারের নতুন গান ‘তীর’
- রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৩৭
- রেললাইনে ভিডিও করতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তরুণ আলোকচিত্রীর মৃত্যু
- একটি অবিশ্বাস: সারা জীবনের কান্না
- যাত্রীদের কষ্ট বিবেচনায় বিমানের প্রস্তাব নাকচ খালেদা জিয়ার
- সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে
- টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়লেন সুদর্শান
- ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ’
- রাজধানীতে বিএনপির পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ অভিযান
- সীমান্তে ছবি তুলতে যাওয়া মামা-ভাগিনাকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
- বাড়ির নিচে ছিল ব্যক্তিগত ‘বন্দিশালা’, মুক্ত হলেন নারীসহ দুজন
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের জন্য ইংল্যান্ডের দল ঘোষণা
- রাজনীতিকে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত করাই হবে প্রধান লক্ষ্য : মাসুদ সাঈদী
- রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ, কুমিল্লায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
- ‘বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়াতে তরুণদের প্রস্তাবনাকে গুরুত্ব দিবে বিএনপি’
- চাঁবিপ্রবিতে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের ৫৮ শতক সরকারি জমি উদ্ধার
দশজনের শেখ জামালের সঙ্গেও পারেনি আবাহনী
জামাল ০:০ আবাহনী
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুদের নির্দেশ
১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে অশান্তির ছক, দুই ‘বিজেপি কর্মী’ গ্রেফতার
১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম