মোহামেডান ও মেরিনার্স তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি। সব দলের অংশগ্রহণে হকির প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় দায়িত্ব দিয়েছেন ফেডারেশন সহ-সভাপতি রশিদ শিকদারকে। মূলত চার ক্লাব মোহামেডান, মেরিনার্স, ওয়ারী ও বাংলাদেশ স্পোর্টিংকে মাঠে ফেরানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রশীদকে। এ নিয়ে তিনি চার ক্লাবের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল স্থানীয় এক হোটেলে সমস্যা নিরসনে ক্লাবগুলোর সঙ্গে সভা করেন। মোহামেডানের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঞা, সাজেদ এ এ আদেল ও মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদক রানা জামাল ও আলমগীর কবিরও সভায় উপস্থিত ছিলেন। দুই ক্লাবই দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছে সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমত উল্লাহ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা হকির কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেবে না। এ অবস্থায় তাহলে কি লিগ হবে না? রশিদ বলেন, সমস্যা দীর্ঘদিনের তাই হুট করে সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে দ্বন্দ্ব বা মনোমানিল্য যেটাই থাকুক না কেন আমার লক্ষ্য একটাই লিগ মাঠে নামুক। যারা খেলতে চাচ্ছে না তাদেরকে আরও বুঝাতে হবে।
দেশের হকিতে মোহামেডান বা মেরিনার্সের অবদান কম নয়। তাই আমি বিশ্বাস করি হকির বৃহত্তর স্বার্থে কথা ভেবে তারা অভিমান ভুলে মাঠে ফিরে আসবে। গতবারতো চার ক্লাব ছাড়াই লিগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার কেন সম্ভব নয়? রশিদ বলেন, অবশ্যই লিগ মাঠে নামানো যাবে। কিন্তু লিগে যদি আকর্ষণ বা জৌলুস না থাকে তাহলে খেলোয়াড়রা খেলে মজা পাবে না। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য সমস্যা নিরসন করে লিগ নামানো। তা না হলে হকি পিছিয়ে পড়বে।